আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
63 views
in যাকাত ও সদকাহ (Zakat and Charity) by (1 point)
Usually we get money from the crops of the land we own each year besides we also get crops from some of the lands. My question is can we give the zakah of crops in money or it should only be done with that particular crop. Another question is we have a mango orchard which produces mango each year. Should we give zakah for the mangoes also?

1 Answer

0 votes
by (678,880 points)
edited by
জবাবঃ-
بسم الله الرحمن الرحيم 


عشر  শব্দের আভিধানিক অর্থ হলো جزء واحد من العشرة বা এক দশমাংশ। (হাশিয়ায়ে হিদায়া–আব্দুল হাই লাখনবি রহ.: ২/৫৭০)

পরিভাষায় عشر বলা হয় – احد اجزاء العشرة او نصفه يؤخذ من الارض العشرية (قواعد الفقه لعميم الاحسان/379)

সহজ ভাষায় ওশরী জমিনে উৎপাদিত শস্যের এক দশমাংস বা তার অর্ধেক গ্রহণ করাকে عشر বলা হয়।

যদি আল্লাহর দেয়া প্রাকৃতিক পানি দ্বারা জমি আবাদ করে, তাহলে এক দশমাংশ, আর যদি নিজস্ব পানি দ্বারা আবাদ করে, তাহলে নিসফে উশর তথা বিশ ভাগের একভাগ দান করবে।

খরচ বাদ দিয়ে না খরচসহ দশমাংশ দিতে হবে?

ফসল করতে যা খরচ হয়েছে সেসব খরচ বাদ দিয়ে হিসেব করবে না। বরং জমিতে যতটুকু ফসল হয়েছে, যতটুকু উৎপাদিত হয়েছে তার মাঝে এক দশমাংশ দান করে দিতে হবে। এটাই বিধান। কর্মচারীর বেতন,গাড়ি ভাড়া ইত্যাদির জন্য ফসলের মূল্য বা ফসল বাদ দিয়ে দশমাংশ গণনা করবে না। বরং যা’ই উৎপন্ন হল এর মধ্য থেকে এক দশমাংশ বা বিশ ভাগের একভাগ দান করবে।

আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেনঃ
   
قوله تعالى { وآتوا حقه يوم حصاده } قال عامة أهل التأويل : إن الحق المذكور هو العشر ، أو نصف العشر (بدائع الصنائع:2/169)

অর্থাৎ, আল্লাহ তায়ালা পবিত্র কুরআনে বলেন, “কর্তনের দিবসেই এর হক আদায় করে দাও। আম ভাবে ফুকাহায়ে কেরাম আয়াতের দ্বারা উদ্দেশ্য عشر বা نصف عشر বলেছেন।

و قال ابن عباس حقه الزكاة المفروضة و قال مرة العشر و نصف العشر (المغنى لابن قدامة 2/547

অর্থাৎ, ইবনে আব্বাস রা. বলেন, হকটি হলো ফরজ যাকাত। আবার বলেন, ওশর ও নিসফে ওশর ।

হাদীস শরীফে এসেছেঃ  

عن سالم بن عبد الله عن أبيه رضي الله عنه : عن النبي صلى الله عليه و سلم قال ( فيما سقت السماء والعيون أو كان عثريا العشر وما سقي بالنضح نصف العشر ) (صحيح البخارى : كتاب الزكوة : باب العشر فيما يسقي من ماء السماء وبالماء الجاري : 1/201 برقم : 1453)

অর্থাৎ,আব্দুল্লাহ বিন ওমর রা. থেকে বর্ণিত, নবীজী স. বলেন, আসমানী বা নদীনালা অথবা অন্যান্য প্রাকৃতিক পানি সিঞ্চনে যা উৎপাদিত হয় তাতে ওশর আসবে। আর যা কৃত্রিম উপায়ের পানি দ্বারা সিঞ্চিত হবে তাতে অর্ধেক ওশর লাযেম হবে।

বিস্তারিত জানুনঃ 

ফাতাওয়ায়ে দারুল উলুম দেওবন্দ ৬/১৬১,১৭৪,১৬৫,১৭৭)
এবং দারুল উলুম দেওবন্দ এর 66976 নং ফতোয়াতে উল্লেখ রয়েছে যে আমাদের দেশ উশরিও নয়,খারাজিও নয়।
এই জন্য এদেশের শষ্যাদির উপর ওশর অথবা ওশরের অর্ধেক কোনোটাই ওয়াজিব নয়।
কেহ যদি সন্তুষ্টি চিত্তে অংশ নির্দিষ্ট করা ব্যতিত কিছু দেয়,তাহলে কোনো ক্ষতি নেই।
অবশ্য কিছু বা পুরো শষ্য বিক্রয়ের পর নেসাব পরিমান সম্পদের মালিক হলে যাকাত দিতে হবে।
,
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে আপনার ফসল ও আমের উপর ওশর,যাকাত আবশ্যক হবেনা। 

আপনি যদি নিজ থেকেই কিছু ফসল/আম দান করতে চান,বা সমমুল্যের কোনো বস্তু দান করতে চান,সেটি আপনার একান্ত ব্যাক্তিগত ব্যাপার। 
,
তবে আগে থেকে আপনার উপর যাকাত ফরজ থাকলে এই ফসল/আম বিক্রয়ের টাকার উপরেও যাকাত আসবে।

আগে থেকে আপনার উপর যাকাত ফরজ না হলে এই ফসল/আম বিক্রয়ের পর নেসাব পরিমান সম্পদ হলে এক বছর অতিক্রম করার পর যাকাত দিতে হবে।  


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...