আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
303 views
in সালাত(Prayer) by (67 points)
পিতার বাড়ি থেকে শশুর বাড়ির দূরত্ব ৪৮ মাইলের বেশি হলেও মুসাফির হিসেবে গণ্য হবে না আমার জানামতে। এইক্ষেত্রে যানবাহনে থাকা অবস্থায় কি সালাত কসর করা যাবে? সিয়াম কি ভাঙ্গা যাবে????????????????????????????????????????????????????????????????????????????????????????????????????????

1 Answer

0 votes
by (606,750 points)

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।

জবাবঃ-
ফাতাওয়ায়ে শামীতে বর্ণিত রয়েছে,
(الْوَطَنُ الْأَصْلِيُّ) هُوَ مَوْطِنُ وِلَادَتِهِ أَوْ تَأَهُّلِهِ أَوْ تُوَطِّنْهُ
(قوله أو تأهله) أي تزوجه. قال في شرح المنية: ولو تزوج المسافر ببلد ولم ينو الإقامة به فقيل لا يصير مقيما، وقيل يصير مقيما؛ وهو الأوجه
যদি কেউ কোথাও(৭৭কিলোঃ অধিক দূরে) বিয়ে করে, এবং তথায় বসবাসের নিয়ত না করে, তাহলে কেউ কেউ বলেন,শুধামাত্র বিয়ে দ্বারা সে মুক্বিম হবে না।আবার কেউ কেউ বলেন সে মুক্বিম হবে।এবং এটাও বিশুদ্ধ। (শামী-২/১৩১)

ইবনে নুজাইম রাহ লিখেন,
والوطن الأصلي هو وطن الإنسان في بلدته أو بلدة أخرى اتخذها دارا وتوطن بها مع أهله وولده، وليس من قصده الارتحال عنها بل التعيش بها وهذا الوطن يبطل بمثله لا غير، وهو أن يتوطن في بلدة أخرى وينقل الأهل إليها فيخرج الأول من أن يكون وطنا أصليا حتى لو دخله مسافرا لا يتم قيدنا بكونه انتقل عن الأول بأهله؛ لأنه لو لم ينتقل بهم، ولكنه استحدث أهلا في بلدة أخرى فإن الأول لم يبطل ويتم فيهما
ওয়াতানে আসলী হল সেই বাড়ী যা মানুষের নিজ শহরের বাড়ী বা জন্মস্থান। অথবা অন্য শহরে করা বাড়ী, যাকে মানুষ পরিবার পরিজন নিয়ে থাকার জন্য নির্ধারণ করে রেখেছে।যেখান থেকে চলে যাবার কোনো ইচ্ছা নাই।এই ওয়াতান তার মত আরো একটা ওয়াতান দ্বারা নষ্ট হবে।তার মত আরেকটা বাড়ী বলতে,যদি সে অন্য কোনো শহরে বাড়ী করার ইচ্ছা করে,এবং সেই শহরে নিজ পরিবার পরিজনকে নিয়ে চলে যায়,তখন প্রথম বাড়ীটি ওয়াতানে আসলী থেকে বের হয়ে যাবে।তাই পূর্বের বাড়ীতে গেলে তখন সে মুসাফির হবে।পরিবার পরিজনকে নিয়ে প্রথম বাড়ী থেকে চলে আসার শর্তারোপ আমরা এজন্য করলাম যে,যদি সে প্রথম বাড়ী থেকে পরিবার পরিজনকে নিয়ে চলে না আসে, এবং সাথে সাথে সে ভিন্ন কোনো শহরে নতুন বাড়ি করে নেয়, তাহলে পূর্বের বাড়ী ওয়াতানে আসলী হওয়া থেকে বের হবে না।বরং এক্ষেত্রে সে তার দুই দুইটি বাড়ীতেই পূর্ণ নামায পড়বে।(বাহরুর রায়েক২/১৪৭)

