আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
36 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (2 points)
closed by

আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লহ । আমাকে পড়াশোনার জন্য মাহরাম ছাড়া ঘর থেকে বের হতে হয়। দূরত্ব কিছুটা বেশি ও  আর্থিক অবস্থা ভালো না হওয়ায় বাসে যাওয়া আসা করি। পরিপূর্ণ পর্দাসহ মহিলা সীটে বসা সত্ত্বেও আমাকে বাসে পেছনের সীট থেকে খারাপ ভাবে স্পর্শ করা হয়,  ওয়াল্লাহি আমি মোটেও এই খারাপ স্পর্শকে এঞ্জয় করিনি এবং সাথে সাথে প্রতিবাদ করি। বাসায় এসে আমার আত্মীয়াকে এই বিষয়ে জানালে তিনি বলেন ওই লোকের তো পাপ হবেই, আমার ইস্তেগফার করতে হবে আর আল্লহর কাছে এই পাপ থেকে পানাহ চাইতে হবে  এবং আমার এই বিষয়টা অন্যদের সাথে শেয়ার করা উচিত হবে না যেহেতু পাপ গোপন করতে হয়। 

আমি জানতে চাই , ইসলাম আমার সাথে ঘটা এ বিষয়ে কি বলে? আমার আত্মীয়ার কথা কি সঠিক যে আমার ও এতে পাপ আছে এবং ইস্তিগফার করতে হবে? 

 

এছাড়াও আমি একটি হাদীস পড়েছি যেখানে একজন ধর্ষিতা নারী রাসূল (স) এর কাছে বিচার দিলে রাসূল (স) বলেন , তুমি চলে যাও, আল্লাহ তোমার অপরাধ মাফ করে দিয়েছেন। এ হাদীস দ্বারা নারীর অপরাধ আছে যা ক্ষমা করা হচ্ছে বুঝায় কি না ব্যাখ্যা জানতে চাই।  

closed

1 Answer

0 votes
by (80,850 points)
selected by
 
Best answer

ওয়া আলাইকুমুস সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।

জবাবঃ

আপনি যে হাদীসটির কথা বলছেন, সেটি সহীহ হাদীসে এসেছে। ঘটনাটি সংক্ষেপে এমন—

একজন নারীকে একজন ব্যক্তি জোরপূর্বক ধর্ষণ করেছিল। লোকেরা তাকে (নারীটিকে) রাসূলুল্লাহ এর কাছে নিয়ে আসে।

রাসূল বলেন:

«اذهبِي، فقد غَفَرَ الله لكِ»

“তুমি চলে যাও, আল্লাহ তোমাকে ক্ষমা করে দিয়েছেন।”

এরপর ধর্ষককে ধরে আনা হলে, রাসূল তাকে শাস্তি দেওয়ার হুকুম দেন।

হাদীসের আরবী মূল (আবু দাউদে বর্ণিত):

عَنْ زَيْدِ بْنِ خَالِدٍ الْجُهَنِيِّ، أَنَّهُ قَالَ: سُئِلَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَنْ أَمَةٍ وُجِدَتْ قَدْ أُصِيبَتْ فِي فَجْرَةٍ مِنَ الْفَجَرِ، فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «عَلَيْهَا الرَّجْمُ»، فَقَالَ قَائِلٌ: يَا رَسُولَ اللَّهِ، إِنَّهُ قَدِ اسْتُكْرِهَتْ، قَالَ: فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «رَفَعَ اللَّهُ عَنْهَا الْحَدَّ، وَيُرْجَمُ الَّذِي أَصَابَهَا»

অর্থ: “একজন নারীকে জোর করে ধর্ষণ করা হয়েছিল। প্রথমে লোকেরা মনে করেছিল সে ব্যভিচার করেছে, তাই রাসূল বললেন: তার উপর হদ্দ (শাস্তি) আছে। তখন একজন বলল, হে আল্লাহর রাসূল, তাকে তো জোরপূর্বক (ধর্ষণ) করা হয়েছে। তখন রাসূল বললেন: ‘আল্লাহ তার থেকে হদ্দ উঠিয়ে দিয়েছেন। আর যে পুরুষ তাকে ধর্ষণ করেছে, তার উপর রজম (শাস্তি) প্রয়োগ করা হবে।’

সুনান আবি দাউদ, হাদীস নং 4378

,

এখান থেকে প্রমাণিত হয়—

* ধর্ষিতা নারীর কোন গুনাহ নেই, বরং আল্লাহ তাকে ক্ষমা করেছেন।

* অপরাধী পুরুষই শাস্তিযোগ্য।

,

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী বোন!

,

প্রশ্নোক্ত ক্ষেত্রে যেহেতু এখানে সব দোষ ও অপরাধ ঐ লোকের। তাই তারই সব গোনাহ হবে।

আপনার কোনো গোনাহ হবে না ইনশাআল্লাহ। কারণ, আপনি যেহেতু সাথে সাথে প্রতিবাদ করেছেন। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী আব্দুল ওয়াহিদ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)
by (1 point)
ওস্তাদ, ধর্ষকের অপরাধ গোপন রাখার দরুন কী তার অপরাধ প্রবণতা আরো বেড়ে যাবে না? যা পরবর্তীতে অন্যান্য নারীও ঐ ধর্ষক দ্বারা জুলুমের শিকার হওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হয় কিনা?

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...