আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

+1 vote
435 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (18 points)
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লহি ওয়া বারকাতুহ সন্মানিত শায়খ।
আমরা মাঝে মাঝে বাচ্চাদের আদর করে ভালোবেসে পশুপাখির নামে যেমন "ময়না পাখি", " টনটুনি", "বিড়াল/বিল্লি", "কৈতর বা কবুতর"; অথবা, "আমার চাঁদ", "আমার পরী", "সূর্য", "তারা" এধরনের নামে ডেকে থাকি। এগুলে সম্পর্কে শরীয়তের বক্তব্য কি?! যদি একটু রেফারেন্সসহ (যদি থেকে থাকে) বলতেন তাহলে খুব উপকমত হতাম, সন্মানিত শায়খ!
যাজাকুমুল্লাহ খায়রা।

1 Answer

0 votes
by (679,600 points)
জবাব
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم 

শরীয়তের বিধান হলোঃ কোন মুসলমানকে গালি দেওয়া জায়েজ নয়। এটি ফাসেকী।
সুতরাং কাউকে নিচু বা লাঞ্চিত করা,কষ্ট দেওয়ার লক্ষ্যে কুকুর, বিড়াল বলে সম্বোধন করে ডাক দেওয়া জায়েয হবেনা।

আল্লাহ তাআলা কুরআনুল কারীমে সতর্ক করেছেন। আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেন-

یٰۤاَیُّهَا الَّذِیْنَ اٰمَنُوْا لَا یَسْخَرْ قَوْمٌ مِّنْ قَوْمٍ عَسٰۤی اَنْ یَّكُوْنُوْا خَیْرًا مِّنْهُمْ وَ لَا نِسَآءٌ مِّنْ نِّسَآءٍ عَسٰۤی اَنْ یَّكُنَّ خَیْرًا مِّنْهُنَّ وَ لَا تَلْمِزُوْا اَنْفُسَكُمْ وَ لَا تَنَابَزُوْا بِالْاَلْقَابِ بِئْسَ الِاسْمُ الْفُسُوْقُ بَعْدَ الْاِیْمَانِ وَ مَنْ لَّمْ یَتُبْ فَاُولٰٓىِٕكَ هُمُ الظّٰلِمُوْنَ.

হে মুমিনগণ! কোনো পুরুষ যেন অপর কোনো পুরুষকে উপহাস না করে; কেননা যাকে উপহাস করা হয় সে উপহাসকারী অপেক্ষা উত্তম হতে পারে এবং কোনো নারী অপর নারীকেও যেন উপহাস না করে; কেননা যাকে উপহাস করা হয় সে উপহাসকারিণী অপেক্ষা উত্তম হতে পারে। তোমরা একে অপরের প্রতি দোষারোপ করো না এবং একে অপরকে মন্দ নামে ডেকো না; ঈমানের পর মন্দ নাম অতি মন্দ। যারা এসব থেকে বিরত না হবে তারাই যালেম। -সূরা হুজুরাত (৪৯) : ১১

হাদীস শরীফে এসেছেঃ   
عَنْ عَبْدِ اللَّهِ، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «سِبَابُ المُسْلِمِ فُسُوقٌ، وَقِتَالُهُ كُفْرٌ

হযরত আব্দুল্লাহ বিন মাসঊদ রাঃ থেকে বর্ণিত। রাসূল সাঃ ইরশাদ করেছেন, মুসলমানকে গালি দেয়া ফাসেকী। আর তাকে হত্যা করা কুফরী। {বুখারী, হাদীস নং-৬০৪৪] 
,
আরো জানুনঃ 
,
তবে যদি এতে তাকে নিচু বা লাঞ্চিত করা,কষ্ট দেওয়ার লক্ষ্য না থাকে,বরং মজা করেই এমন কথা বলে,আর সেও এটাকে মজা বলেই নেয়,কষ্ট মনে বা করে,তাহলে এতে গুনাহ হবেনা।
,
তবে বারবার এমন করে সম্বোধন করা ঠিক হবেনা,কারন এতে সে কষ্ট পাবে।
,
★★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই বোন, 
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে মুহাব্বতের তাগিদে মাঝে মাঝে বাচ্চাদের আদর করে ভালোবেসে পশুপাখির নামে যেমন "ময়না পাখি", " টনটুনি", "বিড়াল/বিল্লি", "কৈতর বা কবুতর"; অথবা, "আমার চাঁদ", "আমার পরী", "সূর্য", "তারা" এধরনের নামে ডাকা জায়েজ আছে।
,
তবে এর মধ্যে বিড়াল শব্দটি ব্যবহার না করাই উত্তম।   
এটা সমাজের কাছে হীন বলে মনে করা হয়।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...