আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
137 views
in ঈমান ও বিশ্বাস (Faith and Belief) by (11 points)
আসসালামু আলাইকুম।
১.অনেক দিন ধরে আমার প্রশ্ন জাগে যে আল্লাহর গুনবাচক নাম রহিম রহমান করিম। ছেলেদের নাম আব্দুর রহিম আব্দুর রহমান আব্দুল করিম রাখে কিন্তু মেয়েদের নাম রাখে না কেন। তারপর আমার মনে হয় যে মেয়েদের নাম তো হামিদা কারিমা রহিমা রাখে। সেদিন একটি ভিডিওতে দেখলাম যে রহিমা নাম রাখা যাবে না রহিমা নাম রাখা শিরক। কারণ আল্লাহর নামের কোন স্ত্রী লিংগ  হয় না। এখন আমার প্রশ্ন হল-

*আমার মনে এইরকম প্রশ্ন জাগার কারনে আমি যেহেতু আল্লাহর গুনবাচক নামের স্ত্রী লিংগ ভেবেছিলাম রহিমা কারিমা হামিদা( আস্তাগফিরুল্লাহ) এর কারনে কি শিরক করা হবে? এর কারনে কি আমার ঈমানের কোন সমস্যা হবে? আমার বিবাহের কোন সমস্যা হবে?

*আমার ১ নাম্বার প্রশ্ন লিখতে কি কোন ভুল হয়েছে এর কারনে কি আমার গুনাহ হবে?  আমার ঈমানের কোন সমস্যা হবে?

* আল্লাহর  গুনবাচক নামসমূহের ব্যাকরন যদি বলতেন তাহলে ভালো হত? আমার এই প্রশ্ন করার কারনে কি আমার গুনাহ হবে আমার ঈমানের কোন সমস্যা হবে?

২.নেয়ামতুল্লাহ নামের অর্থ কি এই নাম রাখা যাবে কি.

৩.পশু পাখির সহবাস দেখা কি জায়েয?

৪.ক্রিকেট বা ফুটবল খেলাতে কোন ঘটনা ঘটলে বা গুনাহের কাজে কোন ঘটনা ঘটলে কি মিরাকেল ব অলৌকিক বলা কি জায়েয বা বলা যাবে কি?

৫.আল্লাহ আমাদের দয়া করে সৃষ্টি করেছেন। এই কথাটা এভাবে বলা কি সঠিক?  এই প্রশ্ন করার কারনে কি আমার গুনাহ হবে?  আমার ঈমানের কোন সমস্যা হবে?

৬.কেউ যদি কাউকে আল্লাহর বিশ্বস্ত বান্দা বলে তাহলে কি গুনাহ হবে?  কাউকে আল্লাহর বিশ্বস্ত বান্দা বলা যাবে কি? এই প্রশ্ন করার কারনে কি আমার ঈমানের কোন সমস্যা হবে?

1 Answer

0 votes
by (680,600 points)
edited by
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ- 


(০১)
এর কারনে সমস্যা হবেনা।
শিরক হবেনা।

আল্লাহর গুনবাচক নাম ছেলেদের নাম হিসেবে রাখতে হলে শুরুতে আবদ (গোলাম) শব্দ যুক্ত করতে হয়,যেমন আব্দুর রহমান,আব্দুল মাজিদ ইত্যাদি। 

একইভাবে কেহ আল্লাহর গুনবাচক নাম মেয়েদের নাম হিসেবে রাখতে চাইলে শুরুতে আমাতুন (বাদী) যুক্ত করতে হবে।
যেমন আমাতুল্লাহ,আমাতুর রহমান,আমাতুর রহিম ইত্যাদি। 

(০২)
نِعْمَة ج نِعَم ، أَنْعُم
[নি'মাহ] শব্দের অর্থঃ-
নেয়ামত
আশীষ
দান
অনুগ্রহ
সম্পদ
প্রাচুর্য
ঐশ্বর্য
আনন্দ

★নেয়ামাতুল্লাহ নামের অর্থ হলো,আল্লাহর দান,আল্লাহর অনুগ্রহ ইত্যাদি। 
এ নাম রাখা যাবে,কোনো সমস্যা নেই।

