السلام عليكم ورحمة الله وبركاته
উস্তাজ, বান্দার হক্ব নষ্ট সম্পর্কে কয়েকটা প্রশ্ন ছিল।
১. অনেক সময় দেখা যায়, আমরা বিভিন্ন কোর্সে ভর্তি হই, কিন্তু দারসে উপস্থিত হই না। বা মিথ্যা অজুহাত দিই। এতে তো উস্তাজগণের হক্ব নষ্ট হয়। সেক্ষেত্রে মেয়েরা তাঁদের কাছে কীভাবে মাফ চাইবো? সরাসরি যোগাযোগ করাটা ফিতনা হবে, আবার একাধিক প্রতিষ্ঠানে একাধিক উস্তাজদের সাথে যোগাযোগ করাও মুশকিল। পেজেও মেসেজ করা যায়, কিন্তু তাতে কি গুনাহ প্রকাশ করা হবে না? আবার প্রত্যেক উস্তাজগণের কাছে কর্তৃপক্ষ আমার হয়ে মাফ চাইবে কি না আদৌ সেটাও প্রশ্ন। সব মিলিয়ে এ পরিস্থিতিতে কী করণীয়?
২. অন্যান্য বান্দাদের হক্ব নষ্টের ব্যাপারটা কী করা যায়? মানে প্রতারণা বা এরকম কিছু না। ছোটখাটো মিথ্যা, গীবত, হয়তো সাময়িক খারাপ আচরণ; এই ব্যাপারগুলোতে কী করণীয়?
৩. জীবনে তো আমাদের কম মানুষের সাথে পরিচয় হয় না। সবার কাছে মাফ চাওয়াও যায় না। আবার চাইলেও হয়তো তারা দায়সারা ভাবে বলবে মাফ করেছে। ব্যাপারটা সময়সাপেক্ষও। এর চাইতে টুকিটাকি হক্ব নষ্টের ব্যাপারে ফেসবুকে পোস্ট করে সাধারণ মাফ চাইলে কি হবে? আন্তরিক তাওবা করে যদি মাফ চাই? নাকি সবার কাছেই মাফ চাইতে হবে?
৪. যদি কারোর আর্থিক ক্ষতি হয়, হয়তো কলম বা এ জাতীয় ছোটখাটো জিনিস নিয়ে দিতে ভুলে গেছি বা এমন কিছু, এক্ষেত্রে তো সবসময় মনে থাকে না কার কি ঋণ আছে। সেক্ষেত্রে কি শুধু তাওবা ও আনুমানিক সদাকা করলে দায়মুক্তি হবে?
৫. যদি ফিতনার আশঙ্কা থাকে, মানে তার কাছে মাফ চাইলে সে জানতে চাইবে কী কারণে মাফ চাচ্ছি বা এমন কিছু, বা কথা বলার মতো অবস্থা নাই; সেক্ষেত্রে কি তাওবা, ইস্তিগফার, নিজের ও তার জন্য দুআ, সদাকা, এসব যথেষ্ট হবে? অনেককে বলতে শুনি, ফিতনার আশঙ্কা থাকলে মাফ না চাওয়াই উত্তম। অহংকার থেকে না অবশ্যই, উস্তাজ। ফিতনার আশঙ্কা থেকেই।
আপনারও অনেক দারসে আমি গাফিলতি করেছি নির্ঘাত। সম্ভব হলে এ কাজের জন্য আমাকে মাফ করে দিয়েন, উস্তাজ। আমি আসলেই লজ্জিত এবং দুঃখিত। সম্ভব হলে বাকি উস্তাজগণের সাথেও যদি আমার মতো শিক্ষার্থী যারা গাফিলতি করে অনুতপ্ত, তাদেরকে মাফ করার কথা আলোচনা করতেন তাহলে খুবই উপকৃত হতাম ইনশাআল্লাহ। আল্লাহ তাআলা আপনাদের উত্তম প্রতিদান দান করুন।