আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
24 views
in হালাল ও হারাম (Halal & Haram) by (9 points)

আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহি ওয়া বারকাতুহ।

কেউ ছোট-বড় দ্বীনি বা দুনিয়াবি বিষয়ে কোনো ভুল যদি ঠিক করে দেয়, তাতে যদি খারাপ লাগে বা রাগান্বিত হয় তা কি ঠিক? ইসলাম এ বিষয়ে কি বলে? এক্ষেত্রে উপদেশকারী এবং যাকে উপদেশ করা হচ্ছে, উভয়ের করণীয় কি?

যাকে উপদেশ করা হচ্ছে তার এমন আচরণ বা মনোভাব কি কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য? 

উল্লেখ্য, উপদেশকারী ও যাকে উপদেশ করা হচ্ছে তারা সমবয়সী।

1 Answer

0 votes
by (671,280 points)
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم

আল্লাহ তা‘আলা বলেন:
فَبَشِّرْ عِبَادِ، الَّذِينَ يَسْتَمِعُونَ الْقَوْلَ فَيَتَّبِعُونَ أَحْسَنَهُ
“তুমি আমার সেই বান্দাদের সুসংবাদ দাও যারা কথা শোনে এবং উত্তমটিকে গ্রহণ করে।” (সূরা আয-যুমার, ৩৯:১৭–১৮)

অর্থাৎ ভুলের ভেতর থেকে সঠিককে বেছে নেওয়া মু’মিনের বৈশিষ্ট্য।

রাসূল ﷺ বলেছেন:
الدِّينُ النَّصِيحَةُ
“দ্বীন হচ্ছে নসীহাহ (সৎ উপদেশ/ভুল ধরিয়ে দেওয়া)।” (সহীহ মুসলিম)

যদি কেউ আন্তরিকভাবে আপনাকে সংশোধন করে, আর আপনি শুধু অহংকারবশত তার কথা প্রত্যাখ্যান করেন বা বিরক্ত হন—এটি গর্ব/কিবর, যা নিন্দনীয়।

রাসূল ﷺ বলেন:

لا يدخل الجنة من كان في قلبه مثقال ذرة من كبر

“যার অন্তরে অণু পরিমাণ অহংকার থাকবে, সে জান্নাতে প্রবেশ করবে না।” (সহীহ মুসলিম)

তবে যদি কোনো ভাই/বোনের উপদেশ দেওয়ার ধরন রূঢ় বা অপমানজনক হয়, তখন কষ্ট লাগা প্রাকৃতিক, কিন্তু তার মূল কথাটি (যদি সত্য হয়) গ্রহণ করা উচিত, আর খারাপ ব্যবহারের ব্যাপারে ধৈর্য ধরাই উত্তম।

এক্ষেত্রে করণীয় হলো,
কেউ ভুল ধরিয়ে দিলে শান্তভাবে শোনা।
সত্য হলে আলহামদুলিল্লাহ বলে সংশোধন করা।
না জানলে জ্ঞানীদের কাছ থেকে যাচাই করা।
নিজের ভেতরে “আমার ইজ্জত গেল” এ ধারণা না এনে “আল্লাহ আমাকে সংশোধনের সুযোগ দিলেন” এভাবে ভাবা।

★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
কেউ দ্বীনি বা দুনিয়াবি বিষয়ে আপনার ভুল ধরিয়ে দিলে রাগ বা খারাপ লাগা ঠিক নয়। এটা অহংকারের অন্তর্ভুক্ত হতে পারে। বরং ধৈর্য ধরে শুনে, সত্য হলে গ্রহণ করা, আর ভঙ্গি খারাপ হলেও সুন্দরভাবে আচরণ করা — এটাই শরীয়াহ সম্মত আদব।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...