ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
ওজুর ক্ষেত্রে ওজুর সমস্ত অঙ্গকে একবার ধৌত করা ফরয।এবং পানি পৌছতে বাধা প্রদাণ কারী সকল জিনিষকে অজুর অঙ্গ থেকে পৃথক রাখা জরুরী।
فِي فَتَاوَى مَا وَرَاءَ النَّهْرِ إنْ بَقِيَ مِنْ مَوْضِعِ الْوُضُوءِ قَدْرُ رَأْسِ إبْرَةٍ أَوْ لَزِقَ بِأَصْلِ ظُفْرِهِ طِينٌ يَابِسٌ أَوْ رَطْبٌ لَمْ يَجُزْ وَإِنْ تَلَطَّخَ يَدُهُ بِخَمِيرٍ أَوْ حِنَّاءٍ جَازَ
যদি ওজুর অঙ্গ সমূহের মধ্য থেকে সুই বরাবর কোনো অংশতে পানি না পৌছে,অথবা নকের মূল অংশের সাথে শুকনা বা ভিজা মাঠি লেগে এঠে যায়,তাহলে ওযু বিশুদ্ধ হবে না।কেউ যদি মেহিদি বা খামির(এক প্রকার রঙ্গিলা গাস) দ্বারা হাতকে রঙ্গিয়ে দেয়,তাহলে তার ওজু হবে। (ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়া-১/৪) এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-
https://www.ifatwa.info/1024
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
ভাত ভর্তা হয়ে পায়ে আঠার মত লেগে থাকলে অজু বিশুদ্ধ হবে না। সুতরাং এই অজু দ্বারা নামায পড়া হলে সেই নামাযও বিশুদ্ধ হবে না।বরং অজু করে পূনরায় উক্ত নামাযকে পড়তে হবে।
প্রশ্নের উত্তর না পাওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করার কারণে কোনো গুনাহ হবে না। তবে আপনার উচিত ছিল, সতর্কতামূলক সাথে সাথেই নামাযকে দোহড়িয়ে পড়ে নেওয়া।