ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
নামাযে নিম্নস্বরে কেরাতের সর্বনিম্ন সীমা হল, জবান নাড়িয়ে তেলাওয়াত করা।এ বিষয়ে সবাই একমত।তবে আওয়াজ কি নিজ কান দ্বারা শ্রবণ শর্ত? এ সম্পর্কে উলামায়ে কেরামদের মধ্যে মতবিরোধ রয়েছে।যা আমরা ইতিপূর্বে দেখেছি।বিশুদ্ধ কথা হল,নিম্নস্বরে তেলাওয়াত এমনভাবে করতে হবে, যাতে নিজ কর্ণ দ্বারা শ্রবণ করা যায়।এবং এটাই উত্তম। এবং ইহাই নামাযকে ফাসাদ থেকে বাঁচিয়ে রাখার সতর্কতামূলক পদক্ষেপ।
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
একাকি ফরয নামাযে মাগরিব এশা ও ফজরের নামাযে মুসল্লির এখতিয়ার রয়েছে। চাইলে সে উচ্ছস্বরেও তিলাওয়াত করতে পারে আবার চাইলে নিম্নস্বরেও তিলাওয়াত করতে পারবে।
একজন মেয়ে একাকী নামাযে এতটুকু উচ্ছস্বরে পড়বে যে, হরফগুলো সঠিকভাবে উচ্ছারিত হয় এবং নিজ কান দ্বারা শ্রবণ করা যায়। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নামাযের পদ্ধতি সাহাবায়ে কেরামদেরকে শিক্ষা দিয়েছেন। কখনো কখনো এতটুকু উচ্ছস্বরে পড়তেন যে, পাশের জন শুনতে পেত।