আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
70 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (6 points)
edited by
আমার আগের করা প্রশ্ন https://ifatwa.info/127870/

শাইখ আপনার প্রশ্ন ছিলো
(০১)প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে আপনি যদি তালাকে তাফওইজের ক্ষমতাবলে নিজের নফসের উপর তালাক প্রদান করে থাকেন,সেক্ষেত্রে তালাক পতিত হয়ে গিয়েছে।

এক্ষেত্রে ৩ হায়েজ অতিবাহিত হওয়ার পর আপনি অন্যত্রে বিবাহ বসতে পারবেন।

(০২)
এখানে আপনি কাকে তালাক দিয়েছেন,সেটি স্পষ্ট করেননি।

আপনি কি স্বামীকে তালাক দিয়েছেন? নাকি আপনি নিজেকে তালাক দিয়েছেন?
সেটি আগে স্পষ্ট করুন।

★★আপনার প্রশ্নের উত্তরে আমি বলতে চাই,

আমার পাঠানো তালাক নোটিশে অনেক কিছু বিস্তারিত  লিখা হয়েছে যে কারণে আমি বিচ্ছেদ ঘটাইলাম সেসব কারণ ও উভয়ের পিতা-মাতার নাম ঠিকানা ইত্যাদি  সাধারণত তালাক নোটিশে যা লিখা হয়ে থাকে তেমন করে ,  সেই সাথে লিখা হয়েছে  মুসলিম পারিবারিক আইনমতে- স্বামীর নাম লিখে ( মুহাম্মাদ..ত** বা**) কে তালাক তফওইজ প্রদান করিলাম আরেক জায়গায় লিখা হয়েছে স্বামী নাম (মুহাম্মাদ ত*...বা*) কে তালাক প্রধানপূর্বক বিবাহবিচ্ছেদ ঘটাইলাম। মোট কথা সব জায়গায় স্পষ্ট তার নাম উল্লেখ করে এভাবে লিখা হয়েছে এবং মুসলিম আইন অনুযায়ী কোর্ট তালাক নোটিশ পাঠানো হয়েছে। আমার স্বামী আমাকে অনেক উল্টাপাল্টা কথা বলে, উনি বলে আমার তালাক নোটিশ ঠিক মতন লিখা হয়নি তাই এটা বাতিল এসব বলে আমাকে কথা শোনায় খারাপ ভাষা ব্যবহার করে এবং অস্বীকার করে উনি কাগজ পাননি এবং কাগজে সঠিক ভাবে লিখা হয়নি অথচ উনার ঠিকানায় কাগজ পাঠানো হয়েছে+ উনার সাথে আমার যখন কথা হয় আমি নোটিশ পাঠানোর ২মাস পর আবারও তাকে তালাক নোটিশের ছবি পাঠাই সকল পৃষ্ঠার এবং তা দেখে উনি অস্বীকার করে  । আমি জানতে চাই   সঠিক ভাবে লিখা হয়েছে কি নোটিশে এবং তালাক হয়েছে কি আমাদের?

★ শাইখ আমার আরেকটা প্রশ্ন আমার স্বামী আমার
২বছর ৪ মাসের শিশুকে রেখে দিয়েছে,  আর আমার
সন্তানের খোঁজ খবর নিতে দেয়না, তার মা ( আমার শাশুড়ীকে) কল দিতে নিষেধ করেছে, এবং কল দিলে তারা কল ধরেনা আমি আমার সন্তানের খোঁজ খবর নিতে পারিনা, সন্তানের আওয়াজ অব্দি  শোনা থেকেও বঞ্চিত!  আমার সন্তান থেকে দূরে রেখেছে, দেখা সাক্ষাৎ যেনো না করি, আমার ছায়াও যেনো না পরে এসব ধরনের কথা বলে  হুমকি স্বরুপ!  এসব জুলুম করছে
 ইসলাম কি বলে এ বিষয়?  এবং এর শাস্তি কি?
★ আমার আরেকটা প্রশ্ন একটি দাম্পত্য বিচ্ছেদ হওয়ার পর সন্তান কার কাছে থাকবে এবং বিচ্ছেদ হওয়ার পর পিতা- মাতার করণীয় কি সন্তানের জন্য, ইসলাম কি বলে এ বিষয়?

1 Answer

0 votes
by (716,940 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
(১)
প্রথমত মৌলিক একটি বিষয় আমাদেরকে বুঝে নিতে হবে যে, মাসআলা বা ফাতাওয়া দেয়া হয়, প্রশ্নকারীর বর্ণনা অনুপাতে। প্রশ্নের শব্দের হেরফের ফাতাওয়া পাল্টে যায়।
যাইহোক, আপনার বক্তব্য অনুপাতেই সমাধান পেশ করা হচ্ছে। যদি আসল অবস্থা ভিন্ন হয়, তাহলে এর দায়দায়িত্ব আমাদের নয়।

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
আপনার যদি তালাক গ্রহণের অনুমোদন থাকে তথা তাফবীযে তালাক গ্রহণের অনুমোদন থাকে, এবং আপনি যদি নিজের উপর তালাক গ্রহণ করে করেন বা এজাতীয় শব্দাবলী উচ্ছারণ করেন, তাহলে তালাক পতিত হয়ে যাবে। স্বামীর নিকট কাগজ পৌছুক বা না পৌছুক। তালাক পতিত হতে কোনো বাধা নেই। 

(২)
ফাতওয়ায়ে হিন্দিয়াতে বর্ণিত আছে.......
ِ أَحَقُّ النَّاسِ بِحَضَانَةِ الصَّغِيرِ حَالَ قِيَامِ النِّكَاحِ أَوْ بَعْدَ الْفُرْقَةِ الْأُمُّ 
অর্থাৎ-নাবালক সন্তানাদির লালন-পালনের অগ্রাধিকার ভিত্ততে হক্বদার মা,চায় (উক্ত সন্তানাদির পিতার সাথে)বর্তমানে বৈবাহিক সম্পর্ক অটুট থাকুক অথবা না থাকুক।এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/1874

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
সন্তান লালন পালনের দায়িত্ব মায়ের। সুতরাং মাকে সন্তান লালন পালন থেকে বাধা দিলে বাধা প্রদানকারীদের গোনাহ হবে।

(৩) বালেগ হওয়ার পূর্ব পর্যন্ত সন্তান লালন পালনের দায়িত্ব মায়ের। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...