আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
235 views
in ঈমান ও বিশ্বাস (Faith and Belief) by (10 points)
প্রিয় শায়েখ,

ﺍَﻟﺴَّﻼَﻡْ ﻋَﻠَﻴْــــــــــــــــــــﻜُﻢْ ﻭَ ﺭَﺣْﻤَﺔُ ﺍﻟﻠﮧِ ﻭَﺑَﺮَﻛَﺎﺗُﻪ

.....কোন খ্রিষ্টান যদি কোন মুসলমানকে বলেন, "আমি আপনার জন্য প্রতিদিন প্রার্থনা করি" -তাহলে মুসলমান হিসেবে কি উত্তর দেয়া উচিৎ বা কথাটা কি এড়িয়ে যাওয়া উচিত?

.....পক্ষান্তরে কোন মুসলমান যদি কোন খ্রিষ্টানকে বলেন , "আমার জন্য প্রার্থনা করিস/করবেন।" -এতে তার ইমানের কি অবস্থা হবে?

ﺠَﺰَﺍﻛُﻢُ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﺧَﻴْﺮًﺍ

1 Answer

0 votes
by (597,330 points)

ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-

https://www.ifatwa.info/5871 নং ফাতাওয়ায় আমরা বলেছি যে,
অমুসলিমদের জন্য দু'আ প্রসঙ্গে আল্লাহ পাক বলেন,
ﻣَﺎ ﻛَﺎﻥَ ﻟِﻠﻨَّﺒِﻲِّ ﻭَﺍﻟَّﺬِﻳﻦَ ﺁﻣَﻨُﻮﺍْ ﺃَﻥ ﻳَﺴْﺘَﻐْﻔِﺮُﻭﺍْ ﻟِﻠْﻤُﺸْﺮِﻛِﻴﻦَ ﻭَﻟَﻮْ ﻛَﺎﻧُﻮﺍْ ﺃُﻭْﻟِﻲ ﻗُﺮْﺑَﻰ ﻣِﻦ ﺑَﻌْﺪِ ﻣَﺎ ﺗَﺒَﻴَّﻦَ ﻟَﻬُﻢْ ﺃَﻧَّﻬُﻢْ ﺃَﺻْﺤَﺎﺏُ ﺍﻟْﺠَﺤِﻴﻢِ
নবী ও মুমিনের উচিত নয় মুশরেকদের মাগফেরাত কামনা করে, যদিও তারা আত্নীয় হোক একথা সুস্পষ্ট হওয়ার পর যে তারা দোযখী।
ﻭَﻣَﺎ ﻛَﺎﻥَ ﺍﺳْﺘِﻐْﻔَﺎﺭُ ﺇِﺑْﺮَﺍﻫِﻴﻢَ ﻟِﺄَﺑِﻴﻪِ ﺇِﻻَّ ﻋَﻦ ﻣَّﻮْﻋِﺪَﺓٍ ﻭَﻋَﺪَﻫَﺎ ﺇِﻳَّﺎﻩُ ﻓَﻠَﻤَّﺎ ﺗَﺒَﻴَّﻦَ ﻟَﻪُ ﺃَﻧَّﻪُ ﻋَﺪُﻭٌّ ﻟِﻠّﻪِ ﺗَﺒَﺮَّﺃَ ﻣِﻨْﻪُ ﺇِﻥَّ ﺇِﺑْﺮَﺍﻫِﻴﻢَ ﻷﻭَّﺍﻩٌ ﺣَﻠِﻴﻢٌ
আর ইব্রাহীম কর্তৃক স্বীয় পিতার মাগফেরাত কামনা ছিল কেবল সেই প্রতিশ্রুতির কারণে, যা তিনি তার সাথে করেছিলেন। অতঃপর যখন তাঁর কাছে একথা প্রকাশ পেল যে, সে আল্লাহর শত্রু তখন তার সাথে সম্পর্ক ছিন্ন করে নিলেন। নিঃসন্দেহে ইব্রাহীম ছিলেন বড় কোমল হৃদয়, সহনশীল।(সূরা- তাওবাহ-১১৩-১১৪) বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন-৯০১


সু-প্রিয় পাঠকবর্গ ও প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
কাফিরের আখেরাতের ভালোর জন্য দু'আ নাজায়েয।যা কুরআন দ্বারা প্রমাণিত।
সুতরাং কেউ না জেনে করলে,কোনো সমস্যা নাই।সে তাওবাহ করে নেবে।আর জেনে বুঝে করলে, তখন ঈমান চলে যাবে।কেননা এটা কুরআন অস্বীকারের শামিল।

সুতরাং
কোন খ্রিষ্টান যদি কোন মুসলমানকে বলেন, "আমি আপনার জন্য প্রতিদিন প্রার্থনা করি" -তাহলে মুসলমান হিসেবে  কথাটা এড়িয়ে যাওয়া উচিত অথবা হাদাকাল্লাহ (তথা আল্লাহ তোমাকে হেদায়ত দান করুক) বলা উচিৎ।

পক্ষান্তরে কোন মুসলমান যদি কোন খ্রিষ্টানকে বলেন , "আমার জন্য প্রার্থনা করিস/করবেন।" যদি কোনো মুসলিম এ নিয়তে বলে যে, তার দু’আ কবুল হবে, তাহলে তার ঈমান চলে যাবে। আর এমনিতেই বলে ফেললে গোনাহ হবে।



(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (10 points)
ওস্তাদ ﺠَﺰَﺍﻛُﻢُ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﺧَﻴْﺮًﺍ
উত্তর পেয়েছি। আলহামদুলিল্লাহ্ 

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...