আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
29 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (3 points)
edited by

দয়া করে আমার একটি প্রশ্নের উত্তর দিবেন,অনেক দুশ্চিন্তায় আছি এই বিষয়টিকে নিয়ে।আমি একসময় অনেক পাপী ছিলাম,একসময় পর্নোগ্রাফিতে আসক্ত ছিলাম।এখন আল্লাহর রহমতে দ্বীনের পথে আছি,৫ বছরে অনেক পরিবর্তন হয়েছি-আলহামদুলিল্লাহ।আমি কিশোর বয়সে সম্ভবত নবম/দশম শ্রেণিতে থাকাকালীন পর্ণ দেখার সময় কেমনে জানি পর্নোগ্রাফিতে একটি অ্যাকাউন্ট খুলে ফেলি ।এখন আমি অনার্সে পড়ি,আজ থেকে বছর আগের কথা।আজকে হঠাৎ করে এই লিংকের (https://ifatwa.info/22385/) প্রশ্নটি পড়ার পরে প্রচন্ড রকমের ভয় পাই,খুব হতাশায় পড়ে যাই।মুহুর্তেই সেই নবম/শ্রেণির কথা মনে পড়ে গেলো,আমি যে পর্নোগ্রাফি একাউন্টটি করেছিলাম সেই একাউন্টটিযে কোন জিমেইল দিয়ে খুলেছিলাম,কি দিয়ে খুলেছিলাম,একাউন্টটা ডিলিট  করেছিলাম কিনা কিছুই মনে নেই।একাউন্টটা হয়তো এখনো রয়ে গেছে,কিন্তু আমার সেই একাউন্টের জিমেইল,পাসওয়ার্ড কিছুই মনে নেই,কিছুই খেয়াল নেই।অনেক চেষ্টা করেও মনে করতে পারছিনা,কোনোভাবেই সেটা সম্ভব নাহ কারণ অনেকদিন আগের কথা।এখন প্রশ্ন হলো আমি  কি কিয়ামত পর্যন্ত গুনাহগার হবো,আমার কি আর মাফ হবেনা।বিষয়টা মনে পড়ার পরে আজকে সারাদিন খুব হতাশায় আছি হুজুর,৫ বছর আগের কথা মনে পড়ে খুব টেনশন হচ্ছে,সমাধানের কোনো উপায়ই নেই,কিছুই করার দেখছিনা।আমার করণীয় কি হুজুর।কীভাবে কি করলে আল্লাহ আমাকে মাফ করবেন হুজুর?

by (3 points)
আশা করা যায় আল্লাহ মাফ করে দিয়েছেন-এটা শোনার পরে, তাতেও হতাশা কাজ করে।৫ বছর আগের কথা,তখন সবেমাত্র কিশোর আমি।৫ বছর পরে আমি অনেকটাই পরিবর্তন হয়েছি।তওবা করেছি।।এই গুনাহটা কি ক্ষমার যোগ্য না,আমার গুনাহ মাফ হয়েছে কিনা কীভাবে বুজবো হুজুর?

1 Answer

0 votes
by (82,530 points)

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।

জবাবঃ

https://ifatwa.info/5905/ নং ফাতওয়ায় উল্লেখ রয়েছে যে,

তাওবা ও ইস্তিগফার মুমিন জীবনের সার্বক্ষণিক ওযীফা।

আল্লাহ তাআলা তো বলেছেন,

قُلْ يَاعِبَادِي الَّذِينَ أَسْرَفُوا عَلَى أَنْفُسِهِمْ لا تَقْنَطُوا مِنْ رَحْمَةِ اللَّهِ إِنَّ اللَّهَ يَغْفِرُ الذُّنُوبَ جَمِيعًا إِنَّهُ هُوَ الْغَفُورُ الرَّحِيمُ

“বলুন, হে আমার বান্দাগণ যারা নিজেদের উপর যুলুম করেছ তোমরা আল্লাহর রহমত থেকে নিরাশ হয়ো না। নিশ্চয় আল্লাহ সমস্ত গোনাহ মাফ করেন। তিনি ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু।” (সূরা যুমার ৫৩)

,

হাদীসে এসেছে, রাসূলে কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম দিনে সত্তর থেকে এক শতবার তাওবা-ইস্তিগফার করতেন। (সহীহ বুখারী, হাদীস :  ৬৩০৭; সহীহ মুসলিম, হাদীস : ২৭০২)

