বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
(১)
ট্যাটু যদি মেহেদির বা ঐরকম কোন জিনিস দিয়ে করা হয় যেটা স্থায়ীভাবে শরীরের সাথে থাকবে না, হালকা পানি বা অন্য কিছু ব্যবহার করলে-ই সেটা উঠে যাবে, সে ক্ষেত্রেও ওই ধরনের ট্যাটু ব্যবহার করা যাবে না। বরং এটাও হারামের আওতাধীন হবে।
(২)
যদি কারো ইসলামের জ্ঞান আসার পূর্বে ট্যাটু করে থাকেন এবং সেটা যদি স্থায়ী হয় আর সেটা উঠাতে গিয়ে যদি তার শরীরের আরো বেশি ক্ষয়ক্ষতি হয় সেক্ষেত্রে ঐ ট্যাটু যদি এমন স্থানে হয়,যা কাপড় দ্বারা ঢেকে যাবে,তাহলে তা উক্ত অবস্থায় রেখে ক্ষয়ক্ষতি ব্যতিরেকে তা তুলার ব্যবস্থা করতে হবে।আর শরীরের এমন স্থানে হলে,যেখানে কাপড় ঢেকে রাখবে না,তা যথাসম্ভব তুলে ফেলার চেষ্টা করতে হবে।প্রয়োজনে একটু কষ্ট সহ্য করে হলেও তা তুলে ফেলতে হবে।
(৩)
কেউ বাথরুমে ওজু করলে ওজুর দু'আ পড়তে হবে কি?এমন প্রশ্নের জবাবে আল্লামা ইবনে আবেদীন শামী রাহ বলেনঃ
ﻭَﻟَﻮْ ﺗَﻮَﺿَّﺄَ ﻓِﻲ اﻟْﺨَﻼَءِ ﻟِﻌُﺬْﺭٍ ﻫَﻞْ ﻳَﺄْﺗِﻲ ﺑِﺎﻟْﺒَﺴْﻤَﻠَﺔِ ﻭَﻧَﺤْﻮِﻫَﺎ ﻣِﻦْ ﺃَﺩْﻋِﻴَﺘِﻪِ ﻣُﺮَاﻋَﺎﺓً ﻟِﺴُﻨَّﺔِ اﻟْﻮُﺿُﻮءِ ﺃَﻭْ ﻳَﺘْﺮُﻛُﻬَﺎ ﻣُﺮَاﻋَﺎﺓً ﻟِﻠْﻤَﺤَﻞِّ؟ ﻭَاَﻟَّﺬِﻱ ﻳَﻈْﻬَﺮُ اﻟﺜَّﺎﻧِﻲ ﻟِﺘَﺼْﺮِﻳﺤِﻬِﻢْ ﺑِﺘَﻘْﺪِﻳﻢِ اﻟﻨَّﻬْﻲِ ﻋَﻠَﻰ اﻷَْﻣْﺮِ ﺗَﺄَﻣَّﻞْ.
যদি কেউ বাইতুল খালা বা বাথরুমে ওজু করে,তাহলে কি সে ওজুর মাসনুন দু'আ পড়বে? না ছেড়ে দিবে?আমার কাছে না পড়াই অগ্রগণ্য(রদ্দুল মুহতার-১/৩৪৪)
তাই বুঝা গেল যে,প্রথমত বাথরুমে ওজু না করাই উত্তম,তবে ওজু করাও জায়েয।অন্যদিকে বাথরুমে ওজু করলে মাসনুন দু'আ সমুহ পড়া লাগবে না এবং পড়া যাবেও না।এমনকি আয়না দেখার দু'আ ও পড়া যাবে না।এ সম্পর্কে আরো জানুন-
https://www.ifatwa.info/1015
(৪)
নামাজে বা যেকোনো কাজের ক্ষেত্রেই হোক যখন কেরাত পাঠ করা হয় তখন সে ক্ষেত্রে ঠোট নাড়িয়ে উচ্ছস্বর বা নিম্নস্বরের যে কোনো একটি দ্বারা উচ্ছারণ করতে হবে।উচ্ছস্বর এবং নিম্নস্বরের ব্যখ্যা জানতে ভিজিট করুন-
https://www.ifatwa.info/2570
(৫)
দাজ্জাল পুরুষ হবে।সাহবায়ে কেরাম পুরুষদের মধ্যেই দাজ্জালকে খুজেছিলেন।