আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
554 views
in ব্যবসা ও চাকুরী (Business & Job) by (6 points)
আসসালামুয়ালাইকুম ওয়ারহমাতুল্লাহ

শাইখ, আমি চারুকলায় ভর্তি হয়েছিলাম আবেগের বশে। রং নিয়ে কোন কিছু রাঙাতে ভাল লাগত বলে। আমি এখন তৃতীয় বর্ষে অধ্যয়নরত আছি। অনার্স শেষ করতে আমাকে আরো দেড় থেকে দুই বছর এখানে পড়াশোনা করতে হবে। এই পর্যায়ে এসে আমি বুঝতে পারছি এই পরিবেশটা আমার জন্য না। কোন রকম শারীরিক পর্দা খুব কষ্টে আঁকড়ে ধরলেও কন্ঠের পর্দা,চোখের পর্দা ও অন্যান্য পর্দা রক্ষা করা সম্ভব হয়না অনেক সময়। একজন মেয়ের জন্য এই পরিবেশটা যে কত বড় ফেতনার তা যদি আগে  জানতাম তাহলে কখনোই এখানে ভর্তি হতামনা। এখন নাপারছি থাকতে নাপারছি ছাড়তে। পরীক্ষায় পাশ করার জন্য আমাকে মানুষ ও পশু, পাখির ছবি আঁকতে হয় এমনকি মাটি বা অন্যান্য মিডিয়া দিয়ে বানাতেও হয়। আমি যে এগুলো খুশি মনে করি ব্যাপারটা ঠিক তাও নয়। আমি বাধ্য। আমি সব সময় হারাম থেকে নিজেকে বাঁচিয়ে রাখতে চেষ্টা করে যাচ্ছি ইনশাআল্লাহ। কিন্তু এটা ছাড়ার প্রচন্ড ইচ্ছে থাকার পরও সম্ভব হচ্ছেনা। তবে আমি যথাসম্ভব এসব কাজ এড়িয়ে চলি।
যদি আমি এই মুহূর্তে এখান থেকে চলে আসি আমার অনার্স টা শেষ হবেনা। কোন চাকরির পরীক্ষাও দিতে পারবনা। আমার বাবা নেই। তাই মা চান অন্তত একটা সরকারি চাকরি যেন করি।  আবার এটাও ভাবি যে যদি এমন কোন সময় আমার মৃত্যু হয় যখন আমি কোন মানুষের মূর্তি বানাচ্ছি তখন আমার কি হবে?
সঠিক পরামর্শ দিবেন দয়া করে। আমি খুব চিন্তিত আছি এটা নিয়ে। আমার মনটা শুধু কুরআন এ পড়ে থাকে। নিয়্যত করেছি দ্বীনের জন্য আমৃত্যু কাজ করব ইনশাআল্লাহ। জীবনের এই পর্যায়ে এসে একজন কুরআন এর শিক্ষক হতে খুব ইচ্ছে করছে। কিন্তু আমি কিভাবে কি করব কিছুই বুঝতে পারছি না। সেই যোগ্যতা কিভাবে অর্জন করব সেটাও জানিনা। যদি সাধারণ শিক্ষকতার চাকরিও করতে চাই তাহলেও অনার্স তো দরকার। তাছাড়া এখন নতুন কোন বিষয়ে প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়ার মতো আর্থিক অবস্থা বা সুযোগ কোনটিই আমার নেই।
ইনশাআল্লাহ একটি সুন্দর দিকনির্দেশনা আশা করছি।

1 Answer

0 votes
by (589,680 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আল্লাহ তা'আলা বলেন,
لاَ يُكَلِّفُ اللّهُ نَفْسًا إِلاَّ وُسْعَهَا لَهَا مَا كَسَبَتْ وَعَلَيْهَا مَا اكْتَسَبَتْ رَبَّنَا لاَ تُؤَاخِذْنَا إِن نَّسِينَا أَوْ أَخْطَأْنَا رَبَّنَا وَلاَ تَحْمِلْ عَلَيْنَا إِصْرًا كَمَا حَمَلْتَهُ عَلَى الَّذِينَ مِن قَبْلِنَا رَبَّنَا وَلاَ تُحَمِّلْنَا مَا لاَ طَاقَةَ لَنَا بِهِ وَاعْفُ عَنَّا وَاغْفِرْ لَنَا وَارْحَمْنَآ أَنتَ مَوْلاَنَا فَانصُرْنَا عَلَى الْقَوْمِ الْكَافِرِينَ
আল্লাহ কাউকে তার সাধ্যাতীত কোন কাজের ভার দেন না, সে তাই পায় যা সে উপার্জন করে এবং তাই তার উপর বর্তায় যা সে করে। হে আমাদের পালনকর্তা, যদি আমরা ভুলে যাই কিংবা ভুল করি, তবে আমাদেরকে অপরাধী করো না। হে আমাদের পালনকর্তা! এবং আমাদের উপর এমন দায়িত্ব অর্পণ করো না, যেমন আমাদের পূর্ববর্তীদের উপর অর্পণ করেছ, হে আমাদের প্রভূ! এবং আমাদের দ্বারা ঐ বোঝা বহন করিও না, যা বহন করার শক্তি আমাদের নাই। আমাদের পাপ মোচন কর। আমাদেরকে ক্ষমা কর এবং আমাদের প্রতি দয়া কর। তুমিই আমাদের প্রভু। সুতরাং কাফের সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে আমাদের কে সাহায্যে কর।
যদি সাধারণ শিক্ষকতার চাকরিও করতে চাই তাহলেও অনার্স তো দরকার। তাছাড়া এখন নতুন কোন বিষয়ে প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়ার মতো আর্থিক অবস্থা বা সুযোগ কোনটিই আমার নেই।(সূরা বাকারা-৮৬)

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
আপনি বলেছেন,
"যদি সাধারণ শিক্ষকতার চাকরিও করতে চাই তাহলেও অনার্স তো দরকার। তাছাড়া এখন নতুন কোন বিষয়ে প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়ার মতো আর্থিক অবস্থা বা সুযোগ কোনটিই আমার নেই।"

এর আলোকে আমরা পরামর্শ দিবো,
মুর্তি কখনো বানাতে পারবেন না।যথাসম্ভব মুর্তি বানানো থেকে বেঁচে থাকতে।এর জন্য প্রাণপন চেষ্টা করতে হবে।

এছাড়া যদি কখনো ছবি ইত্যাদি বানাতে হয়,তাহলে ইস্তেগফারের সাথে বানাতে বা আখতে পারবেন।তবে ভবিষ্যতে এরকম কোনো চাকুরী করতে পারবেন না।বরং হালাল কোনো চাকুরীতে জয়েন হতে হবে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (6 points)
ইয়া শাইখুন, যদি পরীক্ষায় মূর্তি বানাতে বলা হয় তাহলে কি করব? তখন তো নাকরে উপায় নেই। আমি কি এটা করতে পারি যে, পরীক্ষায় পাশ করার জন্য বানালাম কিন্তু পরে তা ভেঙে ফেললাম? তাছাড়া আমিতো পারত পক্ষে এ কাজ কখনোই করবনা ইনশাআল্লাহ।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...