আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
394 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (45 points)
  1. মুয়াজ যখন নবীজির স:   সেজদা করলে তখন নবীজি বললেন  আল্লাহ ছাড়া অন্য কাউকে সেজদা করা যাবে না যদি আমি আল্লাহ ছাড়া অন্য কাউকে সিজদা করতে আদেশ করতাম তাহলে একজন স্ত্রী যেন তার স্বামী কে সেজদা করে( ইবনে মাজাহ 1853) -  এখানে নবীজি আসলে কি বুঝিয়েছেন এবং এই ধরনের সিজদা কি আসলে করা যাবে কারণ আল্লাহ ছাড়া অন্য কাউকে করা শিরক হবে ?

  2. আমার অনেক সময় বলি যে “সময় বলে দিবে  যে পরবর্তীতে কি করতে হবে”  এধরনের কথা বলা কি উচিত হবে ?

  3. আল্লাহ তাঁর সৃষ্টির মধ্যে পরিবর্তন আনা কে হারাম করেছেন এটা আসলে কোরআনের কোথায় কিভাবে বলা আছে এবং এটা কোন ধরণের পরিবর্তন কে বুঝায় সে ক্ষেত্রে  ভ্রু তোলা অথবা প্লাস্টিক সার্জারি করাওকে অন্তর্ভুক্ত ?

  4. দিওয়ালি অথবা বিধর্মীদের অন্য কোনো অনুষ্ঠান এর খাবার খাওয়া যাবে কি ?  সেটা যদি তারা বাসায় দিয়ে যায় ?  এবং তাদের অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকা আমাদের জন্য হারাম হবে সে ক্ষেত্রে উপস্থিত থাকলে সে  কি কাফের হয়ে যাবে ?

1 Answer

0 votes
by (597,330 points)

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
(১)
মুয়াজ যখন নবীজির স:   সেজদা করলে তখন নবীজি বললেন  আল্লাহ ছাড়া অন্য কাউকে সেজদা করা যাবে না যদি আমি আল্লাহ ছাড়া অন্য কাউকে সিজদা করতে আদেশ করতাম তাহলে একজন স্ত্রী যেন তার স্বামী কে সেজদা করে( ইবনে মাজাহ 1853) 

উক্ত হাদীসে রাসূলুল্লাহ সাঃ মানুষে মানুষকে সেজদা করা যে অসম্ভব,সেটা বুঝানোর জন্য বলছেন, একজন পুরুষের তার স্ত্রীর উপর এত অধিকার রয়েছে যে, স্বামী সেজদার উপযুক্ত।কিন্তু শরীয়ত যখন স্ত্রীকে স্বামীর সামনে সেজদা করার অনুমোদন দেয়নি,তাই বুঝা গেল কোনো মানুষ অন্য কোনো মানুষকে কখনো সেজদা করতে পারবে না।

(২)
 “সময় বলে দিবে  যে পরবর্তীতে কি করতে হবে”
এরকম কথা বলাতে কোনো অসুবিধে নেই। কেননা পরিবেশ পরিস্থিতি মানুষকে পদক্ষেপ গ্রহণ করতে সাহায্য করে।

(৩)
তাগাইয়ুরে খালকিল্লাহ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন-https://www.ifatwa.info/466

ভ্রু তোলা এবং সুন্দর্য্য গ্রহণের নিমিত্তে প্লাস্টিক সার্জারি করা আল্লাহর সৃষ্টিতে পরিবর্তন নিয়ে আসার শামিল।

(৪)
বিধর্মীদের অনুষ্টানে উপস্থিত হওয়া যাবে না।তবে তাদের পশু জবাই ব্যতীত বাদবাকী সমস্ত খাবার খাওয়া জায়েয রয়েছে।
কাফিরদের কাছ থেকে তাদের উৎসব উপলক্ষ্যে হাদিয়া গ্রহণ সম্পর্কে আমরা ইতিপূর্বে হযরত আলি রাযি.এর হাদিস বর্ণনা করেছি যে, উনার কাছে নাইরুয দিনে হাদিয়া আসলে তিনি তা কবুল করে নেন।
এবং হযরত আয়েশা রাযি থেকেও বর্ণিত রয়েছে,
তিনি বলেনঃ
যে জন্তু সেই উৎসবের নামে যবেহ করা হয়েছে তা তোমরা খেয়ো না।তবে তাদের ফলমূলাদি খেতে পারো।
হযরত আবু বারযাহ রাযি. থেকে বর্ণিত রয়েছে যে,নাইরুয দিনে কোনো এক অগ্নিপূজক তাকে কিছু হাদিয়া দিয়েছিলো, তখন তিনি তার পরিবারবর্গকে বলেছিলেন,হাদিয়া যদি ফলমূলাদি থেকে হয় তাহলে তোমরা খেতে পারো।আর যদি তা অন্যকিছু হয় তাহলে তা তোমরা ফিরিয়ে দাও।
এ সমস্ত রেওয়াত প্রমাণ করে যে,কাফিরদের কাছ থেকে হাদিয়া গ্রহণ তাদের উৎসব সমূহ বাধা প্রদাণ করবে না।বরং যেকোনো সময় তাদের কাছ থেকে হাদিয়া গ্রহণ করা যাবে।
কেননা তখন তা কাফিরদের ধর্মীয় কোনো বিষয়ে সাহায্য করা হচ্ছে না।
(আল-মানহাজুল কাওয়ীম ফি ইখতেছারে ইক্বতেযায়িস সিরাতিল মুস্তাক্বিম-১/১২৮)

বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন-https://www.ifatwa.info/1382


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...