জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم
কার সাথে কার বিয়ে হবে সেটা পূর্ব থেকেই নির্ধারিত।
আল্লাহ তাআলা কুরআনে ইরশাদ করেছেন,
وَخَلَقْنَاكُمْ أَزْوَاجًا [٧٨:٨
আমি তোমাদেরকে জোড়া জোড়া সৃষ্টি করেছি, {সূরা নাবা-৮}
সুতরাং বুঝা গেল জীবনসঙ্গী কে হবে? তা আল্লাহ তাআলা জানেন।নির্ধারিত রয়েছে। কিন্তু বান্দা জানে না। তাই বান্দা সর্বোচ্চ চেষ্টা করবে ভাল পাত্রি/পাত্র দেখে বিবাহ করতে।
হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আমর রাযি-থেকে বর্ণিত তিনি বলেন-
ﻋَﻦْ ﻋَﺒْﺪِ اﻟﻠَّﻪِ ﺑْﻦِ ﻋَﻤْﺮٍﻭ ﺭَﺿِﻲَ اﻟﻠَّﻪُ ﻋَﻨْﻬُﻤَﺎ ﻗَﺎﻝَ: ﻗَﺎﻝَ ﺭَﺳُﻮﻝُ اﻟﻠَّﻪِ - ﺻَﻠَّﻰ اﻟﻠَّﻪُ ﻋَﻠَﻴْﻪِ ﻭَﺳَﻠَّﻢَ -( «ﻛَﺘَﺐَ اﻟﻠَّﻪُ ﻣَﻘَﺎﺩِﻳﺮَ اﻟْﺨَﻼَﺋِﻖِ ﻗَﺒْﻞَ ﺃَﻥْ ﻳَﺨْﻠُﻖَ اﻟﺴَّﻤَﺎﻭَاﺕِ ﻭَاﻷَْﺭْﺽَ ﺑِﺨَﻤْﺴِﻴﻦَ ﺃَﻟْﻒَ ﺳَﻨَﺔٍ)ﺭَﻭَاﻩُ ﻣُﺴْﻠِﻢٌ.
আল্লাহ তা‘আলা প্রত্যেক মানুষের তাক্বদীর লিপিবদ্ধ করেছেন আসমান-যমীন সৃষ্টির ৫০ হাজার বছর পূর্বে এবং তিনি যার ভাগ্যে যা লিপিবদ্ধ করেছেন তাই ঘটবে।(ছহীহ মুসলিম, মিশকাত হাদীস নং/৭৯)।
আরো জানুনঃ-
জন্ম মৃত্যুর মত বিয়ে শাদী ইত্যাদি সবকিছুই নির্ধারিত রয়েছে।তাকদীরে লিপিবদ্ধ রয়েছে।তাকদীরে যার সাথে বিয়ের কথা লিখিত রয়েছে,তার সাথেই বিয়ে হবে।
সুতরাং আল্লাহ যে আমার তাকদীর এ এমন স্বামী রেখেছেন এটা আপনার গুনাহর কারণ এ নয়।
★ইসলামে সবর (ধৈর্য) একটি বড় গুণ এবং আল্লাহ্ তা‘আলা সবরকারীদের জন্য অনেক প্রতিদান ও সান্ত্বনার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। কুরআনে বলা হয়েছে:
“নিশ্চয়ই ধৈর্যশীলদেরকে তাদের পুরস্কার নির্ধারিত হিসাব ছাড়াই পূর্ণরূপে প্রদান করা হবে।”
(সুরা আয্-যুমার 39:10)
আরেক জায়গায় বলা হয়েছে:
“আর তুমি ধৈর্য ধারণ করো। নিশ্চয়ই আল্লাহ্ ধৈর্যশীলদের সাথে আছেন।”
(সুরা আল-বাকারা 2:153)
রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন:
“মুসলমান যে কোন ক্লান্তি, কষ্ট, দুঃখ, দুশ্চিন্তা, আঘাত বা দুঃখভোগে পড়ুক না কেন—even যদি সে একটি কাঁটা দ্বারা আঘাত পায়—আল্লাহ্ তাতে তার গুনাহসমূহ মাফ করে দেন।”
(সহীহ বুখারী ও মুসলিম)
অর্থাৎ, অন্যায় সহ্য করার সময় আপনি যদি অন্যায়ের সঙ্গে যোগ না দেন এবং আল্লাহ্র জন্য ধৈর্য ধরেন, তাহলে তা আপনার জন্য গুনাহ মাফের এবং জন্নাতের উঁচু মর্যাদার কারণ হতে পারে।
★সবর সহজ করার কিছু উপায়
দু‘আ করুন: “রব্বানা আফরিগ ‘আলাইনা সবরান…” (সুরা বাকারা 2:250) — ধৈর্য চাইতে এই দোয়া পড়ুন।
★নামাজ ও যিকির: নিয়মিত নামাজ ও কুরআন পড়া হৃদয়কে শান্ত করে।
★নিজেকে আলাদা সময় দিন: একটু হাঁটা, শ্বাস-প্রশ্বাসের ব্যায়াম বা প্রিয় কাজগুলো করুন।