আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
583 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (45 points)
  1.  ট্যাটু যদি মেহেদির বা ঐরকম কোন জিনিস দিয়ে করা হয় যেটা স্থায়ীভাবে  শরীরের সাথে থাকবে না হালকা পানি   বা অন্য কিছু ব্যবহার করলেই সেটা উঠে যাবে সে ক্ষেত্রে কি ওই ধরনের ট্যাটু  কি  ব্যবহার করা যাবে ? 

  2. যদি   কারো ইসলামের জ্ঞান আসার পূর্বে ট্যাটু  করে থাকেন এবং সেটা যদি স্থায়ী হয় আর সেটা উঠাতে গিয়ে যদি তার শরীরের আরো বেশি ক্ষয়ক্ষতি হয় সেক্ষেত্রে সে কি সেই ট্যাটু  রেখে দিবে নাকি সেটাকে যতই কষ্ট হোক তুলে ফেলবে ?

  3.    অ্যাটাস  বাথরুমের ক্ষেত্রে  যেখানে টয়লেট এবং বাথরুম  এক জায়গায়  সেখানে ওযু করার  যাবে কি ?

  4. নামাজে বা  যেকোনো কাজের ক্ষেত্রেই হোক যখন কেরাত পাঠ করা হয় তখন সে ক্ষেত্রে শুধুমাত্র মুখে উচ্চারণ করলেই হবে নাকি সেটা নিজের কানে শোনা যাওয়াটাও জরুরী ?  একজনের কাছে শুনেছিলাম যে সেটা মুখে উচ্চারণ করলেই নাকি হবে কানে শোনা যাওয়াটা জরুরী নয় ?

  5.  দাজ্জাল কি পুরুষ নাকি নারী ? 

1 Answer

0 votes
by (589,140 points)

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
(১)
ট্যাটু যদি মেহেদির বা ঐরকম কোন জিনিস দিয়ে করা হয় যেটা স্থায়ীভাবে শরীরের সাথে থাকবে না, হালকা পানি বা অন্য কিছু ব্যবহার করলে-ই সেটা উঠে যাবে, সে ক্ষেত্রেও ওই ধরনের ট্যাটু  ব্যবহার করা যাবে না। বরং এটাও হারামের আওতাধীন হবে।

(২)
যদি কারো ইসলামের জ্ঞান আসার পূর্বে ট্যাটু  করে থাকেন এবং সেটা যদি স্থায়ী হয় আর সেটা উঠাতে গিয়ে যদি তার শরীরের আরো বেশি ক্ষয়ক্ষতি হয় সেক্ষেত্রে ঐ ট্যাটু যদি এমন স্থানে হয়,যা কাপড় দ্বারা ঢেকে যাবে,তাহলে তা উক্ত অবস্থায় রেখে ক্ষয়ক্ষতি ব্যতিরেকে তা তুলার ব্যবস্থা করতে হবে।আর শরীরের এমন স্থানে হলে,যেখানে কাপড় ঢেকে রাখবে না,তা যথাসম্ভব তুলে ফেলার চেষ্টা করতে হবে।প্রয়োজনে একটু কষ্ট সহ্য করে হলেও তা তুলে ফেলতে হবে।


(৩)
https://www.ifatwa.info/1731 নং ফাতাওয়ায় আমরা বলেছি যে,
কেউ বাথরুমে ওজু করলে ওজুর দু'আ পড়তে হবে কি?এমন প্রশ্নের জবাবে আল্লামা ইবনে আবেদীন শামী রাহ বলেনঃ 
ﻭَﻟَﻮْ ﺗَﻮَﺿَّﺄَ ﻓِﻲ اﻟْﺨَﻼَءِ ﻟِﻌُﺬْﺭٍ ﻫَﻞْ ﻳَﺄْﺗِﻲ ﺑِﺎﻟْﺒَﺴْﻤَﻠَﺔِ ﻭَﻧَﺤْﻮِﻫَﺎ ﻣِﻦْ ﺃَﺩْﻋِﻴَﺘِﻪِ ﻣُﺮَاﻋَﺎﺓً ﻟِﺴُﻨَّﺔِ اﻟْﻮُﺿُﻮءِ ﺃَﻭْ ﻳَﺘْﺮُﻛُﻬَﺎ ﻣُﺮَاﻋَﺎﺓً ﻟِﻠْﻤَﺤَﻞِّ؟ ﻭَاَﻟَّﺬِﻱ ﻳَﻈْﻬَﺮُ اﻟﺜَّﺎﻧِﻲ ﻟِﺘَﺼْﺮِﻳﺤِﻬِﻢْ ﺑِﺘَﻘْﺪِﻳﻢِ اﻟﻨَّﻬْﻲِ ﻋَﻠَﻰ اﻷَْﻣْﺮِ ﺗَﺄَﻣَّﻞْ.
যদি কেউ বাইতুল খালা বা বাথরুমে ওজু করে,তাহলে কি সে ওজুর মাসনুন দু'আ পড়বে? না ছেড়ে দিবে?আমার কাছে না পড়াই অগ্রগণ্য(রদ্দুল মুহতার-১/৩৪৪)

তাই বুঝা গেল যে,প্রথমত বাথরুমে ওজু না করাই উত্তম,তবে ওজু করাও জায়েয।অন্যদিকে বাথরুমে ওজু করলে মাসনুন দু'আ সমুহ পড়া লাগবে না এবং পড়া যাবেও না।এমনকি আয়না দেখার দু'আ ও পড়া যাবে না।এ সম্পর্কে আরো জানুন-https://www.ifatwa.info/1015


(৪)
নামাজে বা যেকোনো কাজের ক্ষেত্রেই হোক যখন কেরাত পাঠ করা হয় তখন সে ক্ষেত্রে ঠোট নাড়িয়ে উচ্ছস্বর বা নিম্নস্বরের যে কোনো একটি দ্বারা উচ্ছারণ করতে হবে।উচ্ছস্বর এবং নিম্নস্বরের ব্যখ্যা জানতে ভিজিট করুন- https://www.ifatwa.info/2570


(৫)
দাজ্জাল পুরুষ হবে।সাহবায়ে কেরাম পুরুষদের মধ্যেই দাজ্জালকে খুজেছিলেন।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...