জবাব
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم
(০১)
কেউ কিবলা সম্পর্কে না জানলে,সে জানার চেষ্টা করবে।সম্ভব হলে কাউকে জিজ্ঞাসা করে জেনে নেবে।যদি জানার কোনো মাধ্যম না থাকে,তাহলে তাহাররি করে,তথা চিন্তা গবেষনা করে কোনো একদিককে কা'বা নির্ধারণ করে নামায পড়ে নিবে।
(০২)
অজু না থাকলে তায়াম্মুম করে নামায পড়তে হবে। এবং পরে বাসায় এসে নামায কে আবার দোহড়িয়ে পড়তে হবে।
,
(০৩)
যানবাহনে নামাজ পড়া সংক্রান্ত বিস্তারিত জানুনঃ
(০৪)
যদি মুকিম ইমামের পিছনে মুসাফির ইক্তেদা করে,তাহলে আর কসর করা যাবেনা,বরং পূর্ণ নামাজ আদায় করতে হবে।
,
মুসলিম শরীফে এসেছেঃ
وعن موسى بن سلمة الهذلي قال: سألت ابن عباس كيف أصلي إذا كنت بمكة إذا لم أصل مع الإمام، فقال: "ركعتين سنة أبي القاسم صلى الله عليه وسلم" (رواه مسلم).
وهذا يفيد أنه إذا صلى مع الإمام أتم الرباعية.
সারমর্মঃ
মুসা ইবনে সালমাহ থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন আমি ইবনে আব্বাস রাঃ কে জিজ্ঞাসা করলাম যদি আমি মক্কায় (যেটি তার সফরের দূরত্বে ছিলো) ইমামের পিছনে ইক্তেদা না করি,তাহলে কিভাবে নামাজ পড়বো?
তিনি বললেন যে দুই রাকাত।
এই হাদীস দ্বারা বুঝা যায় যে যদি ইমামের পিছনে নামাজ পড়ে,তাহলে চার রাকাত পূর্ণ করবে।
ورواه أحمد بأصرح من ذلك، عن موسى بن سلمة قال: كنا مع ابن عباس بمكة فقلت: إذا كنا معكم صلينا أربعاً – أي بالمسجد مقتدين بإمام مقيم- وإذا رجعنا إلى رحالنا صلينا ركعتين، قال: "سنة أبي القاسم صلى الله عليه وسلم" الفتح الرباني 5/102.
সারমর্মঃ
আহমদ রহঃ আরেক হাদীস বর্ণনা করেন,যেটি আগের হাদীস থেকে আরো বেশি স্পষ্ট।
মুসা ইবনে সালমাহ থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন আমি ইবনে আব্বাস রাঃ এর সাথে মক্কায় ছিলাম,যখন তাদের সাথে ছিলাম (মুকিম ইমামের সাথে জামাতে ইক্তেদা করেছিলাম ) তখন চার রাকাত নামাজ পড়তাম,আর যখন থাকার ঘরে আসতাম,তখন দুই রাকাত আদায় করতাম।
(০৬)
মুসাফিরের জন্য যোহর আসর ও ইশার ফরয নামায দুই রাকাত পড়া (কসর) ওয়াজিব; চার রাকাত (পূর্ণ পড়া) নাজায়েয,এতে সে গুনাহগার হবে । কারণ মুসাফিরের নামাযের বিধান হল কসর।
তবে যদি ভুলে ৪ রাকাত পড়ে ফেলে তাহলে ২ রাকাত পড়ে যদি বৈঠক করে থাকে তাহলে প্রথম ২ রাকাত ফরয হবে, আর বাকি ২ রাকাত নফল হিসেবে ধর্তব্য হবে। কিন্তু সালাম ফিরাতে দেরী হওয়ায় সিজদায়ে সাহু ওয়াজিব হবে।
