জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم
(০১)
মাহাম (ماہم / Maham)
উৎস: ফারসি / উর্দু থেকে ধরা হলে এর অর্থ: চাঁদ বা চাঁদের মতো সুন্দর
‘মাহ’ (ماہ) মানে চাঁদ, আর ‘-আম’ যুক্ত হয়ে স্নেহবাচক রূপ নিয়েছে।
মাহাসা (ماهسا / Mahasa বা Mahsa)
উৎস: ফারসি থেকে ধরা হলে এর অর্থ: চাঁদের মতো বা চাঁদের সৌন্দর্যসম্পন্ন কন্যা
ফারসিতে ‘ماه’ (মাহ) = চাঁদ, ‘-سا’ (সা) = মতো/সদৃশ।
উক্ত অর্থে উপরোক্ত নাম দুটি রাখা যাবে।
এর অর্থ সিংহী ধরা হলেও সেই নাম রাখা নাজায়েজ হবেনা।
(০২)
হাদীস শরীফে এসেছেঃ-
ইমরান বিন হুসাইন (রদ্বি, ) থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ (স) বলেছেন,
لَيْسَ مِنَّا مَنْ تَطَيَّرَ، أَوْ تُطُيِّرَ لَهُ أَوْ تَكَهَّنَ، أَوْ تُكُهِّنَ لَهُ أَوْ سَحَرَ، أَوْ سُحِرَ لَهُ-
, ‘‘সে ব্যক্তি আমাদের দলভুক্ত নয়, যে ব্যক্তি (কোন বস্ত্ত, ব্যক্তি কর্ম বা কালকে) অশুভ লক্ষণ বলে মানে অথবা যার জন্য অশুভ লক্ষণ দেখা (পরীক্ষা) করা হয়, যে ব্যক্তি (ভাগ্য) গণনা করে অথবা যার জন্য (ভাগ্য) গণনা করা হয়। আর যে ব্যক্তি যাদু করে অথবা যার জন্য (বা আদেশে) যাদু করা হয়।’’ (ত্বাবারানী ১৪৭৭০, সহীহুল জামে’ ৫৪৩৫ ,সিলসিলা ছহীহা ২১৯৫)
এগুলোতে বিশ্বাস করা শিরক। এভাবে শুভ অশুভ নির্ণয়ের বিধান প্রসঙ্গে রসূলুল্লাহ (স) বলেন,
اَلطِّيَرَةُ شِرْكٌ
‘কুলক্ষণে বিশ্বাস করা শিরক’।[আবুদাঊদ, তিরমিযী; মিশকাত, ৪৫৮৪]
আব্দুল্লাহ বিন আমর বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (স) একদা বললেন, কুলক্ষণ যে ব্যক্তিকে কোন কাজ থেকে ফিরিয়ে রাখে, নিশ্চয়ই সে শিরক করে। ছাহাবীগণ আরয করলেন, ইয়া রাসূলাল্লাহ! উহার কাফফারা কি হবে? তিনি বললেন, ঐ ব্যক্তি বলবে-
اَللَّهُمَّ لاَ خَيْرَ إِلاَّ خَيْرُكَ وَلاَ طَيْرَ إِلاَّ طَيْرُكَ وَلاَ إِلَهَ غَيْرُكَ
‘হে আল্লাহ! আপনার কল্যাণ ছাড়া কোন কল্যাণ নেই। আপনার সৃষ্ট কুলক্ষণ ছাড়া কোন কুলক্ষণ নেই। আর আপনি ছাড়া কোন মা‘বূদও নেই’ [আহমাদ ৭০৪৫, সিলসিলা ছহীহা ১০৬৫]
★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,
এটা স্পষ্ট কুঃসংস্কার। বানোয়াট একটি বিষয়।
এটি বিশ্বাস করা জায়েজ নেই। এটি বিশ্বাস করা ঈমানের জন্য ক্ষতিকর।
ইসলামে এমন কোনো নির্দেশনা দেওয়া নেই।
সুতরাং আপনি যদি আপনার সন্তান জন্মের আগে , তার জন্য প্রয়োজনীয় জিনিস ক্রয় করে ,তাহলে এর দরুন আপনার বাবু মারা যাবেনা,এর দরুন তার কোনো ক্ষতি হবেনা।