  • এমন কোথাও সফর করলে, যেখানে গেলে মানুষ মুক্বিম হয়ে যায়,তথা ওয়াতানে আসলীর দিকে সফর করলে যদিও মানুষ সেখানে গেলে মুক্বিম হবে।তবে রাস্তায় সফরের বিধান প্রযোজ্য হবে।(কিতাবুল-ফাতাওয়া-২/৪৬৮)
  • বিয়ে পরবর্তী স্ত্রী তার বাবার বাড়ীতে কসর করবে।(ফাতাওয়ায়ে হাক্বানিয়া-৩/৩৫২কিতাবুন-নাওয়াযিল-৫/৪৫৩ফাতাওয়ায়ে মাহমুদিয়্যাহ-৭/৪৯৮)
  • স্বামী-স্ত্রী শুধু বিয়ের দ্বারা তারা উভয়ই নিজ নিজ শাশুড় বাড়ীতে মুক্বিম হবে না।বরং বসবাস করতে হবে।(আবকে মাসাঈল আউর উনকা হল-২/৩৮৩)
(والمعتبر نية المتبوع) لأنه الأصل (لا التابع كامرأة)...الخ. (الدر المختار مع ردالمحتار، باب صلاة المسافر، مطلب في الوطن الأصلي و وطن الإقامة، ج:2، ص:133)
وطـن أصلي: وهو مولد الرجل، والبلد الذي تأهله به ..... ومن حكم الـوطـن الأصـلـي أن ينتقض بالوطن الأصلي؛ لأنه مثله، والشيء ينتقض بما مثله. (الفتاوى التاتارخانية، الصلاة، الفصل الثاني والعشرون، في صلاة السفر، رقم:/31453144، ج:2، ص:510)
 الـوطـن الأصـلـي هـو مـوطـن ولادتـه أو تأهله أو توطنه يبطل بمثله . (الـدر الـمـخـتـار، باب صلاة المسافر، مطلب في الوطن الأصلي و وطن الإقامة، ج:2، ص:131)
وطـن أصـلـي وهو مولد الرجل أو البلد الذي تأهل به... ويبطل الوطن الأصلي بالوطن الأصلي. (الفتاوی الهندية، كتاب الصلاة، باب صلاة المسافر، ج:1، ص:142)


প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
সফর সমপরিমাণ দূরত্বে বিয়ে হলে স্বামী-স্ত্রী উভয় নিজ নিজ শাশুড় বাড়ীতে মুক্বিম হবে কি? 
প্রতিউত্তরে বলা যায় যে,
বিয়ের পর যেহেতু স্বামীর বাড়ীতেই একজন স্ত্রীর স্থায়ী ঠিকানা হয়ে থাকে, তাই বিয়ের পর স্ত্রী তার স্বামীর বাড়ীতে মুকিম হিসেবে গণ্য হবে। তবে যেহেতু স্বামী তার শশুড় বাড়ীতে স্থায়ী হিসেবে বসবাস করবে না, তাই স্বামী তার শশুড় বাড়ীতে মুসাফিরই থাকবে।
তবে স্ত্রী শাশুড় বাড়ীতে স্বায়ীভাবে বসবাস না করলে তখন সে স্বামীর বাড়ীতে মুক্বিম হবে না বরং মুসাফিরই থাকবে। 

ওয়াতানে আসলী ও ওয়াতানে ইক্বামাহ সম্পর্কে আরো জানতে ভিজিট করুন- 107

স্বামীর গ্রামের বাড়ীতে স্ত্রী মুকিম না মুসাফির? 
(১৫ দিনের কম থাকার নিয়তে)
জবাবে বলা যায় যে,
স্ত্রী যদি তার স্বামীর ওয়াতানে আসলি তথা পৈত্রিক ভিটা় বাড়ীতে যায়, তাহলে স্বামীর তাবে হিসেবে স্ত্রী তখন মুকিম হিসেবে গণ হবে। তবে স্ত্রী যদি কখনো একাকি তার স্বামীর পৈত্রিক ভিটা বাড়ীতে যায়, তাহলে সে মুসাফির হিসেবে গণ্য হবে।
وفي الفتاوی السراجیۃ:
’’الأصل أن من کان تبعا لإنسان بحیث یلزمہ طاعتہ یصیر مقیما بإقامتہ کالمرأۃ مع زوجھا‘‘.(کتاب الصلاۃ، باب صلاۃ المسافر: ٧٨، مکتبۃ الزمزم)
وفي التنویر مع رد المحتار:
’’(والمعتبر نیۃ المتبوع)؛ لأنہ الأصل (لا التابع کامرأۃ) وفاھا مھرھا المعجل‘‘.
’’قولہ: (لانہ الأصل) فھو المتمکن من الإقامۃ والسفر.
قولہ:(وفاھا مھرھا المعجل) وإلا فلا تکون تبعا لأن لھا أن تحبس نفسھا عن الزوج للمعجل دون المؤجل ولا تسکن حیث یسکن بحر‘‘.(کتاب الصلاۃ، مطلب في الوطن الأصلي ووطن الإقامۃ: ٢/ ٧٤٣، دار المعرفۃ).فقط.واللہ تعالیٰ اعلم بالصواب.
دارالافتاء جامعہ فاروقیہ کراچی
فتویٰ نمبر:176/263



(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 290 views
0 votes
1 answer 324 views
...