আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
21 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (18 points)
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহ্ ওয়া বারকাতুহ্ উস্তায।
এক বোনের বিয়ে হয়েছে দেড় বছর হলো। তাঁর স্বামী একটা কলেজের লেকচারার আর কিছু স্টুডেন্ট পড়ায়। কলেজ টাইম আর পড়ানো ব্যতীত বাকি সবটা সময় তিনি বাসায়ই থাকেন। বাজার করা বা প্রয়োজন ছাড়া একদমই বের হন না। বাসায় যে সময় টা তিনি থাকেন এর মধ্যে নামাজ, ওয়াশ রুম আর ঘুম ব্যতীত এমন একটা সেকেন্ড পাওয়া যাবে না যখন তাঁর হাতে ফোন থাকে না। ফোনে তিনি রাজনৈতিক ভিডিও দেখেন, ফেসবুক স্ক্রল করেন, রিলস দেখেন, মাঝে মাঝে নাটক সিনেমাও দেখেন। কলেজ থেকে ফিরে বাসায় ঢুকে কখনো কখনো তিনি ২/১ টা কথা জিজ্ঞেস করেন, আবার কখনো কিছুই বলেন না। সারাটা সময় তিনি চুপই থাকেন। সারাক্ষণ মনে হয় রেগে থাকেন, কিছু বললেও উত্তর দেন না। দিলেও সেটা রেগে রেগে বলেন। এরকম টা যে শুধু মাত্র উনার ওয়াইফের সাথে তা না, উনি উনার ঘরের মানুষ যেমন বাবা মা ভাই বোনদের সাথেও এমন।
উনার স্বভাব সম্পর্কে বলতে গেলে, উনি ভদ্র মানুষ। খারাপ অভ্যাস নেই তেমন। তবে রাগী প্রচন্ড। ইগো বেশি। চুপচাপ থাকেন।
এখন উনার স্ত্রী সম্পর্কে বলতে গেলে, তিনি খুবই সেনসেটিভ।  তার উপর অকারণে কেউ রাগ দেখালে বা কথা শুনালে তিনি সেটা নিতে পারেন না, মন খারাপ করেন প্রচন্ড। তাঁর স্বামী সারাক্ষণ ফোন নিয়ে ব্যস্ত থাকে, তাকে সময় দেয় না, রেগে কথা বলে এসব নিয়ে তার স্ত্রীর সমস্ত অভিযোগ। তিনি প্রথম প্রথম বলতেন কিন্তু তার স্বামীর নিজেকে শোধরানোর বিন্দু মাত্র চেষ্টা না দেখে তিনি মন খারাপ করে চুপ থাকেন। কোনো রাগারাগি করেন না স্বামীর সাথে। অথচ উনি চুপ থাকলে উনার স্বামী রাগ ভাঙ্গাবে দূরে থাক তিনিও চুপ করেই থাকেন। ফলে ২/৩ দিন চলে যায় প্রয়োজনীয় কথা ছাড়া কোনো কথাই হয় না তাদের মধ্যে।
এখন প্রশ্ন হলো - স্ত্রী কথা না বলার কারণে স্বামীও কথা বলছে না, স্বামী হয়ত এতে কষ্টও পাচ্ছে কিন্তু ইগোর কারণে হার মানছে না। তো এখানে কি স্বামীর হক নষ্ট করা হচ্ছে? যদি হয়েই থাকে তাহলে এই সিচুয়েশনে স্ত্রী নিজেকে কিভাবে শান্ত রাখবে? কিভাবে স্বামীকে খুশি করবে? বিস্তারিত বলবেন প্লিজ।

1 Answer

0 votes
ago by (704,070 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
 স্বামী স্ত্রী পরস্পর পরস্পরের সামনে পরিপাটি করে রাখবে। কেননা, পুরুষরা তাদের সঙ্গিনীকে সুন্দরভাবে দেখতে পছন্দ করে। ঠিক একইভাবে তারা তাদের সঙ্গীকেও সুন্দরভাবে দেখতে পছন্দ করে। আব্দুল্লাহ ইবন আব্বাস রাযি. বলতেন,
إِنِّي أُحِبُّ أَنْ أَتَزَيَّنَ لِلْمَرْأَةِ ، كَمَا أُحِبُّ أَنْ تَتَزَيَّنَ لِي الْمَرْأَةُ ، لِأَنَّ اللَّهَ تَعَالَى يَقُولُ : { وَلَهُنَّ مِثْلُ الَّذِي عَلَيْهِنَّ بِالْمَعْرُوفِ } ، وَمَا أُحِبُّ أَنْ أَسْتَنْظِفَ جَمِيعَ حَقِّي عَلَيْهَا ، لِأَنَّ اللَّهَ تَعَالَى يَقُولُ : { وَلِلرِّجَالِ عَلَيْهِنَّ دَرَجَةٌ }

আমি আমার স্ত্রীর জন্য পরিপাটি থাকা পছন্দ করি, যেমন পছন্দ করি আমার স্ত্রী আমার জন্য পরিপাটি থাকাকে। কেননা, আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘আর পুরুষদের যেমন স্ত্রীদের ওপর অধিকার রয়েছে, তেমনিভাবে স্ত্রীদেরও অধিকার রয়েছে পুরুষদের ওপর, নিয়ম অনুযায়ী।’ আর আমি আমার অধিকার স্ত্রীর কাছ থেকে কড়ায়গণ্ডায় আদায় করে নেয়া পছন্দ করি না। কেননা, আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘আর নারীদের ওপর পুরুষদের শ্রেষ্ঠত্ব রয়েছে।’ (মুসান্নাফ ইবনু আবী শাইবা ১৫৭১২)

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
আপনি সর্বদা পরিপাটি হয়ে থাকবেন। স্বামী কথা না বললে আগ বাড়িয়ে কথা বলার চেষ্টা করবেন। প্রথম দিনের মত তার দিকে মহব্বতের সাথে দৃষ্টি দিবেন। তার মনে ভালবাসা সৃষ্টির সকল প্রকার উত্তম আচরণ তার সাথে করবেন। সেও তো মানুষ, দেখবেন একদিন না একদিন সে আপনার ভালবাসার জালে বন্দী হয়ে যাবে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...