السلام عليكم ورحمة الله وبركاته
উস্তাজ আমার কয়েকটি প্রশ্ন :-
০১- আমি মাজুর নই আল্লহর রহমতে। তবে মাঝে মধ্যে সাদাস্রাব যায়। আমি যেন নামাজের মধ্যে অনিশ্চয়তার মধ্যে না পড়তে হয় যে সাদা স্রাব এসেছে নাকি এজন্য আমি যোহর, মাগরিব, এশা এই ওয়াক্ত গুলো টিস্যু দিয়ে নামাজ পড়ি। এভাবে কি টিস্যু দিয়ে কি আমি একাধিক ওয়াক্ত নামাজ পড়তে পারবো? নাকি প্রতি ওয়াক্তে নতুন ওজু করতে হবে?
০২- হায়েজ শেষে একটা নির্দিষ্ট সময় ০৩-০৪ দিনের জন্য অনেক বেশি স্রাব যায়। তখন প্রতি ওয়াক্তেই নতুন ওজু করে পড়ি। কিন্তু এই ছাড়া বাকি সময় এমন থাকেনা। অল্প যায় স্রাব। তো তখন কি আমি এক ওয়াক্তের ওজু দিয়ে পরবর্তী ওয়াক্ত পড়তে পারবো? নাকি তখন ও প্রতি ওয়াক্তে নতুন করে ওজু করবো?
০৩-আমাদের অনলাইন তাজউইদ ক্লাসে উস্তাজ আমাদেরকে কিছু সংখ্যক আয়াত পড়া দেন।সেটা পরবর্তী ক্লাসে বারবার একেকজনের মুখ থেকে শুনে নেন। তো আমি যদি মুসহাফ নিয়ে বসে ওই নির্দিষ্ট আয়াতগুলো পড়ার পরে আরো বাকি আয়াত ও নিজের মতো পড়তে থাকি ক্লাসের পাশাপাশি তাহলে কি আদবের খেলাফ হবে?
০৪- উস্তাজ আমার আগে একটা বাজে অভ্যাস ছিল। আমি গান শুনতাম। শুধু মাত্র আল্লহর অশেষ রহমতে এই অভ্যাস ত্যাগ করতে পেরেছি আলহামদুলিল্লাহ। কিন্তু এখনো মাঝে মধ্যে মনে পড়ে যায়। তখন বেখেয়ালে দুই এক লাইন বলে ফেলি মুখে। এটাতে কি আমার এতদিনের সব আমল বরবাদ হয়ে যাবে?
০৫- উস্তাজ আমার অনেক গুলো কাজা রোজা আছে। কোন কোন বছরের কাজা রোজা আমার মনেও নেই। এমতাবস্থায় আমি যদি এভাবে নিয়ত করি যে আমার জিম্মায় থাকা শেষ কাজা রোজার নিয়ত করছি। এভাবে কি হবে? কি করতে পারি এই অবস্থায়?
০৬- উস্তাজ আল্লহ তা'আলার পক্ষ হতে দ্বীনের বুঝ প্রাপ্ত হওয়ার আগে অনেক নামাজ গাফিলতি করে পড়েছি। আমি নামাজ বসে পড়তাম। অনেক বছরের নামাজ বাকি। আমি যদি এখন এগুলো কাজা করা শুরু করি, সাধ্যমতো সাদাকাহ করি এবং নিয়মিত তাওবা করি আর বাই এনি চান্স শেষ হওয়ার আগেই মারা যাই তাহলে কি আমি ইন্ন শা আল্লহ মাফ পাবো?
০৭- কেউ যদি বলে যে আমি ফেমিনিজম এ বিশ্বাসী। তাহলে কি সে কুফরী করলো?
০৮- উস্তাজ মাঝে মধ্যে নামাজের মধ্যে গলা আঁটকে যায় পিপাসার কারণে বা কফ থাকলে। কাশি না দিলে খুবই অস্বস্তি লাগে। এমতাবস্থায় কাশি দিলে কি নামাজ ভেঙ্গে যাবে? আর নাক টানলে কি নামাজ ভেঙ্গে যায়?