আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
35 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (3 points)
আসসালামু আলাইকুম উস্তাদ আমার স্বামীর আচার, আচরণ আখলাক একদম ই ভালো না. আর সে আমাকে দ্বীন এর নাম এ ধোঁকা দিয়ে বিয়ে করসে. কিন্ত সাংসারিক জীবন এ এসে এ দেখছি সে শুধু ফরজ সালাত পড়ে তাও জামাত এ নিয়মিত না. তো এসব নিয়ে আমি সব সময় ডিপ্রেশন এ ভুগি. ডিপ্রেশন থেকে বাঁচার জন্য আমি আলিম কোর্স করতেসি. ইনশাআল্লাহ এই বছর শেষ হলে আগামী বছর দাওরা তে ভর্তি হবো. আমি আমার নিজের টাকা দিয়ে ই পড়তেসি. কিন্ত তারপর ও তার এসব  পছন্দ না. উস্তাদ আমি সব সময় হতাশ তে থাকি, মনে নানা ভাঁজে চিন্তা আসে আমার কি আমার কি এমন অপরাধ ছিলো যে আমার ভাগ্য এ এমন স্বামী পড়লো? আমি যদি বছর এ একবার, দুইবার অসুস্থ হই বা বাচ্চা ও অসুস্থ হয় তখন তার হক ঠিক মত আদায় হয় না বলে আমার সাথে অনেক খারাপ ব্যবহার করে. এখন প্রায় সময় ই বলে চলে যাও. পড়ে আবার আমার নিয়ত জিজ্ঞাসা করে ক্লিয়ার হতে হয় আমার. আমার বাবার বাড়ি থেকে আমি সম্পত্তি পাবো. তার এই সম্পত্তি র প্রতি ও লোভ ছিলো. কিন্তু আমি ক্লিয়ার করে দিসি আমার এই সম্পত্তি আমি দ্বীন ইসলাম এর পথে খরচ করবো. তোমাকে আর আমার সন্তান কে আমি এই সম্পত্তি দিবো না. উস্তাদ আমার ইচ্ছা আমি দাওরা কমপ্লিট করে একটা মাদ্রাসা দিবো আমার নিজের জমিতে কিন্ত আমার স্বামী আমাকে help করবে না আর আমার কোনো মাহরম ও নেই যে আমাকে help করবে. আমি কিভাবে কোথা থেকে help পাবো? আর আল্লাহ যে আমার তাকদীর এ এমন স্বামী রেখেছেন এটা কি আমার গুনাহর কারণ এ কি আমি এমন স্বামী পাইসি? আমার স্বামী র খারাপ আচরণ এ কিভাবে সবর করবো? যদি আমি সবর করি এর বিনিময় এ কি পুরুস্কার আছে জানলে খুশি হতাম, সবর করা আমার জন্য সহজ হতো.
by (3 points)
আসলে আমি ডিপ্রেশন থেকে বাঁচার জন্য না, আমি আল্লাহ র সন্তুষ্ট র জন্য ই দ্বীনি পড়াশোনা করতেসি. বুজাতে checyci দ্বীনি পড়াশোনা নিয়ে ব্যাস্ত থাকলে ডিপ্রেশন কমে.

1 Answer

0 votes
by (677,850 points)
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم

কার সাথে কার বিয়ে হবে সেটা পূর্ব থেকেই নির্ধারিত।
আল্লাহ তাআলা কুরআনে ইরশাদ করেছেন,

وَخَلَقْنَاكُمْ أَزْوَاجًا [٧٨:٨

আমি তোমাদেরকে জোড়া জোড়া সৃষ্টি করেছি, {সূরা নাবা-৮}

সুতরাং বুঝা গেল জীবনসঙ্গী কে হবে? তা আল্লাহ তাআলা জানেন।নির্ধারিত রয়েছে। কিন্তু বান্দা জানে না। তাই বান্দা সর্বোচ্চ চেষ্টা করবে ভাল পাত্রি/পাত্র দেখে বিবাহ করতে।

হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আমর রাযি-থেকে বর্ণিত তিনি বলেন- 

