ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
(১)তারাবীহর সালাত চলাকালীন ওযু ছুটে গেলে পুনরায় ওযু করে জামাতে শরীক হবার সময় লক্ষ্য করা গেল যে ১ রাকাত আদায় হয়ে গিয়েছে। এখন যদি দেখা যায় যে, ঐ দ্বিতীয় রাকাতে শরীক হয়ে মাসবুকের মত পরে এক রাকাত শেষ করে আবার পরবর্তী দু রাকাতের প্রথম রাকাতে শরীক হওয়া যাবে, তাহলে ঐ দ্বিতীয় রাকাতে ইমামের সাথে শরীক হবে। নতুবা ইমাম দুই রাকাত পূর্ণ করার পর মুক্তাদি নামাযে যুক্ত হবে।
(২)
হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে উমর রাযি, থেকে বর্ণিত
عن عبد الله بن عمر قال : قال رسول الله صلى الله عليه وسلم : ( اجْعَلُوا آخِرَ صَلَاتِكُمْ بِاللَّيْلِ وِتْرًا )
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন,তোমরা বিতিরকে রাত্রের শেষ নামায বানাও।(সহীহ বুখারী-৯৯৮ সহীহ মুসলিম-৭৪৯)
হযরত আয়েশা রাযি থেকে বর্ণিত
عَنْ عَائِشَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْها أن النبي صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كان يُصَلِّي رَكْعَتَيْنِ بعد الوتر وَهُوَ جَالِسٌ .
তিনি বলেন,রাসূলুল্লাহ সাঃ বিতিরের পর বসে বসে দুই রা'কাত নামায পড়েছেন।(সহীহ মুসলিম-৭৩৮)
(৩)যে ব্যক্তি ইমামের সাথে সালাত শেষ করলো সে পুরা রাত ইবাদাতে কাটালো। এটা দ্বারা ফরয সালাত উদ্দেশ্য। সুতরাং বিতর ইমামের সাথে আদায় না করে পরবর্তীতে শেষ রাত্রে তাহাজ্জুদের পর আদায় করলে আপনি উক্ত সওয়াব পাবেন।
(৪)
প্রথমে এশার সুন্নত আদায় করে ইমামের সাথে তারবীহ পড়ে অবশিষ্ট তারাবিহকে একাকি পড়বেন।