ওয়া আলাইকুমুস সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ
আপনি যে হাদীসটির কথা বলছেন, সেটি সহীহ হাদীসে এসেছে। ঘটনাটি সংক্ষেপে এমন—
একজন নারীকে একজন ব্যক্তি জোরপূর্বক ধর্ষণ করেছিল। লোকেরা তাকে
(নারীটিকে) রাসূলুল্লাহ ﷺ এর কাছে নিয়ে আসে।
রাসূল ﷺ বলেন:
«اذهبِي، فقد غَفَرَ الله لكِ»
“তুমি চলে যাও, আল্লাহ
তোমাকে ক্ষমা করে দিয়েছেন।”
এরপর ধর্ষককে ধরে আনা হলে, রাসূল ﷺ তাকে শাস্তি দেওয়ার হুকুম দেন।
হাদীসের আরবী মূল (আবু দাউদে বর্ণিত):
عَنْ
زَيْدِ بْنِ خَالِدٍ الْجُهَنِيِّ، أَنَّهُ قَالَ: سُئِلَ
رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَنْ أَمَةٍ وُجِدَتْ قَدْ
أُصِيبَتْ فِي فَجْرَةٍ مِنَ الْفَجَرِ، فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ
عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «عَلَيْهَا الرَّجْمُ»، فَقَالَ قَائِلٌ: يَا رَسُولَ
اللَّهِ، إِنَّهُ قَدِ اسْتُكْرِهَتْ، قَالَ: فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى
اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «رَفَعَ اللَّهُ عَنْهَا الْحَدَّ، وَيُرْجَمُ الَّذِي
أَصَابَهَا»
অর্থ: “একজন নারীকে জোর করে ধর্ষণ করা হয়েছিল। প্রথমে লোকেরা
মনে করেছিল সে ব্যভিচার করেছে, তাই রাসূল ﷺ বললেন: তার উপর হদ্দ (শাস্তি) আছে। তখন একজন বলল, হে আল্লাহর রাসূল, তাকে তো জোরপূর্বক (ধর্ষণ)
করা হয়েছে। তখন রাসূল ﷺ বললেন: ‘আল্লাহ তার থেকে হদ্দ উঠিয়ে দিয়েছেন। আর যে পুরুষ তাকে
ধর্ষণ করেছে, তার উপর রজম (শাস্তি) প্রয়োগ করা হবে।’
সুনান আবি দাউদ, হাদীস
নং 4378
,
এখান থেকে প্রমাণিত হয়—
* ধর্ষিতা নারীর কোন গুনাহ নেই, বরং আল্লাহ তাকে ক্ষমা করেছেন।
* অপরাধী পুরুষই শাস্তিযোগ্য।
,
★ সু-প্রিয়
প্রশ্নকারী দ্বীনী বোন!
,
প্রশ্নোক্ত ক্ষেত্রে যেহেতু
এখানে সব দোষ ও অপরাধ ঐ লোকের। তাই তারই সব গোনাহ হবে।
আপনার কোনো গোনাহ হবে
না ইনশাআল্লাহ। কারণ, আপনি যেহেতু সাথে সাথে প্রতিবাদ
করেছেন।