আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
14 views
in পবিত্রতা (Purity) by (7 points)
edited by
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহ।

আমার ইররেগুলার পিরিয়ডের সমস্যা আছে। এ মাসে সময়মতো হওয়ার পর ইস্তেহাযার সমস্যা দেখা দিয়েছে।( আমার নিয়মিত ইস্তেহাযা থাকে না,কয়েকমাস পর কখনো কখনো দেখা যায়,আবার ৫/৬ দিন পর সুস্থ হয়ে যাই) সাধারণত আমার ৮ দিন পিরিয়ড থাকে। ৮ম দিন শেষ হয়ে এখন ৯ম দিন চলছে। যেহেতু ১০দিন পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হয়,তাই এখনো সালাত শুরু করিনি। তবে আমি নিশ্চিত এবার ইস্তেহাযা হবে। ইত:পূর্বে পিরিয়ড শুরু হওয়ার আগে আমি আগের রমাদানের কাফফারার ৩৪ টি রোজা রেখেছিলাম। এখন তা বন্ধ রেখেছি। আমার প্রশ্ন হচ্ছে,যেহেতু আমি আগে থেকেই নিশ্চিত এবার ইস্তেহাযা হবে কিন্তু আমি ৮ম দিনে সালাত শুরু করিনি, এখন আমার হিসেব কি ভুল হয়েছে? বা আমার কি ৮ম দিন থেকেই সালাত,রোজা শুরু করা উচিত ছিলো? আর যদি উচিত হয়ে থাকে,এক্ষেত্রে কি কাফফারার রোজার ধারাবাহিকতা ভেঙ্গে গিয়েছে? দ্রুত জানালে খুব মুনাসিব হয়,এ বিষয়ে জটিলতার মধ্যে আছি।

এই প্রশ্নটা গত মাসেও করেছিলাম কিন্তু উত্তর পাইনি। এবার আবারো একই সমস্যা দেখা দিয়েছে। উত্তর জানাটা খুবই জরুরি।

জাযাকাল্লাহু খইর

1 Answer

0 votes
ago by (677,820 points)
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم

https://ifatwa.info/71747/ নং ফতোয়াতে উল্লেখ রয়েছেঃ- 
মহিলাদের হায়েজ আসা যেহেতু শারীরিক ও শরয়ী ওযর,আর এটি তার প্রত্যেক মাসেই আসে।
এই জন্য শরীয়ত তার কারনে কাফফারার দুই মাসের রোযার মধ্যে বিরতিকে মাফ বলে সাব্যস্ত করেছেন। সুতরাং যদি কোনো মহিলা হায়েজ আসার কারনে ৬০ রোযা রাখা অবস্থায় মাঝে কিছু রোযা হায়েজের কারনে না রাখতে পায়,তাহলে এর দরুন ধারাবাহিকতা বা লাগাতারের বিষয়টি ভেঙ্গে যাবেনা।
শুধু হায়েজের দিন গুলি বাদ দিয়ে পূর্ণ ৬০ দিন রোযা রাখতে হবে।

কেননা আল্লাহ তা'আলা সামর্থ্যর অধিক দায়িত্ব কাউকে দেননা।

আল্লাহ তা'আলা বলেন,
لاَ يُكَلِّفُ اللّهُ نَفْسًا إِلاَّ وُسْعَهَا لَهَا مَا كَسَبَتْ وَعَلَيْهَا مَا اكْتَسَبَتْ

আল্লাহ কাউকে তার সাধ্যাতীত কোন কাজের ভার দেন না, সে তাই পায় যা সে উপার্জন করে এবং তাই তার উপর বর্তায় যা সে করে।(সূরা বাকারা-১৮৬)

الاختيار لتعليل المختار (3/ 165):
"ولو حاضت المرأة في كفارة الصوم لا تستقبل، وإن أفطرت لمرض استقبلت."

সারমর্মঃ-
রোযার কাফফারা আদায়ের মাঝে যদি কোনো মহিলার হায়েজ আসে,তাহলে এর দরুন তাকে পুনরায় রোযা শুরু করতে হবেনা।
হ্যাঁ যদি কোনো অসুস্থতা বশত রোযা ভেঙ্গে ফেলে,সেক্ষেত্রে কাফফারার রোযা পুনরায় শুরু করতে হবে।

رد المحتار: (109/2)
فان لم یجد صام شھرین متتابعین۔۔۔۔۔
فلو افطر ولو لعذر استانف الا لعذر الحیض۔

সারমর্মঃ-
কেহ যদি কাফফারার রোযা ভেঙ্গে ফেলে,সেক্ষেত্রে যদিও ওযরের কারনে হোক, কাফফারার রোযা পুনরায় শুরু করতে হবে।
কিন্তু হায়েজের দরুন ব্যাতিত। (এক্ষেত্রে রোযা পুনরায় নতুন করে শুরু করতে হবেনা।)

★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,
আপনার ব্লিডিং এর অবস্থা দেখে আপনার যেহেতু প্রবল ধারণা যে ১০ দিন পরেও ব্লিডিং চলতেই থাকবে, সেক্ষেত্রে আপনার নবম দিনে নামাজ ও কাফফারার রোজা আদায় করা উচিত ছিল।

তবে আপনি যেহেতু শতভাগ নিশ্চিত নন এ বিষয়ে, তাই আপনি যদি ১১ তম দিন থেকে রোজা শুরু করে দেন তাহলেও ইনশাআল্লাহ কাফফারার রোযার ধারাবাহিকতা নষ্ট হবেনা।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

ago by (7 points)
তাহলে কি আমি আগামীকাল থেকে রোজা এবং সালাত শুরু করে দিবো? ১০ম দিন হবে আগামীকাল। 

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 12 views
...