,

রাসূলুল্লাহ সাল্লালাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করে-

التائب من الذنب كمن لا ذنب له

অর্থঃ গুনাহ থেকে তাওবাকারী ঐ ব্যক্তির ন্যায় যার কোন গোনাহ নেই।–সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদীস নং ৪২৫০

,

খাঁটিভাবে তাওবা করলে আল্লাহ্ তাআলা অতীতের ছোট বড় সমস্ত গোনাহ মাফ করে দেন। তবে বান্দার কোন হক নষ্ট করে থাকলে তাওবার পাশাপাশি তাকে তার হক তাকে বুঝিয়ে দেওয়া বা মাফ চেয়ে নেওয়া জরুরী।

 

 তাওবা তিনটি জিনিসের সমন্বয়-

এক. পূর্বের গোনাহের জন্য লজ্জিত ও অনুতপ্ত হওয়া। আর অপরের হক নষ্ট করলে তা তাকে বুঝিয়ে দেওয়া বা মাফ চেয়ে নেওয়া।

দুই. ভবিষ্যতে গোনাহ না করার ব্যাপারে দৃঢ় সংকল্প করা।

তিন. আল্লাহ্ তাআলার নিকট ক্ষমা প্রার্থনা করা।

আর ইস্তেগফার হল শুধু মৌখিকভাবে আল্লাহ্ তাআলার নিকট ক্ষমা প্রার্থনা করা।

,

তবে শুরুতে ২ রাকাত তাওবার নফল নামাজ পড়ার পর তওবা করা উত্তম,সুন্দর পদ্ধতি, এটাই বুযুর্গানে দ্বীনদের বাতলিয়ে দেওয়া আমল।

,

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!

,

আল্লাহর রহমত থেকে কখনো নৈরাশ হতে নেই। উপরোক্ত শর্ত মেনে তওবা করলে আশা করা যায় যে, আল্লাহ তায়ালা আপনাকেও মাফ করে দিবেন। আপনি আল্লাহ তায়ালার কাছে তওবা ইস্তিগফার করবেন। মাফ চাবেন।

,

একাউন্টটি ডিলেট করানো সম্ভব না হয়, তাহলে এর দায়ভার আপনার উপর বর্তাবে না। কেননা আল্লাহ তা'আলা সামর্থ্যর অধিক দায়িত্ব কাউকে দেননা।

আল্লাহ তা'আলা বলেন,

لاَ يُكَلِّفُ اللّهُ نَفْسًا إِلاَّ وُسْعَهَا لَهَا مَا كَسَبَتْ وَعَلَيْهَا مَا اكْتَسَبَتْ

আল্লাহ কাউকে তার সাধ্যাতীত কোন কাজের ভার দেন না, সে তাই পায় যা সে উপার্জন করে এবং তাই তার উপর বর্তায় যা সে করে।(সূরা বাকারা-১৮৬)

আরো জানুন - https://ifatwa.info/22385/


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী আব্দুল ওয়াহিদ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)
by (3 points)
মনের মধ্যে প্রচুর ভয় কাজ করে যখন মাসআলার উত্তরে শুনি আশা করা যায় আল্লাহ মাফ করবেন।।আমার এই গুনাহটার কথা মনেই ছিলোনা,৫ বছর আগে কথা।হঠাৎ 
https://ifatwa.info/22385/ নং ফতোয়াতে উক্ত ভাইয়ের প্রশ্নটি পড়ে খুব দুশ্চিন্তায় পড়ে যায়।।আমার এখন কিছুই করার নেই,আল্লাহ আমাকে মাফ করবেন কিনা এটা কীভাবে বুজবো হুজুর।আশা করা যায় আল্লাহ মাফ করে দিয়েছেন-এটা শোনার পরে, তাতেও হতাশা কাজ করে।৫ বছর আগের কথা,তখন সবেমাত্র কিশোর আমি।৫ বছর পরে আমি অনেকটাই পরিবর্তন হয়েছি।তওবা করেছি।।এই গুনাহটা কি ক্ষমার যোগ্য না,আমার গুনাহ মাফ হয়েছে কিনা কীভাবে বুজবো হুজুর?

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...