বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ
https://ifatwa.info/23992/
নং ফাতওয়ায় উল্লেখ রয়েছে যে,
জঙ্গে জামালে সহযোগী ছিলেন হযরত আয়শা রাঃ তিনিই মূল নেত্রী ছিলেন না। মূল ছিলেন হযরত জুবাইর
রা. এবং তালহাসহ অন্য সাহাবীরা।
,
সবচে’ বড় কথা হল-জঙ্গে জামালে হযরত আয়শা রাঃ যুদ্ধ করার জন্য
আসেনইনি, যুদ্ধ করার কোন ইচ্ছাই ছিল না। ঘটনাক্রমে চক্রান্তের শিকার উভয়
মুসলিম বাহিনী। গভীর রাতে ভুল বুঝাবুঝির কারণে সৃষ্ট বিশৃংখল যুদ্ধের নেতৃত্ব হযরত
আয়শা রাঃ করেছেন একথা একটি বোকামীসূলভ মন্তব্য। তিনি হযরত জুবাইর রাঃ এবং হযরত তালহা
রাঃ এর সাথে সে ময়দানে উপস্থিত ছিলেন। উপস্থিত থাকলেই নেতৃত্ব হয়ে যায় এমন কথা বলাটা
অযৌক্তিক।
এ যুদ্ধের নাম জঙ্গে জামাল।
যা হযরত আয়শা রা., হযরত তালহা রা. , জুবাইর রা. এর মতামতের অনুসারী এবং হযরত আলী রা. এর বাহিনীর
মাঝে সাবায়ীদের ঘৃণ্য চক্রান্তের কারণে সংঘটিত হয়েছিল।
,
সাবায়ী চক্র হযরত উসমান রা. কে নির্মমভাবে হত্যা করলে মুসলমানদের
ঐক্যমত্বে হযরত আলী রা. কে খলীফা নিযুক্ত করা হয়। সে সময় হযরত উসমান রাঃ এর হত্যাকারীদের
আগে হত্যা করা হবে? না প্রথমে সাবায়ী চক্রান্তের জালে আটকে যাওয়া ইসলামী খিলাফতকে
প্রথমে শক্তিশালী করা হবে, তারপর অপরাধীদের শাস্তি দেয়া হবে?
,
এ বিষয়টি নিয়ে তৎকালীন সাহাবীদের মাঝে দুটি দল হয়ে যায়। হযরত
আয়শা রা., হযরত মুয়াবিয়া রা., হযরত তালহা রা., হযরত জুবায়ের রা. এর মত ছিল আগে হযরত উসমান রাঃ এর হত্যাকারীদের
শাস্তি দেয়া হবে। আর হযরত আলী রাঃ এবং তার অনুসারীদের মত ছিল আগে ষড়যন্ত্রের জালে ভগ্নপ্রায়
ইসলামী খিলাফতকে প্রথমে শক্তিশালী করা হোক, তারপর অবশ্যই হত্যাকারী অপরাধীদের শাস্তি দেয়া হবে।
,
এ মতবিরোধ হওয়ার পর উভয় দল বসরার পথে এক স্থানে মুখোমুখি অবস্থান
করে সন্ধিতে আসেন। শান্তিময় সন্ধিচুক্তিতে সাবায়ী চক্র প্রমাদ গুনে।
উভয় পক্ষই ছিলেন দ্বীনের পক্ষে। হকের পক্ষে। কোন দলই যুদ্ধ কামনা
করেন নি। কিন্তু রাতের গভীরে নির্দিষ্ট দূরত্বে অবস্থানকারী দুই বাহিনীর উপরই এক সাথে
হামলা করে বসে সাবায়ী চক্র। ফলে সৃষ্ট হয় বিভ্রান্তির। হযরত তালহা, হযরত জুবায়ের
ও হযরত আয়শা রা. এর বাহিনী মনে করেন হযরত আলী রা. এর বাহিনী হামলা করেছে, আর হযরত আলী
রা. এর বাহিনী মনে করেন অপরপক্ষ হামলা করেছে।
,
এ ভুল বুঝাবুঝির কারণে শুরু হয় এ রক্তক্ষয়ী যুদ্ধ। ইতিহাসের
এক মর্মান্তিক ট্র্যাজেডীর জন্ম দেয় কুখ্যাত সাবায়ী চক্র। রাতের গভীরে সংঘটিত হওয়া
এ দুঃখজনক ভুল বুঝাবুঝির যুদ্ধটিই ইতিহাসে জঙ্গে জামাল বা উটের যুদ্ধ নামে প্রসিদ্ধ।
আব্দুল্লাহ বিন সাবার ঘৃণ্য ষড়যন্ত্রে ইতিহাসের পাতায় লেখা হয় এক মর্মান্তিক ইতিহাস।
নির্দোষ ১০ হাজার মুসলমান শহীদ হন সে যুদ্ধে। (তারীখে তাবারী-৩/৫৪)
আরো বিস্তারিত জানুন - https://ifatwa.info/23992/