(০৩)
মহান আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেনঃ- 

یٰۤاَیُّہَا الَّذِیۡنَ اٰمَنُوۡا لَا تَتَّبِعُوۡا خُطُوٰتِ الشَّیۡطٰنِ ؕ وَ مَنۡ یَّتَّبِعۡ خُطُوٰتِ الشَّیۡطٰنِ فَاِنَّہٗ یَاۡمُرُ بِالۡفَحۡشَآءِ وَ الۡمُنۡکَرِ ؕ وَ لَوۡ لَا فَضۡلُ اللّٰہِ عَلَیۡکُمۡ وَ رَحۡمَتُہٗ مَا زَکٰی مِنۡکُمۡ مِّنۡ اَحَدٍ اَبَدًا ۙ وَّ لٰکِنَّ اللّٰہَ یُزَکِّیۡ مَنۡ یَّشَآءُ ؕ وَ اللّٰہُ سَمِیۡعٌ عَلِیۡمٌ ﴿۲۱﴾ 

হে মুমিনগণ! তোমরা শয়তানের পদাঙ্ক অনুসরণ করো না। আর কেউ শয়তানের পদাঙ্ক অনুসরণ করলে শয়তান তো অশ্লীলতা ও মন্দ কাজেরই নির্দেশ দেয়। আল্লাহর অনুগ্রহ ও দয়া না থাকলে তোমাদের কেউই কখনো পবিত্র হতে পারতে না, তবে আল্লাহ যাকে ইচ্ছে পবিত্র করেন এবং আল্লাহ সর্বশ্রোতা, সর্বজ্ঞ।
(সুরা নূর ২১)

ইনছাফ গ্রন্থে আছেঃ-

في الإنصاف -وهو من الفقه الحنبلي- نقلاً عن ابن عقيل: (يحرم النظر مع شهوة وسحاق وإلى دابة يشتهيها ويعف عنه، وكذا الخلوة، قال في الفروع وهو ظاهر كلام غيره).
সারমর্মঃ-
প্রানীর দিকে উত্তেজনার সাথে নজর দেয়া হারাম,এক্ষেত্রে তার সাথে একাকিত্বও হারাম।

ইসলামী স্কলারগন বলেছেনঃ-
النظر إلى عورات الحيوانات فالأصل فيها الجواز إلا إذا كانت تثير شهوة الشخص أو يتلذذ بها الناظر فإنها لا تجوز خشية أن يجره ذلك إلى فعل محرم أو التفكير فيه، 
সারমর্মঃ-
পশুপাখির লজ্জাস্থানের দিকে নজর দেয়া জায়েজ,কিন্তু যদি এর দরুন কোনো ব্যাক্তি উত্তেজিত হয় অথবা মজা পায়,সেক্ষেত্রে হারাম কাজ হতে বেঁচে থাকার স্বার্থে তার জন্য নজর দেয়া জায়েজ নেই।

★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
পশু পাখির সহবাস দেখা নাজায়েয নয়।
কিন্তু যদি এর দরুন কোনো ব্যাক্তি উত্তেজিত হয় অথবা মজা পায়,সেক্ষেত্রে তার জন্য পশু পাখির সহবাস দেখা হারাম।

(০৪)
বলা যাবে।

(০৫)
এই কথাটা এভাবে বলা ঠিক আছে।
এই প্রশ্ন করার কারনে আপনার গুনাহ হবেনা।  আপনার ঈমানের কোন সমস্যা হবেনা।

(০৬)
কেউ যদি কাউকে আল্লাহর বিশ্বস্ত বান্দা বলে, তাহলে গুনাহ হবেনা।  কাউকে আল্লাহর বিশ্বস্ত বান্দা বলা যাবে। এই প্রশ্ন করার কারনে আপনার ঈমানের কোন সমস্যা হবেনা।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (11 points)
আমার ৪ নাম্বার প্রশ্নের উত্তরে বলেছিলেন যে মিরাকেল বা অলৌকিক  বলা যাবে। কিন্তু হারাম কাজে ইনশাআল্লাহ বলা যাবে না। কিন্তু হারাম কাজে মিরাকেল বা অলৌকিক বলা যাবে কি। যদি বুঝিয়ে বলতেন উপকার হত।           
by (680,600 points)
 হারাম কাজে মিরাকেল বা অলৌকিক বলা যাবে। 

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...