আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
15 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (99 points)
১।অমুসলিমদের নাম লিখা কোথাও দেখলে পরলে গোনাহ হবে কি ইমানে সমস্যা হবে কি না?
২।অমুসলিম দের আশে পাশে বাড়ি করে থাকা যাবে কি তাদের বিভিন্ন অনুষ্ঠানের আওয়াজ আসে যা খুবই বিরক্তকর। তাদের আশেপাশে বাড়ি-ঘর করলে ইমান বা অন্য কোনো সমস্যা হবে কি?


৩।অমুসলিমদের দান করলে সওয়াব হবে কি?

1 Answer

0 votes
by (671,280 points)
জবাবঃ-
بسم الله الرحمن الرحيم

(০৩)
https://ifatwa.info/32698/ নং ফতোয়াতে উল্লেখ রয়েছেঃ- 
নফল সদকা বা দান যে কাউকে করা যায় বা দেওয়া যায়,এক্ষেত্রে মুসলিম-অমুসলিম ধনী-গরীব সবাই সমান, সবাইকে দান করা যায়।তবে ফরজ যাকাত তা শুধুমাত্র গরীব মুসলমানকেই দিতে হবে,অমুসলিমকে যাকাত দিলে যাকাতই আদায় হবে না।

মহান আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেনঃ 

وَ مِنۡہُمۡ مَّنۡ یَّلۡمِزُکَ فِی الصَّدَقٰتِ ۚ فَاِنۡ اُعۡطُوۡا مِنۡہَا رَضُوۡا وَ اِنۡ لَّمۡ یُعۡطَوۡا مِنۡہَاۤ اِذَا ہُمۡ یَسۡخَطُوۡنَ ﴿۵۸﴾ 

তাদের মধ্যে এমন লোকও আছে, যারা সদকা বণ্টন সম্পর্কে তোমাকে দোষারোপ করে। অতঃপর এর কিছু অংশ তাদের দেওয়া হলে তারা পরিতুষ্ট হয়, আর এর কিছু অংশ তাদের না দেওয়া হলে তৎক্ষণাৎ তারা বিক্ষুব্ধ হয়। (সুরা তাওবা, আয়াত : ৫৮)

আলোচ্য আয়াতটি সদকার অংশ সংক্রান্ত  মুনাফিকদের কথার প্রেক্ষিতে নাযিল হয়েছে।
মুনাফিকরাও সদকার অংশ পেত।
মুনাফিকরা অন্তরে কুফরির কথা লুকিয়ে রাখলেও মুসলমানরা সামাজিক, রাষ্ট্রীয় ও বৈষয়িক যেসব সুবিধা ভোগ করে, তা গ্রহণে তারা কার্পণ্য করে না। এমনকি এগুলো হারানোর ভয়েই তারা নিজেদের কুফরির কথা প্রকাশ করে না।

আলোচ্য আয়াত থেকে প্রতীয়মান হয়, মুনাফিকরাও সদকার অংশ পেত। তবে তাদের মনমতো অর্থ না পাওয়ায় ক্ষুব্ধ হয়ে তারা নানা আপত্তি করত। সদকা শব্দটি সাধারণত নফল দান-অনুদান বোঝাতে ব্যবহৃত হয়। সেই অর্থে যেকোনো অমুসলিমকে দান করা সব আলেমের ঐকমত্যে বৈধ। 

হাদীস শরীফে এসেছেঃ- 

مصنف ابن ابی شیبہ :

"عن إبراهیم بن مهاجر قال: سألت إبراهیم عن الصدقة علی غیر أهل الإسلام، فقال: أما الزکاة فلا، وأما إن شاء رجل أن یتصدق فلا بأس."

(المصنف لابن أبي شیبة / ما قالوا في الصدقة یعطي منها أهل الذمة۶؍۵۱۳ رقم:۱۰۴۱۰)

আমি ইব্রাহীমকে অমুসলিমদের দান-খয়রাত করার বিষয়ে জিজ্ঞেস করলাম, তিনি বললেনঃ যাকাত, না, কিন্তু কোন ব্যক্তি যদি  (নফল) দান-খয়রাত করতে চায় তাতে কোন অসুবিধা নেই।

আরো জানুনঃ

★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,  
বিধর্মীদের দান করা যাবে। 
তবে এক্ষেত্রে নফল দান করতে হবে।

যাকাত বা মান্নত ইত্যাদির টাকা দেয়া যাবেনা।

ইবাদত পালনে সহায়তার নিয়তে গরিব মুসলমানকে দান করলে গরিব বিধর্মীকে দান করার চেয়ে বেশি ছওয়াব মিলবে।

(১-২)
ওয়াসওয়াসা হল এমন এক মানসিক রোগ যা একজন মুসলিমকে বিভ্রান্ত করার জন্য শয়তানের পক্ষ থেকে মনে আসা  কুমন্ত্রনার ফাঁদ। এই রোগে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা এখন কম নয়।  কিন্তু এই রোগ সম্পর্কে ধারনা বা ইলমে জ্ঞান না থাকার ফলে একজন সাধারন ব্যক্তি ধীরে ধীরে মানসিক রোগীতে পরিণত করতে পারে। কারণ শুরুতেই যদি এর চিকিৎসা না করা হয়, তাহলে এটি বাড়তে থাকে।

আমরা আমাদের বিগত সহস্রাধিক প্রশ্ন রিসার্চ করে দেখেছি যে ওয়াসওয়াসা আক্রান্ত ব্যক্তি বিভিন্ন মাসলা মাসায়েল বা ফতোয়ার প্রশ্নের উত্তর ঘাটাঘাটি করে আরও বেশি ওয়াসওয়াসাতে আক্রান্ত হয়ে যায়। এবং প্রশ্নের উত্তর হল একজন ওয়াসওয়াসা আক্রান্ত রোগীদের রোগ বৃদ্ধির খোরাক। এবং একটা প্রশ্ন উত্তর পাওয়ার পর একজন ওয়াসওয়াসা আক্রান্ত ব্যক্তি ক্রমাগত একই প্রশ্ন বারবার ঘুরিয়ে পেচিয়ে শতাধিকবার করতে থাকেন।  যেটা উনাকে বরং ক্রমাগত অধিকতরও খারাপের দিকে নিয়ে যেতে থাকে। 

বিষয়গুলো পর্যালোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে ওয়াসওয়াসা আক্রান্ত রোগীদের ক্ষেত্রে নিচের দেওয়া বাধ্যতামূলক সুস্থ হওয়ার কোর্সটি কমপ্লিট না হওয়া পর্যন্ত কোনো প্রশ্নের উত্তর দেয়া হবে না । 

এবং আমরা আশা করছি এবং আল্লাহর উপরে ভরসা রেখে বলছি যারা নিচের এই কোর্সটি করবেন ইনশাআল্লাহ সুস্থ হয়ে যাবেন। 

আর কোর্সের ভিতরে একটা অংশে আমাদের মুফতি সাহেবদের সাথে সরাসরি জুম মিটিংয়ের মাধ্যমে প্রশ্ন-উত্তরের ব্যবস্থা থাকবে। 

আল্লাহ আমাদের সমস্ত শারীরিক ও মানসিক রোগ থেকে হেফাজত করুন। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...