আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
26 views
in সালাত(Prayer) by (6 points)
আসসালামু য়ালাইকুম উস্তায আমি মানসিক শারীরিক সমস্যায় প্রচন্ড অসুস্থ কখনো অবস্থা এমন দাড়ায় যে আমি বসে ভাত খেতে পারি না ,শুয়ে শুয়ে খেতে হয় ,এ অবস্থায় আমাকে যদি শুয়ে নামাজ পড়ার বিস্তারিত পদ্ধতি বলে দিতেন উপকৃত হতাম।

1 Answer

0 votes
by (695,850 points)
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم

https://ifatwa.info/44884/ ফতোয়াতে উল্লেখ রয়েছেঃ 
হাদীস শরীফে এসেছেঃ 
হযরত ইমরান ইবনে হুসাইন রাযি থেকে বর্ণিত,তিনি বলেন,
عَنْ عِمْرَانَ بْنِ حُصَيْنٍ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، قَالَ: كَانَتْ بِي بَوَاسِيرُ، فَسَأَلْتُ النَّبِيَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَنِ الصَّلاَةِ، فَقَالَ: «صَلِّ قَائِمًا، فَإِنْ لَمْ تَسْتَطِعْ فَقَاعِدًا، فَإِنْ لَمْ تَسْتَطِعْ فَعَلَى جَنْبٍ»
আমার একবার অর্শগেজ হয়ে গেলো।আমি এমন অবস্থায় রাসূলুল্লাহ সাঃ এর নিকট নামায পড়ার পদ্ধতি সম্পর্কে জানতে জিজ্ঞাসা করলাম।তখন তিনি প্রতিউত্তরে বললেন,তুমি দাড়িয়ে নামায পড়বে,তারপর দাড়ানো সম্ভব না হলে বসে বসে নামায পড়বে।যদি বসেও সম্ভব না হয় তাহলে হেলান দিয়ে নামায আদায় করবে।(সহীহ বোখারী-১১১৭)

ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়ায় বর্ণিত রয়েছে,
ولو كان قادرا على بعض القيام دون تمامه يؤمر بأن يقوم قدر ما يقدر 
যদি কেউ নামাযে কিছু সময় কিয়াম করার পর  অক্ষম হয়ে যায়,এবং এরপর আর দাড়াতে সক্ষম না হয়,তাহলে তার জন্য হুকুম হল যে, সে নামাযে ততটুকুই দাড়াবে যতটুকু তার জন্য সম্ভব হবে।(ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়া-১/১৩৬)

তারপর উল্লেখ করা হয়,
وإن عجز عن القيام والركوع والسجود وقدر على القعود يصلي قاعدا بإيماء ويجعل السجود أخفض من الركوع، كذا في فتاوى قاضي خان حتى لو سوى لم يصح، كذا في البحر الرائق.
যদি কেউ নামাযে কিয়াম,রুকু,সিজদা করতে অক্ষম থাকে,কিন্তু সে আবার বসে বসে পড়তে সক্ষম হয়,তাহলে তার জন্য হুকুম হল যে,;সে বসে বসে ইশারায় নামায পড়বে।এবং সেজদার সময় মাথাকে রুকু থেকে একটু বেশী নিচু করবে।(ফাতাওয়ায়ে কাযীখান)তবে যদি কেউ রুকু এবং সেজদার সময়ে মাথাকে সমান করে রাখে তাহলে তার নামাযই বিশুদ্ধ হবে না।(বাহরুর রায়েক্ব)

বিস্তারিত জানুনঃ- 

★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
আপনি মাটিতে বসে নামাজ আদায় করবেন। যদি কোনভাবেই মাটিতে বসতে না পারেন, সেক্ষেত্রে চেয়ারে বসে নামাজ পড়তে পারেন।

যদি কোনক্রমে চেয়ারেও বসতে না পারেন, সেক্ষেত্রে দাঁড়িয়ে নামাজ পড়তে পারেন।

রুকু সেজদা সামান্য মাথা নুয়ে দিয়ে ইশারা করে আদায় করলেই হবে। 

আর যদি আপনি দাঁড়াতেও না পারেন বসতেও না পারেন, সেক্ষেত্রে আপনি শুয়ে নামাজ আদায় করতে পারেন।

শুয়ে নামাজ পড়ার কয়েকটি পদ্ধতি রয়েছে। 

১. পা পশ্চিম দিকে, মাথা পূর্ব দিক দিয়ে চিত হয়ে শয়ন করবে। সম্ভব হলে পিঠ ও মাথার নিচে বালিশ ইত্যাদি কিছু দিয়ে উঁচু করে নিবে যেন সিনা ও চেহারা কিবলামুখী হয়ে থাকে। পা পশ্চিম দিকে বিছিয়েও দিতে পারে তবে সম্ভব হলে হাঁটু ভাজ করে রাখবে। শায়িত অবস্থায় নামায আদায়ের ক্ষেত্রে এই পদ্ধতিই অগ্রগণ্য। 
২. মাথা উত্তর দিকে এবং পা দক্ষিণ দিকে রেখে শুবে। এভাবে ডান কাতে শুয়ে সিনা ও চেহারা কিবলার দিক করে রাখবে। 

৩. মাথা দক্ষিণ দিকে এবং পা উত্তর দিকে করে শুবে। এভাবে বাম কাত হয়ে শুয়ে চেহারা ও সিনা কিবলার দিকে রাখবে। 

উল্লেখ্য, এ সকল পদ্ধতির কোনোটি সম্ভব না হলে যেভাবে শোয়া সম্ভব সেভাবে শুয়ে মাথা নেড়ে রুকু-সিজদা করবে। এসকল ক্ষেত্রে সিজদার জন্য রুকুর চেয়ে মাথা কিছুটা বেশি ঝুকাবে। মাথা নাড়ার ক্ষমতা থাকা পর্যন্ত নামায আদায় করতে হবে।
(মুসান্নাফ আবদুর রাযযাক ২/৪৭৪; আলবাহরুর রায়েক ২/১১৪; ফাতাওয়া হিন্দিয়া ১/১৩৭; হিদায়া ১/১৬১)

(কিছু তথ্য সংগৃহীত।) 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...