আল্লাহ তা‘আলা বলেন:
فَبَشِّرْ عِبَادِ، الَّذِينَ يَسْتَمِعُونَ الْقَوْلَ فَيَتَّبِعُونَ أَحْسَنَهُ
“তুমি আমার সেই বান্দাদের সুসংবাদ দাও যারা কথা শোনে এবং উত্তমটিকে গ্রহণ করে।” (সূরা আয-যুমার, ৩৯:১৭–১৮)
অর্থাৎ ভুলের ভেতর থেকে সঠিককে বেছে নেওয়া মু’মিনের বৈশিষ্ট্য।
রাসূল ﷺ বলেছেন:
الدِّينُ النَّصِيحَةُ
“দ্বীন হচ্ছে নসীহাহ (সৎ উপদেশ/ভুল ধরিয়ে দেওয়া)।” (সহীহ মুসলিম)
যদি কেউ আন্তরিকভাবে আপনাকে সংশোধন করে, আর আপনি শুধু অহংকারবশত তার কথা প্রত্যাখ্যান করেন বা বিরক্ত হন—এটি গর্ব/কিবর, যা নিন্দনীয়।
রাসূল ﷺ বলেন:
لا يدخل الجنة من كان في قلبه مثقال ذرة من كبر
“যার অন্তরে অণু পরিমাণ অহংকার থাকবে, সে জান্নাতে প্রবেশ করবে না।” (সহীহ মুসলিম)
তবে যদি কোনো ভাই/বোনের উপদেশ দেওয়ার ধরন রূঢ় বা অপমানজনক হয়, তখন কষ্ট লাগা প্রাকৃতিক, কিন্তু তার মূল কথাটি (যদি সত্য হয়) গ্রহণ করা উচিত, আর খারাপ ব্যবহারের ব্যাপারে ধৈর্য ধরাই উত্তম।
এক্ষেত্রে করণীয় হলো,
কেউ ভুল ধরিয়ে দিলে শান্তভাবে শোনা।
সত্য হলে আলহামদুলিল্লাহ বলে সংশোধন করা।
না জানলে জ্ঞানীদের কাছ থেকে যাচাই করা।
নিজের ভেতরে “আমার ইজ্জত গেল” এ ধারণা না এনে “আল্লাহ আমাকে সংশোধনের সুযোগ দিলেন” এভাবে ভাবা।
★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
কেউ দ্বীনি বা দুনিয়াবি বিষয়ে আপনার ভুল ধরিয়ে দিলে রাগ বা খারাপ লাগা ঠিক নয়। এটা অহংকারের অন্তর্ভুক্ত হতে পারে। বরং ধৈর্য ধরে শুনে, সত্য হলে গ্রহণ করা, আর ভঙ্গি খারাপ হলেও সুন্দরভাবে আচরণ করা — এটাই শরীয়াহ সম্মত আদব।