ﻋَﻦْ ﻋَﺒْﺪِ اﻟﻠَّﻪِ ﺑْﻦِ ﻋَﻤْﺮٍﻭ ﺭَﺿِﻲَ اﻟﻠَّﻪُ ﻋَﻨْﻬُﻤَﺎ ﻗَﺎﻝَ: ﻗَﺎﻝَ ﺭَﺳُﻮﻝُ اﻟﻠَّﻪِ - ﺻَﻠَّﻰ اﻟﻠَّﻪُ ﻋَﻠَﻴْﻪِ ﻭَﺳَﻠَّﻢَ -( «ﻛَﺘَﺐَ اﻟﻠَّﻪُ ﻣَﻘَﺎﺩِﻳﺮَ اﻟْﺨَﻼَﺋِﻖِ ﻗَﺒْﻞَ ﺃَﻥْ ﻳَﺨْﻠُﻖَ اﻟﺴَّﻤَﺎﻭَاﺕِ ﻭَاﻷَْﺭْﺽَ ﺑِﺨَﻤْﺴِﻴﻦَ ﺃَﻟْﻒَ ﺳَﻨَﺔٍ)ﺭَﻭَاﻩُ ﻣُﺴْﻠِﻢٌ.

আল্লাহ তা‘আলা প্রত্যেক মানুষের তাক্বদীর লিপিবদ্ধ করেছেন আসমান-যমীন সৃষ্টির ৫০ হাজার বছর পূর্বে এবং তিনি যার ভাগ্যে যা লিপিবদ্ধ করেছেন তাই ঘটবে।(ছহীহ মুসলিম, মিশকাত হাদীস নং/৭৯)। 

আরো জানুনঃ- 

★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,
জন্ম মৃত্যুর মত বিয়ে শাদী ইত্যাদি সবকিছুই নির্ধারিত রয়েছে।তাকদীরে লিপিবদ্ধ রয়েছে।তাকদীরে যার সাথে বিয়ের কথা লিখিত রয়েছে,তার সাথেই বিয়ে হবে।

সুতরাং আল্লাহ যে আমার তাকদীর এ এমন স্বামী রেখেছেন এটা আপনার গুনাহর কারণ এ নয়।

★ইসলামে সবর (ধৈর্য) একটি বড় গুণ এবং আল্লাহ্ তা‘আলা সবরকারীদের জন্য অনেক প্রতিদান ও সান্ত্বনার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। কুরআনে বলা হয়েছে:

“নিশ্চয়ই ধৈর্যশীলদেরকে তাদের পুরস্কার নির্ধারিত হিসাব ছাড়াই পূর্ণরূপে প্রদান করা হবে।”
(সুরা আয্-যুমার 39:10)

আরেক জায়গায় বলা হয়েছে:
“আর তুমি ধৈর্য ধারণ করো। নিশ্চয়ই আল্লাহ্ ধৈর্যশীলদের সাথে আছেন।”
(সুরা আল-বাকারা 2:153)

রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন:

“মুসলমান যে কোন ক্লান্তি, কষ্ট, দুঃখ, দুশ্চিন্তা, আঘাত বা দুঃখভোগে পড়ুক না কেন—even যদি সে একটি কাঁটা দ্বারা আঘাত পায়—আল্লাহ্ তাতে তার গুনাহসমূহ মাফ করে দেন।”
(সহীহ বুখারী ও মুসলিম)

অর্থাৎ, অন্যায় সহ্য করার সময় আপনি যদি অন্যায়ের সঙ্গে যোগ না দেন এবং আল্লাহ্র জন্য ধৈর্য ধরেন, তাহলে তা আপনার জন্য গুনাহ মাফের এবং জন্নাতের উঁচু মর্যাদার কারণ হতে পারে।

★সবর সহজ করার কিছু উপায়

দু‘আ করুন: “রব্বানা আফরিগ ‘আলাইনা সবরান…” (সুরা বাকারা 2:250) — ধৈর্য চাইতে এই দোয়া পড়ুন।

★নামাজ ও যিকির: নিয়মিত নামাজ ও কুরআন পড়া হৃদয়কে শান্ত করে।

★নিজেকে আলাদা সময় দিন: একটু হাঁটা, শ্বাস-প্রশ্বাসের ব্যায়াম বা প্রিয় কাজগুলো করুন।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...