আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
15 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (25 points)
السَّلَامُ عَلَيْكُمْ وَرَحْمَةُ اللهِ وَبَرَكَاتُه

আমি একটা সময় আল্লাহর কাছে অনেক দোয়া করতাম। আমি অনুভব করতাম আমি আল্লাহর অনেক নিকটবর্তী। অনেক আমল করতাম। সব সময় আল্লাহ কে সন্তুষ্ট করার চেষ্টা করতাম। কিন্ত আমার জীবনে আমি উল্লেখযোগ্য কোনো পরিবর্তন দেখি নি। বরং যেই জিনিস গুলোর জন্য মন খুলে, প্রানপনে দোয়া করতাম, সেই জিনিস গুলোই আমার জীবন থেকে একে একে দূরে সরে গিয়েছে। এমন ভাবে দূরে সরে গিয়েছে যে সেগুলো কোনো দিন আমার হবে, এটাই আমার কাছে এখন অকল্পনীয়। এত দোয়া আমলের পরও নিজের জীবনে উল্লেখযোগ্য কোনো পরিবর্তন দেখতে পাই নি বরং আরও একা হয়ে গিয়েছি আমি। ফলে হতাশা আমাকে ঘিরে ধরেছে। গুনাহে লিপ্ত ও হয়ে যাচ্ছি। আবার নিজেকে টেনে হিচড়ে রবের নিকট সোপর্দ করছি। এভাবেই যুদ্ধ চলছে নিজের সাথে। যেখানে আগে নিজের নফসের সাথে এত যুদ্ধ করতে হতো না। সারাদিন আল্লাহর এবাদতে সময় পার করতে পারতাম। সেখানে আমি এখন পুরোই ভিন্ন মানুষ হয়ে গেছি। যেহেতু আমার ভাই নেই, বাবারও ব্যবসা অত ভালো চলে না, আমার বিয়েও হচ্ছে না তাই চাকরি তে জয়েন করেছি। কিন্ত সেখানে জয়েন করার ফলে নামায কাজা হচ্ছে। খাস পর্দা মেইনটেইন করাও সম্ভব হচ্ছে না। অনেক চেষ্টা করি নিজেকে সুধরানোর, আল্লাহর আরও নিকটবর্তী হওয়ার। কিন্ত কেনো যেনো মনে হয়, আল্লাহ আমাকে তার থেকে দূরে সরিয়ে দিচ্ছেন।যেখানে আমার বিয়ে হয়ে গেলে, আমি হয়তো ঘরে বসে আল্লাহর এবাদত করতে পারতাম, পর্দা মেইনটেইন করতে পারতাম। সেখানে বিয়েটা আমার জন্য কঠিন হয়ে গেছে এবং চাকরি টাই আমার জন্য সহজ হয়ে গেছে। সে জন্যই আমার মনে হচ্ছে আল্লাহ চাচ্ছেন না আমি তার এবাদত করি, তার নিকটবর্তী হই। এসব ভেবে ভেবে আমি প্রচুর হতাশ।
এখন আর হাত তুলে দোয়া করা হয় না। মনে হয় যেন, আল্লাহ আমার জন্য যেটা ভালো সেটাই করবেন, আমার দোয়া করার প্রয়োজন নেই। বা এমন মনে হয় যে ভাগ্যে যা আছে তাইই হবে, দোয়া করলে তো আর কবুল হয় না। বরং যেই জিনিসের জন্য দোয়া করি, সেটাই আমার জীবন থেকে চলে যায়। তাই এক প্রকার ভয়ও কাজ করে দোয়া করতে।
এখন আমার প্রশ্ন হচ্ছে, এই যে আমি দোয়া করছি না, কিন্ত আল্লাহর উপর বিশ্বাস রাখছি যে আল্লাহ যা চান, তাইই হবে। এতে কি আমার কোনো গুনাহ হচ্ছে বা আপনাদের কি মনে হয় আল্লাহ আমার উপর কোনো কারনে অসন্তুষ্ট?

আরেকটা প্রশ্ন হচ্ছে, এই যে বাহিরে বের হয়ে চাকরি করছি। এতেও ইসলামের কি বিধান রয়েছে? আমার বয়স ২৩। আমি একটা স্কুল শিক্ষকতা করছি।

1 Answer

0 votes
by (724,500 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
عن أبي هريرة، عن النبي صلى الله عليه وسلم أنه قال: «لا يزال يستجاب للعبد، ما لم يدع بإثم أو قطيعة رحم، ما لم يستعجل» قيل: يا رسول الله ما الاستعجال؟ قال: يقول: «قد دعوت وقد دعوت، فلم أر يستجيب لي، فيستحسر عند ذلك ويدع الدعاء»
রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেন, প্রত্যেক বান্দার দু'আ ইস্তে'যাল না করার শর্তে ততক্ষণ পর্যন্ত কবুল হয়ে থাকে,যতক্ষণ না সে কোনো গোনাহ বা আত্মীয়তার সম্পর্ক-কে বিচ্ছিন্ন করার দু'আ করে থাকে। সাহাবায়ে কেরাম রাযি জিজ্ঞাসা করলেন।ইয়া রাসুলাল্লাহ! ইস্তে'যাল অর্থ কি?
রাসূলুল্লাহ সাঃ বললেন, ইস্তে'যাল অর্থ হল, বান্দা কর্তৃক এমন কথা উচ্ছারিত হওয়া বা বলা যে, আমি তো দু'আ করতেই থাকলাম,করতেই থাকলাম, অথচ আমার দু'আ কবুল হয়েছে,তা তো কখনো দেখিনি। সুতরাং তখনই সে আফসোস করতে থাকে এবং দু'আ কে ছেড়ে দেয়।(ফালাফল হিসেবে তার দু'আ আর কবুল হয় না)(সহীহ মুসলিম-২৭৩৫,মিশকাতুল মাসাবিহ২২২৭)এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/987


সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
এই যে আপনি দোয়া করছি না, কিন্ত আল্লাহর উপর বিশ্বাস রাখছি যে আল্লাহ যা চান, তাইই হবে। এতে আপনার যদিও গুনাহ হবে না তথাপি দু'আ করাই উচিত। 

নারীদের জন্য স্কুল শিক্ষকতা করা সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/1377


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...