আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
18 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (20 points)
السلام عليكم و رحمة الله و بركاته

মাদ্রাসায় পরিক্ষার জন্য খেয়ার দিয়েছে,ত যারা আবাসিক থাকে তারা সারাদিন -রাত মিলিয়ে ১৫ ঘন্টার মত পড়ে।ত কয়েকজন বলছিলো যে আমি যেহেতু অনাবাসিক থাকি আমাদের বাসায় পড়া হবে নাহ।আমি তখন সবাইকে বলতে, ৮/১০ জনের সামনে বলে ফেলেছিলাম যে আমি বাসায় ১২/১৫ ঘন্টা পড়ব ইং শা আল্ল-হ,পরব জানাব যে আসলেই বাসায় পড়া হয় কি নাহ।১২ ঘন্টা পড়ার মত ওয়াদা করে ফেলেছিলাম।আমি এভাবে প্রথমে বলেছিলান যে আমি ওয়াদা করলাম ১৫ ঘন্টা পড়ব।পরে সবাই বলছিলো যে এতক্ষণ পড়তে পারবা নাহ,১২ ঘন্টা নেও।পরে আমি ১২ ঘন্টা পড়ব বলেছি ইং শা আল্লাহ। কিন্তু আমি ১২ ঘন্টা পড়তে পারি নি।১২ ঘন্টার থেকে কম পড়েছি।আমি আমার সাধ্যমত পড়ার চেষ্টা করেছি আলহামদুলিল্লাহ। যতটুকু আমার শরীরে সয় এতটুকুই পড়েছি।সারাদিন পড়ার চেষ্টা করেছি আলহামদুলিল্লাহ। কিন্তু ১২ ঘন্টা হয় নি এর কম হয়েছে আলহামদুলিল্লাহ।
শায়েখ আমার প্রশ্ন হলো এ ক্ষেত্রে কি আমি ওয়াদা ভঙ্গ করেছু এবং এর কি কাফরারা হবে যদি জানাতেন দয়া করে ইং শা আল্লহ।

1 Answer

0 votes
by (85,500 points)

ওয়া আলাইকুমুস সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।

জবাবঃ

https://ifatwa.info/86139/ নং ফাতওয়ায় উল্লেখ রয়েছে যে,

ওয়াদাকে পূর্ণ করার বিধান কি? ওয়াজিব না মুস্তাহাব? এবং ওয়াদাকে ভঙ্গ করা  হারাম না মাকরুহ?

,

সে সম্পর্কে ইমাম নববী রাহ বলেন,

উলামায়ে কেরাম এ কথার উপর একমত যে, যদি কোনো মানুষ কারো সাথে এমন কোনো বিষয়ের ওয়াদা করে যা নিষিদ্ধ নয়, তাহলে তার জন্য উচিৎ হল সেই ওয়াদাকে পূর্ণ করা। ওয়াদাকে পূর্ণ করা ওয়াজিব না মুস্তাহাব? এ সম্পর্কে অবশ্যই মতপার্থক্য রয়েছে। ইমাম শা'ফেয়ী ও ইমাম আবু হানিফা এবং জুমহুর উলামায়ে কেরামের মতে ওয়াদাকে পূর্ণ করা মুস্তাহাব। যদি সে ওয়াদাকে ভঙ্গ করে ফেলে তাহলে যেন সে উত্তমতাকে পরিত্যাগ করল,এবং শক্ত মাকরুহে তানযিহি সম্ভলিত কাজে লিপ্ত হল। কিন্তু সে আবার গোনাহগার হবে না।

,

অন্যদিকে এক দল উলামায়ে কেরামের মতে ওয়াদাকে পূর্ণ করা ওয়াজিব। ইমাম আবু বকর ইবনুল আরাবি মালিকি রাহ বলেন,যারা উক্ত মাযহাবের প্রবক্তা তাদের মধ্যে এটা উমর ইবনে আব্দুল আযিয রাহ শীর্ষে রয়েছেন। তিনি আরো বলেন,মালিকি মাযহাবের উলামাগণ তৃতীয় আরেকটি মাযহাবকে বর্ণনা করেছেন। সেটা হল যে,যদি কেউ কাউকে বলে, তুমি বিয়ে করবে বলে ওয়াদা করো তোমাকে এই পরিমাণ মাল দেয়া হবে। অথবা তুমি ওয়াদা করো আমাকে গালি দেবে না তোমাকে এই পরিমাণ মাল দেয়া হবে ইত্যাদি বাক্য। তাহলে এমতাবস্থায় ওয়াদাকে পূর্ণ করা ওয়াজিব হবে। আর যদি স্বাভাবিক ওয়াদা হয়ে থাকে তাহলে ওয়াদাকে পূর্ণ করা ওয়াজিব না। যারা ওয়াদাকে পূর্ণ করা ওয়াজিব বলেন না তারা বলেন, যে ওয়াদা হলো হেবার সমার্থক। আর জুমহুর উলামায়ে কেরামের মতে হেবা কবজা ব্যতীত পরিপূর্ণ হয় না। তবে ইমাম মালিক রাহ এর মতে ওয়াদা কবজার পূর্বেও ওয়াজিব হয়ে যায়। (আল-আযকার-৩১৭)

এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/663

,

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী বোন!

,

ওয়াদা করার পর ঈমানদারের একান্ত দায়িত্ব ও কর্তব্য হল, ওয়াদাকে পূর্ণ করা। বিশেষ কোনো জরুরত ব্যতিত ওয়াদাকে ভঙ্গ না করা। বিশেষত যদি আল্লাহর সাথে ওয়াদা করা হয়, তাহলে সেই ওয়াদাকে পূর্ণ করা আরো বেশী উত্তম।

তবে ওয়াদা করার পর ওয়াদাকে পূর্ণ করার যথাসাধ্য চেষ্টা করার পরেও  ওয়াদা রাখতে না পারলে এতে কোনো গোনাহ হবে না এবং কোনো কাফফারাও দেওয়া লাগবে না ইনশা'আল্লাহ।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী আব্দুল ওয়াহিদ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...