ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
অমুসলিমদের জন্য দু'আ প্রসঙ্গে আল্লাহ পাক বলেন,
ﻣَﺎ ﻛَﺎﻥَ ﻟِﻠﻨَّﺒِﻲِّ ﻭَﺍﻟَّﺬِﻳﻦَ ﺁﻣَﻨُﻮﺍْ ﺃَﻥ ﻳَﺴْﺘَﻐْﻔِﺮُﻭﺍْ ﻟِﻠْﻤُﺸْﺮِﻛِﻴﻦَ ﻭَﻟَﻮْ ﻛَﺎﻧُﻮﺍْ ﺃُﻭْﻟِﻲ ﻗُﺮْﺑَﻰ ﻣِﻦ ﺑَﻌْﺪِ ﻣَﺎ ﺗَﺒَﻴَّﻦَ ﻟَﻬُﻢْ ﺃَﻧَّﻬُﻢْ ﺃَﺻْﺤَﺎﺏُ ﺍﻟْﺠَﺤِﻴﻢِ
নবী ও মুমিনের উচিত নয় মুশরেকদের মাগফেরাত কামনা করে, যদিও তারা আত্নীয় হোক একথা সুস্পষ্ট হওয়ার পর যে তারা দোযখী।
ﻭَﻣَﺎ ﻛَﺎﻥَ ﺍﺳْﺘِﻐْﻔَﺎﺭُ ﺇِﺑْﺮَﺍﻫِﻴﻢَ ﻟِﺄَﺑِﻴﻪِ ﺇِﻻَّ ﻋَﻦ ﻣَّﻮْﻋِﺪَﺓٍ ﻭَﻋَﺪَﻫَﺎ ﺇِﻳَّﺎﻩُ ﻓَﻠَﻤَّﺎ ﺗَﺒَﻴَّﻦَ ﻟَﻪُ ﺃَﻧَّﻪُ ﻋَﺪُﻭٌّ ﻟِﻠّﻪِ ﺗَﺒَﺮَّﺃَ ﻣِﻨْﻪُ ﺇِﻥَّ ﺇِﺑْﺮَﺍﻫِﻴﻢَ ﻷﻭَّﺍﻩٌ ﺣَﻠِﻴﻢٌ
আর ইব্রাহীম কর্তৃক স্বীয় পিতার মাগফেরাত কামনা ছিল কেবল সেই প্রতিশ্রুতির কারণে, যা তিনি তার সাথে করেছিলেন। অতঃপর যখন তাঁর কাছে একথা প্রকাশ পেল যে, সে আল্লাহর শত্রু তখন তার সাথে সম্পর্ক ছিন্ন করে নিলেন। নিঃসন্দেহে ইব্রাহীম ছিলেন বড় কোমল হৃদয়, সহনশীল।(সূরা- তাওবাহ-১১৩-১১৪) বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন-৯০১
সু-প্রিয় পাঠকবর্গ ও প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
কাফিরের আখেরাতের ভালোর জন্য দু'আ নাজায়েয।যা কুরআন দ্বারা প্রমাণিত।
সুতরাং কেউ না জেনে করলে,কোনো সমস্যা নাই।সে তাওবাহ করে নেবে।আর জেনে বুঝে করলে, তখন ঈমান চলে যাবে।কেননা এটা কুরআন অস্বীকারের শামিল।
সুতরাং
কোন খ্রিষ্টান যদি কোন মুসলমানকে বলেন, "আমি আপনার জন্য প্রতিদিন প্রার্থনা করি" -তাহলে মুসলমান হিসেবে কথাটা এড়িয়ে যাওয়া উচিত অথবা হাদাকাল্লাহ (তথা আল্লাহ তোমাকে হেদায়ত দান করুক) বলা উচিৎ।
পক্ষান্তরে কোন মুসলমান যদি কোন খ্রিষ্টানকে বলেন , "আমার জন্য প্রার্থনা করিস/করবেন।" যদি কোনো মুসলিম এ নিয়তে বলে যে, তার দু’আ কবুল হবে, তাহলে তার ঈমান চলে যাবে। আর এমনিতেই বলে ফেললে গোনাহ হবে।