আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

+1 vote
568 views
in সাওম (Fasting) by (10 points)
edited by

بِسْمِ الّٰلهِ الرَّحْمٰنِ الرَحِيْمِ

মুহতারাম আসসালামু'আলাইকুম,

রমাদান মাস চলছে... এই বিষয় কিছু প্রশ্ন পেশ করতে চাই। সেগুলো হলঃ 

১. একজন রোজাদার কি সিয়ামরত অবস্থায় আঁতর মাখতে পারবেন? 

২. শাহরির সঠিক শেষ সময় কোনটি? অর্থাৎ, ফযরের আযানের কত আগ পর্যন্ত শাহরি করা যাবে বা উচিৎ? 

৩. একজন রোজাদার কি দিনে ঘুমালে তার সিয়ামের কোন ক্ষতি হবে? অথবা কতটুকু ঘুমালে সমস্যা হবেনা?

৪. ম্যাসওয়াক করার পর যদি কিছু ম্যাসওয়াকের আঁশ পেটে চলে যায় এতে কি সিয়াম ভঙ্গ হবে? অনুরুপ, ওযু করার সময় যদি নাকে বা মুখে পানি চলে যায় এতে কি রোজা ভঙ্গ হবে? যদি মুখে থুথু আসে সেটা কি গিলে ফেলা যাবে? 

৫. তারাবির সালাত সুন্নত নাকি ওয়াজিব?  তারাবীর সালাত ২০ রাকাত পড়া কি বাধ্যতামুলক? ২০ রাকাতের কম পড়া যায়েজ হবে কিনা? কেও যদি তারাবীর সালাত না পড়েন অসুস্থতার কারণে বা ইচ্ছাকৃতভাবে ত্যাগ করেন সে কি গুনাগার হবেন? কেও যদি তারাবীর সালাত আদায় না করেন বা পরিত্যাগ করেন, এতে কি তার রোজা কবুল করবেন আল্লাহ? 

৬. ইফতারির সময় হলে যখন আযান হয়, অর্থাৎ, আমার নিকটস্থ মসজিদের আযান শুনে ইফতার শুরু করবো নাকি দুরে কোথাও আযান যদি আমার কানে আসে (সর্বপ্রথম) তখন ইফতার শুরু করবো?

৭. রমাদান মাসে কি বিয়ে করা যায়?  

৮. একজন বলেছেন, রমাদান মাসের রাতের সকল নামাজ ই তাহাজ্জুত নামাজ। কথাটা কতটুকু যুক্তিযুক্ত?

৯. বেনামাজির রোজা কি আল্লাহর কাছে কি কবুল হবে? অর্থাৎ যে কিনা রোজা রেখেছে কিন্তু নামাজ পরেনা। 

" ওস্তাদ, প্রশ্ন বিশদ আকারে হওয়ার জন্য দুঃখিত। বিস্তারিতভাবে উত্তর দিলে উপকৃত হবো। "

1 Answer

0 votes
by (709,920 points)
বিসমিহি তা'আলা

জবাবঃ-

(১)

আতর ইত্যাদির সুঘ্রাণ বা কোনো কিছুর দুর্গন্ধ নাকে পৌছালে রোযা ভঙ্গ হবে না।তবে ইচ্ছাকৃত ভাবে কোনো কিছু জ্বালিয়ে তার ধোয়া-কে নাকে নিলে রোযা ভেঙ্গে যাবে।

ফাতাওয়ায়ে মাহমুদিয়্যাহ-১০/১৫৩

(২)

সাধারণত সুবহে সাদিক উদয়ের পূর্ব পর্যন্তই সেহরীর সময়।এবং সুবহে সাদিক উদয় হওয়ার পর ফজর শুরু হয়ে যায়।আর তাহাজ্জুদের নামাযও সুবহে সাদিক উদয় হওয়ার পূর্ব পর্যন্ত পড়া যায়, এরপর আর পড়া যায় না।কেননা তখন ফজর শুরু হয়ে যায়।

কিন্তু ক্যালেন্ডারে সেহরীর শেষ সময় এবং ফজরের শুরুর সময়ের মধ্যে সতর্কতামূলক ৫ মিনিটের ব্যবধান রাখা হয়েছে।অর্থাৎ সেহরী শেষ হওয়ার পাঁচ মিনিট পূর্বে সেহরীর শেষ সময়কে দেখানো হয়েছে।

যেহেতু সতর্কতার স্বার্থে ৫ মিনিট পূর্বে সেহরীর সময়কে শেষ সময় হিসেবে দেখানো হয়েছে,তাই এই সতর্কতাকে যত্নসহকারে মানা ও পালন একান্ত দায়িত্ব ও কর্তব্য।

(৩)রোযা ফাসেদ হবে না।তবে প্রয়োজনের চেয়ে বেশী ঘুমানো মাকরুহে তানযিহি হবে।

(৪)

জ্বী, রোযা ভঙ্গ হয়ে যাবে।তবে এক্ষেত্রে কাফফারা আসবে না।শুধুমাত্র কা'যা করে নিলেই চলবে।

মূখে থুথু আসলে সেটাকে গিলে ফেলা যাবে।কেননা রোযা ভঙ্গ হয়,বাহির থেকে কিছু ভিতরে পৌছালে।  কিন্তু থুথু তো ভিতরেরই জিনিষ।

(৫)

তারাবিহর সালাত ২০ রা'কাত সুন্নাতে মু'আক্কাদা।মসজিদে জামাতের সাথে পড়া সুন্নাতে মু'আক্কাদা আলাল কেফায়া।বিশেষ প্রয়োজনে তরক করা যাবে, গোনাহ হবে না।

(৬)নিকটস্থ মহল্লার মসজিদের আজান শুনেই ইফতার, নামায আদায় করবেন।

(৭)রমজানে বিয়ে করা যায়।নাজায়ের কোনো কারণ নেই।

(৮)

 মাহে রমজানের সকল নামাযকে কিয়ামুল লাইল বলা যেতে পারে।তবে সকল নামাযকে যে তাহাজ্জুদ বলা হবে,কথাটা সঠিক না।

(৯)

নামায একটি ফরয বিধান,রোযা পৃথক আরেকটি ফরয বিধান। একটা না করলে অন্যটা যে আদায় হবে না।বিষয়টি এমন নয়।

আল্লাহ-ই ভালো জানেন।

উত্তর লিখনে

মুফতী ইমদাদুল হক

ইফতা বিভাগ, Iom.


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by
আসসালামু আলাইকুম সম্মানিত শাইখ
ওযু করার সময় যদি নাকে বা মুখে পানি চলে যায় আর সেটা অনিচ্ছাকৃত হয় আর ব্যক্তির খেয়াল ছিলো না সে সিয়াম  রেখেছে যার ফলে এক্সট্রা সাবধানতা ও অবলম্বন করা হয়ে উঠে নি...সেক্ষেত্রে কি সিয়াম এর কোনো ক্ষতি হবে?

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 500 views
0 votes
1 answer 145 views
...