আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
9 views
ago in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (41 points)
১। আগের ১ নং প্রশ্নের বিবরণ অনুযায়ী ওয়াজিব তরক করা হবে কি বা আল্লাহ পাক রাসুল সাঃ উনাদের মহব্বতে সমস্যা হবে কি?
২।এটা নফল দানের নিয়ত হবে নিয়ত পরিবর্তন করা যাবে কি?

৩।প্রতিবেশি না খেয়ে থাকলে নিচেরা পেট ভরে খাইলে কি  মুমিন নয় বলতে কি বুঝানো হইছে এটা কোন ধরনের গুনাহ?
৪।আমি বেকার বিদেশ জমা এখন আমি বাবা মার উপরে চলি বউ সন্তান সহ। কিছু টাকা বাবা মা ভাইবোন দেয় এখন আমিতো চলি অন্যের উপর আমি  যদি প্রতেবেশির খোঁজখবর না নেই হাদিস অনুযায়ী কি হুকুম হবে?

৫।আমি তো বেকার ফিলিস্তিনে বা বাংলাদেশে ক্ষুধার্ত বা অসহায় মানুষ কে খাবার বা  দান না করি তাহলে কি ওয়াজিব তরক হবে গোনাহ হবে কি?

1 Answer

0 votes
ago by (666,510 points)
জবাবঃ-
بسم الله الرحمن الرحيم

(০৩)
হাদীস শরীফে এসেছেঃ- 

وَعَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ قَالَ: سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ: «لَيْسَ الْمُؤْمِنُ بِالَّذِي يَشْبَعُ وَجَارُهُ جَائِع إِلَى جنبه» . رَوَاهُ الْبَيْهَقِيّ فِي «شعب الْإِيمَان»

ইবনু ’আব্বাস (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে বলতে শুনেছি যে, সে ব্যক্তি পূর্ণ মু’মিন নয়, যে উদরপূর্তি করে খায় অথচ তার পাশেই তার প্রতিবেশী ক্ষুধার্ত থাকে।

(সহীহ : শু‘আবুল ঈমান ৩৩৮৯, সহীহুল জামি‘ ৫৩৮২, আল মু‘জামুল কাবীর লিত্ব ত্ববারানী ১২৫৭৩, সহীহ আত্ তারগীব ২৫৬১, মুসনাদে আবূ ইয়া‘লা ২৬৯৯, আস্ সুনানুল কুবরা লিল বায়হাক্বী ২০১৬০।)

★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
প্রতিবেশি না খেয়ে থাকলে নিজেরা পেট ভরে খাইলে মুমিন বলতে পরিপূর্ণ মুমিন নয় বুঝানো হয়েছে।

উপরে উল্লেখিত হাদীসে "সে আমার দলভুক্ত নয়" এই শব্দ এসেছে।

এর অর্থ হলো সে আমাদের তরীকার অনুসারী নয় এবং আমাদের অনুসরণের প্রতি যত্নবান নয়। সে আমার সুন্নাত ও পথের অনুসারী নয়। আহলুস্ সুন্নাহর মতে কোন পাপ কাজের দ্বারা কাফির হয় না।

★তবে এতে তার ঈমান চলে যাবেনা। সে ইসলাম থেকে বের হয়ে যাবেনা।

আরো জানুনঃ- 

(০৪)
আপনার যেহেতু নিজস্ব কোন ইনকাম নেই, সুতরাং আপনি উক্ত হাদিসের ধমকির অন্তর্ভুক্ত হবেন না।

(০৫)
প্রশ্নের বিবরণ মতে এক্ষেত্রে আপনার কোনো গুনাহ হবেনা।

(১-২)
ওয়াসওয়াসা হল এমন এক মানসিক রোগ যা একজন মুসলিমকে বিভ্রান্ত করার জন্য শয়তানের পক্ষ থেকে মনে আসা  কুমন্ত্রনার ফাঁদ। এই রোগে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা এখন কম নয়।  কিন্তু এই রোগ সম্পর্কে ধারনা বা ইলমে জ্ঞান না থাকার ফলে একজন সাধারন ব্যক্তি ধীরে ধীরে মানসিক রোগীতে পরিণত করতে পারে। কারণ শুরুতেই যদি এর চিকিৎসা না করা হয়, তাহলে এটি বাড়তে থাকে।

আমরা আমাদের বিগত সহস্রাধিক প্রশ্ন রিসার্চ করে দেখেছি যে ওয়াসওয়াসা আক্রান্ত ব্যক্তি বিভিন্ন মাসলা মাসায়েল বা ফতোয়ার প্রশ্নের উত্তর ঘাটাঘাটি করে আরও বেশি ওয়াসওয়াসাতে আক্রান্ত হয়ে যায়। এবং প্রশ্নের উত্তর হল একজন ওয়াসওয়াসা আক্রান্ত রোগীদের রোগ বৃদ্ধির খোরাক। এবং একটা প্রশ্ন উত্তর পাওয়ার পর একজন ওয়াসওয়াসা আক্রান্ত ব্যক্তি ক্রমাগত একই প্রশ্ন বারবার ঘুরিয়ে পেচিয়ে শতাধিকবার করতে থাকেন।  যেটা উনাকে বরং ক্রমাগত অধিকতরও খারাপের দিকে নিয়ে যেতে থাকে। 

বিষয়গুলো পর্যালোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে ওয়াসওয়াসা আক্রান্ত রোগীদের ক্ষেত্রে নিচের দেওয়া বাধ্যতামূলক সুস্থ হওয়ার কোর্সটি কমপ্লিট না হওয়া পর্যন্ত কোনো প্রশ্নের উত্তর দেয়া হবে না । 

এবং আমরা আশা করছি এবং আল্লাহর উপরে ভরসা রেখে বলছি যারা নিচের এই কোর্সটি করবেন ইনশাআল্লাহ সুস্থ হয়ে যাবেন। 

আর কোর্সের ভিতরে একটা অংশে আমাদের মুফতি সাহেবদের সাথে সরাসরি জুম মিটিংয়ের মাধ্যমে প্রশ্ন-উত্তরের ব্যবস্থা থাকবে। 

আল্লাহ আমাদের সমস্ত শারীরিক ও মানসিক রোগ থেকে হেফাজত করুন। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...