আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
29 views
in ব্যবসা ও চাকুরী (Business & Job) by (1 point)
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু! আমি দেশের বাইরে অবস্থান করি। দেশে ফেরার আগে আমি দেশের গ্রাহকদের কাছ থেকে স্বর্ণের গহনা অর্ডার গ্রহণ করি। প্রক্রিয়াটি সাধারণত এভাবে হয়: প্রথমে আমি কাস্টমারকে জুয়েলারি শপ থেকে সরাসরি গহনা দেখাই। যদি তিনি পছন্দ করেন, তখন আমি নিজেই সম্পূর্ণ পেমেন্ট করে গহনা কিনি, কখনো গ্রাহক ৫০%–৮০% পর্যন্ত পেমেন্ট দেন এবং বাকিটা আমি পরিশোধ করি, দেশে গহনা হস্তান্তরে পর সেই বাকি পেমেন্ট টা গ্রহণ করি। আবার অনেক সময় গ্রাহক আমি কিনে আনার কিছুদিন পরই ফুল পেমেন্ট করে দেন, যদিও তখনো গহনা তাদের হাতে পৌঁছেনি!  কারণ: যেহেতু দেশের বাহিরে থেকে কেনা তাই হাতে হাতে দ্রুত পৌছানো সম্ভব হয়না।   আবার কিছু ক্ষেত্রে গ্রাহক কোনো আগাম টাকা দেন না; আমি আমার টাকায় কিনে দেশে পৌঁছে গহনা হস্তান্তরের সময় তারা পেমেন্ট করেন। এভাবে ডেলিভারিতে প্রায় ১ মাস প্লাস/মাইনাস সময় লাগে।  এখানে সোনা দিয়ে সোনা বা রুপা দিয়ে রুপার লেনদেন হচ্ছে না, বরং টাকা দিয়ে সোনা কেনা হচ্ছে। প্রতিটি অর্ডারে ডিজাইন, ওজন, বাজার মূল্য এবং ডেলিভারির নির্দিষ্ট সময় লিখিত চুক্তিতে থাকে। আমি সরাসরি দোকান থেকে নগদ অর্থ দিয়ে গহনা কিনি, কিন্তু দেশের ভেতরে গ্রাহকই আসল ক্রেতা।  আমার প্রশ্ন হলো—এই লেনদেন প্রক্রিয়ায় গ্রাহক ও আমার মাঝে শরীয়ত অনুযায়ী কোনো গুনাহ, সুদ বা হারাম লেনদেনের আশঙ্কা আছে কি না?

1 Answer

0 votes
by (705,360 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
আবূ বকর ইবনু আবূ শায়বা, আমরুন নাকিদ ও ইসহাক ইবনু ইবরাহীম (রহঃ) ... উবাদা ইবনু সামিত (রাঃ) থেকে বর্ণিত। 
عَنْ عُبَادَةَ بْنِ الصَّامِتِ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " الذَّهَبُ بِالذَّهَبِ وَالْفِضَّةُ بِالْفِضَّةِ وَالْبُرُّ بِالْبُرِّ وَالشَّعِيرُ بِالشَّعِيرِ وَالتَّمْرُ بِالتَّمْرِ وَالْمِلْحُ بِالْمِلْحِ مِثْلاً بِمِثْلٍ سَوَاءً بِسَوَاءٍ يَدًا بِيَدٍ فَإِذَا اخْتَلَفَتْ هَذِهِ الأَصْنَافُ فَبِيعُوا كَيْفَ شِئْتُمْ إِذَا كَانَ يَدًا بِيَدٍ " .
তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ স্বর্ণ স্বর্ণের বিনিময়ে, রৌপ্য বৌপ্যের বিনিময়ে, গম গমের বিনিময়ে, যব যবের বিনিময়ে, খেজুর খেজুরের বিনিময়ে এবং লবন লবনের বিনিময়ে সমান সমান সমপরিমাণ ও হাতে হাতে হতে (নগদ) হবে। অবশ্য এই দ্রব্যগুলো যদি একটা অপরটার সাথে বিনিময় হয়। (অর্থাৎ পণ্য এক জাতীয় না হয়) তোমরা যেরূপ ইচ্ছা করতে পার যদি হাতে হাতে (নগদে) হয়।(সহীহ মুসলিম-৩৯১৮)


সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
যেহেতু স্বর্ণের  বিনিময়ে স্বর্ণ ক্রয় হচ্ছে না, তাই বাকীতেও জায়েয হবে।স্বর্ণ হস্তগত হওয়ার পূর্বে অন্যর কাছে বিক্রি করতে পারবেন না। দেশে ফেরার আগে আপনি যদি দেশের গ্রাহকদের কাছ থেকে স্বর্ণের গহনার অর্ডার গ্রহণ করেন, তথা বিক্রির ওয়াদা করেন, তাহলে তাদের পছন্দমত স্বর্ণ দেশে এনে তাদের কাছে বিক্রি করতে পারবেন। এক্ষেত্রে মূল্য দেশে এসেই গ্রহণ করবেন।

 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...