বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
(১)
মুয়াজ যখন নবীজির স: সেজদা করলে তখন নবীজি বললেন আল্লাহ ছাড়া অন্য কাউকে সেজদা করা যাবে না যদি আমি আল্লাহ ছাড়া অন্য কাউকে সিজদা করতে আদেশ করতাম তাহলে একজন স্ত্রী যেন তার স্বামী কে সেজদা করে( ইবনে মাজাহ 1853)
উক্ত হাদীসে রাসূলুল্লাহ সাঃ মানুষে মানুষকে সেজদা করা যে অসম্ভব,সেটা বুঝানোর জন্য বলছেন, একজন পুরুষের তার স্ত্রীর উপর এত অধিকার রয়েছে যে, স্বামী সেজদার উপযুক্ত।কিন্তু শরীয়ত যখন স্ত্রীকে স্বামীর সামনে সেজদা করার অনুমোদন দেয়নি,তাই বুঝা গেল কোনো মানুষ অন্য কোনো মানুষকে কখনো সেজদা করতে পারবে না।
(২)
“সময় বলে দিবে যে পরবর্তীতে কি করতে হবে”
এরকম কথা বলাতে কোনো অসুবিধে নেই। কেননা পরিবেশ পরিস্থিতি মানুষকে পদক্ষেপ গ্রহণ করতে সাহায্য করে।
(৩)
ভ্রু তোলা এবং সুন্দর্য্য গ্রহণের নিমিত্তে প্লাস্টিক সার্জারি করা আল্লাহর সৃষ্টিতে পরিবর্তন নিয়ে আসার শামিল।
(৪)
বিধর্মীদের অনুষ্টানে উপস্থিত হওয়া যাবে না।তবে তাদের পশু জবাই ব্যতীত বাদবাকী সমস্ত খাবার খাওয়া জায়েয রয়েছে।
কাফিরদের কাছ থেকে তাদের উৎসব উপলক্ষ্যে হাদিয়া গ্রহণ সম্পর্কে আমরা ইতিপূর্বে হযরত আলি রাযি.এর হাদিস বর্ণনা করেছি যে, উনার কাছে নাইরুয দিনে হাদিয়া আসলে তিনি তা কবুল করে নেন।
এবং হযরত আয়েশা রাযি থেকেও বর্ণিত রয়েছে,
তিনি বলেনঃ
যে জন্তু সেই উৎসবের নামে যবেহ করা হয়েছে তা তোমরা খেয়ো না।তবে তাদের ফলমূলাদি খেতে পারো।
হযরত আবু বারযাহ রাযি. থেকে বর্ণিত রয়েছে যে,নাইরুয দিনে কোনো এক অগ্নিপূজক তাকে কিছু হাদিয়া দিয়েছিলো, তখন তিনি তার পরিবারবর্গকে বলেছিলেন,হাদিয়া যদি ফলমূলাদি থেকে হয় তাহলে তোমরা খেতে পারো।আর যদি তা অন্যকিছু হয় তাহলে তা তোমরা ফিরিয়ে দাও।
এ সমস্ত রেওয়াত প্রমাণ করে যে,কাফিরদের কাছ থেকে হাদিয়া গ্রহণ তাদের উৎসব সমূহ বাধা প্রদাণ করবে না।বরং যেকোনো সময় তাদের কাছ থেকে হাদিয়া গ্রহণ করা যাবে।
কেননা তখন তা কাফিরদের ধর্মীয় কোনো বিষয়ে সাহায্য করা হচ্ছে না।
(আল-মানহাজুল কাওয়ীম ফি ইখতেছারে ইক্বতেযায়িস সিরাতিল মুস্তাক্বিম-১/১২৮)