আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
21 views
ago in হালাল ও হারাম (Halal & Haram) by (10 points)
আসসালামু আলাইকুম উস্তায।
প্রশ্ন-১
সুরা ফুরকানের ৭৪ নং আয়াতের বাংলা অর্থ
হে আমাদের রব, আপনি আমাদেরকে এমন স্ত্রী ও সন্তানাদি দান করুন যারা আমাদের চক্ষু শীতল করবে। আর আপনি আমাদেরকে মুত্তাকীদের নেতা বানিয়ে দিন। এই দোয়াতে উল্লেখ আছে স্ত্রী ও নেতা।  আমি মেয়ে কিন্তু যখন আরবিতে দোয়াটা পড়তে যাবো তখন তো আমারও বলা হবে স্ত্রী ও নেতার কথা। আমার প্রশ্ন হল মেয়েদের ক্ষেত্রে কি এই দোয়াটা আরবিতে পড়ার মধ্যে কোন ভিন্নতা আছে মানে আরবিতে যেখানে স্ত্রী ও নেতার কথা আছে সেখানে কি অন্যরকম ভাবে পড়তে হবে?

প্রশ্ন-২
আমি একজন বোনকে দেখেছি সে সেজদাতে সূরা ফোরকানের ৭৪ নং আয়াত পড়ে, কিন্তু মোনাজাতে সে একজন দাঈকে স্বামী হিসেবে চায়। সে দোয়া করে অনেকটা এমন করে হে আমার রব আমি ওনাকে তোমার কাছে আমার স্বামী হিসেবে চাই তুমি আমাদের দুজনকে দুজনের মাঝে কল্যাণ দান করে আমাদের একটি বরকতময় ও কল্যাণময় সংসার দান করো এবং আমাদের দুজনকে দুজনে চক্ষু শীতলকারী বানিয়ে দাও অতঃপর আমাদের দুজনকে মৃত্যুর পরে তোমার জান্নাতে মিলিত করে দিও আমাদের দুজনের মধ্যে দুজনের জন্য অকল্যাণ থাকলেও তুমি তাতে কল্যাণ দান কর নিশ্চয়ই তুমি অকল্যাণের মাঝে কল্যাণ দান করতে সক্ষম ও তুমিই সর্বশ্রেষ্ঠ দোয়া কবুলকারী। তাকে জিজ্ঞেস করেছিলাম সিজদাতে সূরা ফুরকানের ৭৪ নং আয়াত পড়লে মোনাজাতে কেন নিজের মন মত একজনকে চাই সে বলেছে সেজদাতে তো আর বাংলায় দোয়া করাটা তেমন একটা হয়ে উঠে না তাই মোনাজাতে নিজের মনের কথা আল্লাহকে বলে এখন আমার প্রশ্ন হল যদি সিজদাতে কোরানিক দোয়া পড়ে এবং মোনাজাতে নির্দিষ্ট করে একজনকে চায় তাহলে কি তার এ দোয়াটা কবুল হওয়ার সম্ভাবনা থাকে মানে সে আল্লাহকে বলছে চক্ষুশীতলকারী কাউকে দান করতে আবার মোনাজাতে নিজের মন মতো চাচ্ছে। আল্লাহই তো ভালো জানে তার চক্ষু শীতলকারী কে হবে যদিও তিনি মোনাজাতে বলে যে চক্ষু শীতলকারী বানিয়ে দিতে। উনার এই পদ্ধতিতে দোয়া করাটা কি ঠিক?

বি:দ্র: তার রবের প্রতি প্রচুর তাওয়াককুল যে আল্লাহ তাকে দিবেন কারণ আল্লাহ বলেছেন বান্দা যেমন ধারণা করে আল্লাহর প্রতি আল্লাহ বান্দার সাথে তেমন। এবং বোনের ধারণা আল্লাহ হয়তো তাকে তার তাকদিরে রেখেছেন এখন বোনকে দিয়ে দোয়া করিয়ে তারপরে দোয়া কবুল করবেন।

1 Answer

0 votes
ago by (711,030 points)


ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
জাওয শব্দের অর্থ জোড়া। পরিভাষায় জাওয বলা হয় স্বামীকে এবং জাওযা বলা হয স্ত্রীকে। 
زوج کے اصلی الفاظمعنیٰ
زَوْجُ [عام][اسم] جوڑا ( خلاف الفرد، ہم جنس دو چیزیں ) یا ایک دوسرے کی ضد دو چیزیں جیسے تر اور خشک، نر اور مادہ ۔ قرآن كريم میں ہے﴿ قُلْنَا احْمِلْ فِيهَا مِن كُلٍّ زَوْجَيْنِ اثْنَيْنِ﴾ (2) شب وروز (3) میٹھا اور کڑوا (4) ہم پلہ، جوڑی دار (5) مشابہ ومماثل (6) خاوند، شوہر (7) بیوی (8) قسم نوع وصنف ۔ قرآن كريم میں ہے: وانبتت من کل زوج بھیج ج: ازواج وزوجۃ ۔ کہتے ہیں: ھما زوج وھما زوجان: وہ دونوں باہم مربوط ہیں، ان کا جوڑا ہے ھذا الشَّيء زوج أو فرد: جیسے ھذا النعل زوج: یہ جوتا جوڑا ہے وھذا النعل فرد: یہ جوتا ایک ہی ہے جوڑا نہیں ہے

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
সূরা ফুরকানের ৭৪ নং আয়াত যদি কোনো নারী পড়ে তাহলে তখন অর্থ হবে, নেককার স্বামী। আর স্বামী পড়লে তখন অর্থ হবে নেককার স্ত্রী।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...