ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহ।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
দিবস পালন ইসলামে সমর্থিত নয়। হাদীস শরীফে এসেছে :
ﻣﻦ ﺃﺣﺪﺙ ﻓﻲ ﺃﻣﺮﻧﺎ ﻫﺬﺍ ﻣﺎ ﻟﻴﺲ ﻣﻨﻪ ﻓﻬﻮ ﺭﺩ ﺭﻭﺍﻩ ﺍﻟﺒﺨﺎﺭﻱ ﻭﻣﺴﻠﻢ ،
অনুবাদঃ যদি কেউ আমাদের মধ্যে কোনো(ধর্মীয়) নতুন জিনিষ সৃষ্টি করে তাহলে সে আমাদের মধ্য থেকে নয়।
ইবনে রজব হাম্বলী রাহ,উক্ত হাদিসের ব্যখ্যা করে বলেনঃ
ﻓﻜﺬﻟﻚ ﻛﻞ ﻋﻤﻞ ﻻ ﻳﻜﻮﻥ ﻋﻠﻴﻪ ﺃﻣﺮ ﺍﻟﻠﻪ ﻭﺭﺳﻮﻟﻪ ، ﻓﻬﻮ ﻣﺮﺩﻭﺩ ﻋﻠﻰ ﻋﺎﻣﻠﻪ ،
প্রত্যেক ঐ আমল যা আল্লাহএবং রাসুলুল্লাহ সাঃএর পদ্ধতি সমর্থিত নয়, তা বর্জিত ও পরিত্যাজ্য।(জামেউল উলূম ওয়াল হিকাম-১৭৬)
হাদীসে অমুসলিমদের আদর্শ চাল চলন কে অনুসরণ করতে কঠোরভাবে নিষেধ করা হয়েছে।
ﻋَﻦْ ﺍﺑْﻦِ ﻋُﻤَﺮَ ﻗَﺎﻝَ : ﻗَﺎﻝَ ﺭَﺳُﻮﻝُ ﺍﻟﻠَّﻪِ ﺻَﻠَّﻰ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﻋَﻠَﻴْﻪِ ﻭَﺳَﻠَّﻢَ ﻣَﻦْ ﺗَﺸَﺒَّﻪَ ﺑِﻘَﻮْﻡٍ ﻓَﻬُﻮَ ﻣِﻨْﻬُﻢْ
অনুবাদঃ
হযরত ইবনে উমর রাঃ থেকে বর্ণিত,রাসুলুল্লাহ বলেন যে ব্যক্তি অন্য গোত্রে (অমুসলিম)-র অনুসরণ করবে সে তাদের-ই অন্তর্ভুক্ত হবে।
{আবু-দাউদ-৩৫১২}
বিদগ্ধ গবেষক আল্লামা ইবনে উছাইমিন রহ: বলেন
ﻭﺍﻷﻋﻴﺎﺩ ﺍﻟﺸﺮﻋﻴﺔ ﻣﻌﺮﻭﻓﺔ ﻋﻨﺪ ﺃﻫﻞ ﺍﻹﺳﻼﻡ ، ﻭﻫﻲ ﻋﻴﺪ ﺍﻟﻔﻄﺮ، ﻭﻋﻴﺪ ﺍﻷﺿﺤﻰ ، ﻭﻋﻴﺪ ﺍﻷﺳﺒﻮﻉ ( ﻳﻮﻡ ﺍﻟﺠﻤﻌﺔ ) ﻭﻟﻴﺲ ﻓﻲ ﺍﻹﺳﻼﻡ ﺃﻋﻴﺎﺩ ﺳﻮﻯ ﻫﺬﻩ ﺍﻷﻋﻴﺎﺩ ﺍﻟﺜﻼﺛﺔ
শরীয়ত স্বীকৃত ঈদ হল তিনটা যা মুসলিমদের নিকট অতি সু-পরিচিত,এবং তা হল,ঈদুল আযহা,ঈদুল ফিতর,সাপ্তাহিক ঈদ (শুকুবার)এই তিন ঈদ ব্যতীত ইসলামে অন্যকোন ঈদ নেই
(মাজমু'উ ফাতাওয়া ইবনে ইছাইমিন,২/৩০১)
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
দিবস পালন নাজায়েয, চায় যেকোনো ত্বরিকায় হোক।দিবস পালন ইসলামে কখনো সমর্থিত হতে পারে না। সুতরাং বিশেষ দিবস উপলক্ষ্যে কুরআন খতম বা নামায রোযা, কোনো কিছুর-ই অনুমোদন দেয়া যাবে না। হ্যা কেউ যদি করে নেয়,তবে সে অবশ্যই কুরআন তেলাওয়াতের সওয়াব পাবে।