আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
26 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (1 point)
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহ,,

আমার শ্বশুর শ্বাশুড়ি সেপারেট,যার কারনে আমার মাহরাম এবং তার ভাই নানাবাড়িতে বড় হয়।
দুজনের আলাদা সংসার,কিন্তু আমার শ্বশুরের আগে থেকেই খেলার নেশা ছিলো,ধীরে ধীরে উনি মদ বা গাঞ্জা পান এসবের জড়িত হোন। ফলে উনার ২য় স্ত্রীর সাথেও ডিভোর্স হয়। এখন তিনি বাড়িতে আমার শ্বশুরের বড় ভাইয়ের পরিবারের সাথে থাকেন,সেখানে আমরা কিছু খরচ দেই। উনি এখনো অস্বাভাবিক, সেই গ্রামে অনেক পুরুষ লোক আছেন নেশা করেন,সারাদিন আড্ডা,তাশ এসবের সাথে জড়িত,এই লোকদের সাথেই আমার শ্বশুর ঘোরাফেরা করেন।
আমরা বাইরে থাকি,এলাকায় মাঝে মাঝে যাওয়া হয়।

এখন উনি কয়েকদিন পর পরই আমাদের ফোন করে টাকা চান,আমরা মাঝে মাঝে দেই আবার দেইনা।কারন উনি টাকা হাতে পেলেই হয় তাশ খেলবে নয়তো নেশা করবে।(হয়ত সবসময় না)।

ওনাকে একবার ব্যবসার জন্য টাকা দেওয়া হয়েছিলো বেশ মোটা অংকের,কিন্তু টাকাগুলো সব নষ্ট করেছিলেন।
যখন টাকা দেই না তখন উনি মেসেজ করে, অভিসাপ দেন,অনেক রকম কথা বলেন।
যতই হোক বাবা তো!মায়া লাগে। মাঝে মাঝে উনার জন্য খারাপ লাগে,কিন্তু ভালো হওয়ার লক্ষনও দেখি না।

আমাদের মনে হয় আমরা ওনাকে কষ্ট দিচ্ছি না তো! হক নষ্ট করছি নাতো!

আমাদের এখন কি করা উচিত?

1 Answer

0 votes
by (705,360 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
ﺟﺎﺀ ﻓﻲ ﺍﻟﻜﻮﻳﺘﻴﺔ :
ﻣَﻦْ ﺗَﺠِﺐُ ﻋَﻠَﻴْﻪِ ﻧَﻔَﻘَﺔُ ﺍﻷُْﺻُﻮﻝ :
- 53 ﺗَﺠِﺐُ ﻧَﻔَﻘَﺔُ ﺍﻷُْﺻُﻮﻝ ﻋَﻠَﻰ ﺍﻟْﻮَﻟَﺪِ، ﻷَِﻥَّ ﻟِﻸَْﺑَﻮَﻳْﻦِ ﺗَﺄْﻭِﻳﻼً ﻓِﻲ ﻣَﺎﻝ ﺍﻟْﻮَﻟَﺪِ ﺑِﺎﻟﻨَّﺺِّ، ﻭَﻷَِﻧَّﻪُ ﺃَﻗْﺮَﺏُ ﺍﻟﻨَّﺎﺱِ ﺇِﻟَﻴْﻬِﻤَﺎ، ﻓَﻜَﺎﻥَ ﺃَﻭْﻟَﻰ ﺑِﺎﺳْﺘِﺤْﻘَﺎﻕِ ﻧَﻔَﻘَﺘِﻬِﻤَﺎ ﻋَﻠَﻴْﻪِ  ﻭَﻫِﻲَ ﻋِﻨْﺪُ ﺍﻟْﺤَﻨَﻔِﻴَّﺔِ ﻋَﻠَﻰ ﺍﻟﺬُّﻛُﻮﺭِ ﻭَﺍﻹِْﻧَﺎﺙِ ﺑِﺎﻟﺴَّﻮِﻳَّﺔِ ﻓِﻲ ﻇَﺎﻫِﺮِ ﺍﻟﺮِّﻭَﺍﻳَﺔِ، ﻷَِﻥَّ ﺍﻟْﻤَﻌْﻨَﻰ ﻳَﺸْﻤَﻠُﻬُﻤَﺎ ( 2 ) .
( 2 ) ﻓﺘﺢ ﺍﻟﻘﺪﻳﺮ 4 / 417 ﻁ ﺩﺍﺭ ﺍﻟﻔﻜﺮ
পিতা-মাতার নাফক্বাহ কার উপর ওয়াজিব হবে।
পিতা-মাতার নাফক্বাহ সন্তানের উপর ওয়াজিব হবে।কেননা হাদীস দ্বারা প্রমাণিত আছে যে,সন্তানের মালের উপর পিতা-মাতা অধিকার রয়েছে।এবং পিতা-মাতা তাদের সব চেয়ে বেশী ঘনিষ্ঠজন। তাই এজন্য তারা সন্তানের কাছ থেকে খোরপোষের সবচেয়ে বেশী হক্বদার।
জাহির রেওয়ায়াত অনুযায়ী 
হানাফি মাযহাবের মূলনীতির আলোকে পিতা-মাতার খোরপোষের দায়িত্ব ছেলে-মেয়ে উভয়ের। এক্ষেত্রে উভয়ই সমান অর্থ্যাৎ সবার উপর ওয়াজিব।(আল-মাওসু'আতুল ফেক্বহিয়্যায়-৪১/৭৬)(ফাতহুল ক্বাদির, ৪/৪১৭)এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/3712

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
আপনার শশুড়ের সন্তানদের উপর শশুড়ের খোরপোষ দেওয়া ওয়াজিব। তাই আপনার স্বামী এবং তার ভাই বোন সবাই মিলে তারা তাদের বাবা মায়ের খোরপোষের দায়িত্ব গ্রহণ করবে। টাকা দিলে যেহেতু তিনি অযথা নষ্ট করে ফেলবেন, তাই তাকে খাবার কিনে দিয়ে নিজেদের দায়িত্ব আদায় করে নেয়াই উচিত হবে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...