আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
664 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (27 points)
আসসালামু আলাইকুম।

ٱلسَّلَامُ عَلَيْكُمْ وَ رَحْمَةُ اللّه

একটা হাদিসে পড়েছিলাম যে, রমজান মাসে নাকি শয়তান বাধা থাকে।

প্রশ্ন হচ্ছে, এটা কোন শয়তান?

আমাদের যে অনবরত ওয়াসওয়াসা দিতে থাকে, সেই শয়তান?

নাকি অন্য কিছু?

বারাকাল্লাহ ফিই

1 Answer

0 votes
by (565,890 points)
জবাব
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم 


রমাযান মাসে শয়তানদেরকে শেকল বন্দি করার ব্যাপারে বহু হাদিস বর্ণিত হয়েছে। 

عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ عَنْ رَسُولِ اللهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ إِذَا كَانَتْ أَوَّلُ لَيْلَةٍ مِنْ رَمَضَانَ صُفِّدَتْ الشَّيَاطِينُ وَمَرَدَةُ الْجِنِّ وَغُلِّقَتْ أَبْوَابُ النَّارِ فَلَمْ يُفْتَحْ مِنْهَا بَابٌ وَفُتِحَتْ أَبْوَابُ الْجَنَّةِ فَلَمْ يُغْلَقْ مِنْهَا بَابٌ وَنَادَى مُنَادٍ يَا بَاغِيَ الْخَيْرِ أَقْبِلْ وَيَا بَاغِيَ الشَّرِّ أَقْصِرْ وَلِلهِ عُتَقَاءُ مِنْ النَّارِ وَذَلِكَ فِي كُلِّ لَيْلَةٍ

হুরাইরাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন : যখন রমযান মাসের প্রথম রাত আসে, তখন শয়তান ও অবাধ্য জিনদের শেকল দিয়ে বেধে দেয়া হয়, জাহান্নামের দরজাগুলো বন্ধ করে দেয়া হয়, তার একটি দরজাও খোলা হয় না, জান্নাতের দরজাসমূহ খুলে দেয়া হয়, এর একটি দরজাও বন্ধ হয় না এবং একজন ঘোষক ডেকে বলেন, হে সৎকর্মপরায়ণ ব্যক্তি! অগ্রসর হও, হে অসৎকর্মপরায়ণ! থেমে যাও। আল্লাহ্ (রমযানের) প্রতিটি রাতে অনেক লোককে জাহান্নাম থেকে মুক্তি দান করেন।” (সহীহুল বুখারী ১৮৯৮, ১৮৯৯, ৩২৭৭, মুসলিম ১০৭৯)

★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই, উল্লেখিত হাদীসে কোন শয়তানের কথা বলা হয়েছে?    
শয়তানদেরকে শেকল বন্দি করার পরও তারা কিভাবে মানুষের মনে কুমন্ত্রণা দেয়?
মুহাদ্দিসীনে কেরামগন এ প্রশ্নগুলোর বিভিন্ন জবাব  দিয়েছেন। যেমন-

★সুনানে নাসাঈর বর্ণনায় এসেছে:
 وتغل فيه مردة الشياطين 
“রমাযান মাসে অবাধ্য ও উগ্র শয়তানদেরকে বন্দি করা হয়।” অর্থাৎ সব শয়তানকে বন্দি করা হয় না বরং যেগুলো বেশি উগ্র ও অবাধ্য কেবল সেগুলোকে শেকল পারানো হয়।

সুতরাং অন্যান্য ছোট শয়তানগুলো মানুষের মনে কুমন্ত্রণা দিতে পারে। তবে যে ব্যক্তি রোযার আদব ও শর্তবলীর প্রতি লক্ষ রেখে ইখলাস ও আন্তরিকতা সহকারে রোযা রাখে এবং শয়তানের কুমন্ত্রণা থেকে আল্লাহর নিকট আশ্রয় প্রার্থনা করে আল্লাহর সাহায্যে শয়তানরা তাদের অন্তরে প্রভাব ফেলতে পারে না এবং তাদের ক্ষতি করতে পারে না।

★মানুষ পাপ করে দুই কারণে। এক হল তার মনের কুপ্রবৃত্তির কারণে। আরেকটি হল শয়তানের প্ররোচনায়। শয়তান বন্দি থাকলেও মনের কুপ্রবৃত্তির কারণে মানুষ পাপ করে থাকে।

★সকল শয়তান বন্দী করা হয় না, কিছু শয়তান বন্দি করা হয়। তাই অন্য শয়তানদের প্ররোচনায় মানুষ পাপ করে।

★রমজানের আগে করা পাপের প্রভাবে মানুষ পাপ করে থাকে। যেমন গরম থেকে আসলে শরীর থাকে তেমনি।

★রমজানে শয়তানের পরোক্ষ হস্তক্ষেপ বন্ধ থাকলেও পরোক্ষ হস্তক্ষেপ বন্ধ থাকে না। তাই মানুষ পাপ করে।

★কারো মতে রাতে শয়তান বন্দি থাকে, দিনের বেলা নয়।

★শয়তান বন্দি হয়, মানে মানুষের মনে ইবাদতের আকাংখা বৃদ্ধি পায়। মূলত শয়তান বন্দি হয় না।
বিস্তারিত জানতে দেখুন- ফাতহুল বারী, উমদাতুল কারী, মিরকাতুল মাফাতীহ, উমদাতুল কারী, শরহে মুসলিম লিননাবাবী, শরহুজ যুরকানী লিলমুয়াত্তা, ফায়জুল বারী}


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...