(মুসান্নাফ আবদুর রাযযাক ২/৫৪১)
যদি নামাযের শেষে সেজদায়ে সাহু দেয়, তাহলে নামায হয়ে যাবে,(মাকরুহের সহিত)। আর যদি সেজদায়ে সাহু না দেয়, তাহলে নামায পুনরায় পড়তে হবে।
যদি ২ রাকাতের পর বৈঠক না করে থাকে, তাহলে নামায হয় নি, নামাযটি পূণরায় পড়তে হবে।
(মারাকিল ফালাহ ২৩১; শরহুল মুনইয়াহ ৫৩৯; আদ্দুররুল মুখতার ২/১২৮)
আয়েশা রাযি. বলেন,
فُرِضَتِ الصَّلَاةُ رَكْعَتَيْنِ رَكْعَتَيْنِ فِي الْحَضَرِ وَالسَّفَرِ، فَأُقِرَّتْ صَلَاةُ السَّفَرِ، وَزِيدَ فِي صَلَاةِ الْحَضَرِ
মুকিম ও মুসাফির অবস্থায় নামায দু’দু রাক’আত ফরজ করা হয়েছিল। পরে সফরের নামায ঠিক রাখা হল কিন্তু মুকিমের নামাযে বৃদ্ধি করা হল। (বুখারী ১০৪০ মুসলিম ৬৮৫)
অপর হাদিসে এসেছে,
عِيسَى بْنُ حَفْصِ بْنِ عَاصِمِ بْنِ عُمَرَ بْنِ الْخَطَّابِ عَنْ أَبِيهِ قَالَ صَحِبْتُ ابْنَ عُمَرَ فِى طَرِيقٍ – قَالَ – فَصَلَّى بِنَا رَكْعَتَيْنِ ثُمَّ أَقْبَلَ فَرَأَى نَاسًا قِيَامًا فَقَالَ مَا يَصْنَعُ هَؤُلاَءِ قُلْتُ يُسَبِّحُونَ. قَالَ لَوْ كُنْتُ مُسَبِّحًا أَتْمَمْتُ صَلاَتِى يَا ابْنَ أَخِى إِنِّى صَحِبْتُ رَسُولَ اللَّهِ – ﷺ – فِى السَّفَرِ فَلَمْ يَزِدْ عَلَى رَكْعَتَيْنِ حَتَّى قَبَضَهُ اللَّهُ عَزَّ وَجَلَّ وَصَحِبْتُ أَبَا بَكْرٍ فَلَمْ يَزِدْ عَلَى رَكْعَتَيْنِ حَتَّى قَبَضَهُ اللَّهُ عَزَّ وَجَلَّ وَصَحِبْتُ عُمَرَ فَلَمْ يَزِدْ عَلَى رَكْعَتَيْنِ حَتَّى قَبَضَهُ اللَّهُ تَعَالَى وَصَحِبْتُ عُثْمَانَ فَلَمْ يَزِدْ عَلَى رَكْعَتَيْنِ حَتَّى قَبَضَهُ اللَّهُ تَعَالَى وَقَدْ قَالَ اللَّهُ عَزَّ وَجَلَّ (لَقَدْ كَانَ لَكُمْ فِى رَسُولِ اللَّهِ أُسْوَةٌ حَسَنَةٌ
ইবনে উমর রাযি. বলেন, নিশ্চয় আমি রাসুলুল্লাহ ﷺ এর সাথে সফর করেছি, তিনি মৃত্যুবরণ করার আগ পর্যন্ত সফরে ২ রাকাতের বেশি পড়েন নি। আমি আবু বকর রাযি. এর সাথেও সফর করেছি, তিনিও আমরণ সফরে ২ রাকাতই পড়েছেন। আমি উমর রাযি. এর সাথেও সফর করেছি তিনি মৃত্যু পর্যন্ত সফরে ২ রাকাতের বেশি পড়েন নি। আমি উসমান রাযি. এর সাথেও সফর করেছি, তিনিও মৃত্যুর আগ পর্যন্ত সফরে ২ রাকাতের বেশি পড়েন নি। আর আল্লাহ তায়ালা বলেছেন, আমি তোমাদের জন্য রাসুলুল্লাহ ﷺ এর মাঝে রেখেছি উত্তম আদর্শ। (মুসলিম ১৬১১)
,
মাগরীব আর বিতির নামাজে কসর করা যাবেনা,পূর্ণ নামাজ আদায় করতে হবে।
,