ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
(১)পুলসিরাত জাহান্নামের উপরে থাকবে ।জায়গা থেকে প্রত্যেকেই পার হতে হবে ।বিচারকার্য শেষ হওয়ার পরে সবাই পুলসিরাত েএর উপর দিয়ে যাওয়া শুরু করবে ।
পবিত্র রমজানের ফজিলত তুলে ধরতে গিয়ে মহানবী সা: সাহাবিদের সামনে এক ভাষণে বলেছেন, ‘হে মানুষেরা! এই মাসে সৎ বা সুন্দর আচরণকারীরা কিয়ামতের দিন পুলসিরাত পার হওয়ার সৌভাগ্য অর্জন করবে। আর যারা অসৎ তাদের পাগুলো সেদিন পিছলে যেতে চাইবে। যে কেউ এই মাসে তার অধীনস্থ কর্মীদের কাজের বোঝা কমিয়ে দেবে আল্লাহ পরকালে তার হিসাব-নিকাশ সহজ করবেন এবং যে কেউ এই মাসে অন্যকে বিরক্ত করবে না মহান আলাহ তাকে বিচার-দিবসে নিজের ক্রোধ হতে নিরাপদ রাখবেন। যে কেউ রমজান মাসে কোনো এক ইয়াতিমকে সম্মান করবে ও তার সঙ্গে দয়ার্দ্র আচরণ করবে মহান আল্লাহও বিচার-দিবসে তার প্রতি দয়ার দৃষ্টি দেবেন। যে এই মাসে নিজের আত্মীয়-স্বজনের সাথে ভালো আচরণ করবে, মহান আলাহও বিচার-দিবসে তার প্রতি দয়া করবেন, আর যে এই মাসে আত্মীয়-স্বজনের সাথে খারাপ আচরণ করবে আলাহও তাকে নিজ রহমত থেকে দূরে রাখবেন।’ (আত-তাবারানি, কিতাবুল আওসাত ৪/৪৫)
পুলসিরাত শব্দ নিয়ে সরাসরি না বললেও মহান আলাহ তায়ালা পবিত্র কুরআনে বলেন : তোমাদের প্রত্যেকেই তা (পুলসিরাত) অতিক্রম করবে; ওটা তোমার রবের অনিবার্য সিদ্ধান্ত। (সূরা : মারিয়াম,আয়াত-৭১) আলোচ্য আয়াতে পুলসিরাত সম্পর্কে বর্ণনা করা হয়েছে।
পুলসিরাত অতিক্রম করা সম্পর্কে রাসূলুলাহ সা: বলেছেন, ‘সেদিন কেউ বিদ্যুতের গতিতে, কেউ বাতাসের গতিতে, কেউ ঘোড়ার গতিতে, কেউ আরোহীর গতিতে, কেউ দৌড়িয়ে, আবার কেউ হাঁটার গতিতে (পুলসিরাত) অতিক্রম করবে।’ (তিরমিজি, দারেমি) উম্মুল মুমিনিন হজরত আয়েশা সিদ্দিকা রা: থেকে বর্ণিত, রাসূলুলাহ সা: বলেছেন, ‘জাহান্নামের ওপর একটি পুল আছে, যা চুলের চেয়েও বেশি চিকন আর তরবারির চেয়েও বেশি ধারালো। এর ওপর লোহার শিকল ও কাঁটা থাকবে। মানুষ এর ওপর দিয়েই গমন করবে। কেউ চোখের পলকে, কেউ বিদ্যুৎ গতিতে, কেউ বায়ুবেগে আর কেউ উত্তম ঘোড়া ও উটের গতিতে পুলসিরাত পার হবে। আর ফেরেশতারা বলতে থাকবে, হে প্রভু! সহিসালামতে অতিক্রম করাও, হে প্রভু! নিরাপদে পার করাও। কেউ নাজাত পাবে, কেউ আহত হবে, কেউ উপুড় হয়ে পড়ে যাবে আর কেউ অধঃমুখী হয়ে জাহান্নামে পড়ে যাবে।’ (মুসনাদে ইমাম আহমদ : ২৪৮৪৭)(সংগৃহিত)
(২)আল্লাহ শেষ রাত্রে প্রথম আসমানে অবতরণ করেন এবং ওই সময় যে কোনো আমল গ্রহণ করা হবে ।বিশেষ করে তাহাজ্জুদ তাওবাহ, কুরআন তিলাওয়াত।
(৩) তৃতীয় নং প্রশ্নটা অস্পষ্ট। ব্যখ্যা করে কমেন্টে উল্লেখ করবেন।
(৪)নবীজির চাচা আবু তালেব তার অনেক সেবা করেছে তাকে ছোটবেলা থেকে লালন পালন করেছেন তাও তিনি জাহান্নামে যাবেন , কেননা তিনি মুসলমান হননি। আবু লাহাব নবীজির এর চাচা হন।
(৫) প্রথমেই বলে নিবেন আমরা কোনো ধর্মকে অসম্মান করতে চাই না। শুধুমাত্র হক কে মানুষের সামনে তুলে ধরতে চাই।