ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
(১)
গোনাহ করার পর উক্ত গোনাহকে প্রকাশ না করার নির্দেশ রাসূলুল্লাহ সাঃ দিয়েছেন।যেমন-
আবূ হুরাইরা (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন,
عَنْ سَالِمِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ، قَالَ سَمِعْتُ أَبَا هُرَيْرَةَ، يَقُولُ سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ : ( ﻛُﻞُّ ﺃُﻣَّﺘِﻲ ﻣُﻌَﺎﻓًﻰ ﺇِﻟَّﺎ ﺍﻟْﻤُﺠَﺎﻫِﺮِﻳﻦَ ﻭَﺇِﻥَّ ﻣِﻦْ ﺍﻟْﻤُﺠَﺎﻫَﺮَﺓِ ﺃَﻥْ ﻳَﻌْﻤَﻞَ ﺍﻟﺮَّﺟُﻞُ ﺑِﺎﻟﻠَّﻴْﻞِ ﻋَﻤَﻠًﺎ ﺛُﻢَّ ﻳُﺼْﺒِﺢَ ﻭَﻗَﺪْ ﺳَﺘَﺮَﻩُ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﻋَﻠَﻴْﻪِ ﻓَﻴَﻘُﻮﻝَ ﻳَﺎ ﻓُﻠَﺎﻥُ ﻋَﻤِﻠْﺖُ ﺍﻟْﺒَﺎﺭِﺣَﺔَ ﻛَﺬَﺍ ﻭَﻛَﺬَﺍ ﻭَﻗَﺪْ ﺑَﺎﺕَ ﻳَﺴْﺘُﺮُﻩُ ﺭَﺑُّﻪُ ﻭَﻳُﺼْﺒِﺢُ ﻳَﻜْﺸِﻒُ ﺳِﺘْﺮَ ﺍﻟﻠَّﻪِ ﻋَﻨْﻪُ )
আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে বলতে শুনেছি যে, আমার সকল উম্মাতকে মাফ করা হবে, তবে প্রকাশকারী ব্যতীত। আর নিশ্চয় এ বড়ই অন্যায় যে, কোন লোক রাতের বেলা অপরাধ করল যা আল্লাহ গোপন রাখলেন। কিন্তু সে সকাল হলে বলে বেড়াতে লাগল, হে অমুক! আমি আজ রাতে এই এই কাজ করেছি। অথচ সে এমন অবস্থায় রাত কাটাল যে, আল্লাহ তার কর্ম লুকিয়ে রেখেছিলেন, আর সে ভোরে উঠে তার উপর আল্লাহর দেয়া আবরণ খুলে ফেলল। সহীহ বুখারী-৬০৬৯সহীহ?মুসলিম-২৯৯০
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
(ক)এমন মেয়েকে বিয়ে করা যাবে যদি সে বর্তমানে দ্বীনদার হয়।তাওবাহ করে নেয়।
(খ)কোনো যিনাকারী মেয়েকে বিয়ে করা যাবে যদি ঐ মেয়ে তাওবাহ করে নেয়।
(২) যিনা কবিরা গুনাহ্ । আর তাওবাহ দ্বারা সকল প্রকার গোনাহ মাফ হয়।
(৩) যিনাকারী একে অপরকে বিয়ে করা নাজায়েয হওয়ার কোনো কারণ নাই। তাদের জন্য তাওবাহ ওয়াজিব।
(৪) একটি মেয়েকে তার পোষাক-আশাক, চাল চলন, বংশ, সৌন্দর্য, দ্বীনদারিতা দেখে আপনার ভালো লাগলো। কিন্তু সে পূর্বে যিনা করেছে, তাকেও বিয়ে করতে পারবেন। তবে তাকে তাওবাহ করার কথা বলবেন।
(৫)
েএখানে গ্যারান্টি নয় বরং বলা হচ্ছে যে, যিনাকারী পুরুষ যিনাকারী স্ত্রীকেই পছন্দ করবে, ও সন্তষ্টিতে থাকবে। তবে কেউ তাওবাহ করে নিলে সে আর যিনাকারী থাকবে না।
(৬) কেউ আল্লাহ ভিরু হলে সে আল্লাহ ভিরু স্ত্রীকে পছন্দ করবে। এটাই মূলত কুরআনের অর্থ।
(৭) শ্বাশুড়িকে যদি কেউ রাগের মাথায় "I fuck you/her" বা বাংলা সম-অর্থ কোনো বাক্য দ্বারা গালি দেয়। বা, স্ত্রীকে বলে, I fuck your mother. তাহলে তালাক হবে না।
(৮)স্বামী যদি স্ত্রীকে বলে, তুমি যদি বেপর্দায় চলাফেরা করো তাহলে আমি তোমাকে তালাক দিব। স্ত্রী যদি বেপর্দায় চলাফেরা করে তাহলে অটোমেটিক তালাক হবে না।