ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
কুরআন এবং হাদীস যে ভাষায় ই লিখা হোক না কেন, সেই লিখিত কুরআন এবং হাদীসকে অসম্মাণজনক কোনো স্থানে নিক্ষেপ করা যাবে না। অর্থাৎ আরবী কুরআন এবং কুরআন তরজমা অসম্মাণজনক কোনো স্থানে রাখা যাবে না। যদি আরবী ভাষায় কুরআন হাদীসের ইবারত ব্যতীত অন্য কোনো জিনিষ লিখা থাকে, তাহলে এর বিধান সাধারণ ভাষার মত। অর্থাৎ আরবীতে কুরআন-হাদীস লিখা না থাকলে, বরং আরবী ভাষায় ভিন্ন কোনো জিনিষ লিখা থাকলে, তখন সেই আরবী বাংলা ইংরেজী ইত্যাদি ভাষার মতই।
هُ أَنْ يَجْعَلَ شَيْئًا فِي كَاغِدَةٍ فِيهَا اسْمُ اللَّهِ تَعَالَى كَانَتْ الْكِتَابَةُ عَلَى ظَاهِرِهَا أَوْ بَاطِنِهَا، (الفتاوى الهندية، كتاب الكراهية، الباب الخمس-5/322)
يكره كتابة قرآن أو إسم الله تعالى على ما يفرش لما فيه من ترك التعظيم وكذا على درهم ومحراب وجدار لما يخاف من سقوط الكتابة (طحطاوى على مراقى الفلاح، باب الحيض، مصرى-118)
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
আপনি যথার্থই বলেছেন যে, আমাদের বাংলা ভাষার মত আরবীও একটি ভাষা। যেভাবে আমরা বাংলা ভাষায় প্রকাশিত সাধারণ সংবাদপত্রকে অবহেলায় ফেলে রাখে, ঠিক সেভাবে আরবী ভাষায় লিখিত সাধারণ সংবাদপত্রকে আরবীরা অবহেলায় ফেলে রাখবে। তাদের দ্রব্যের প্যাকেট এর গায়ে আরবি লিখা থাকবে, এবং তারা এ প্যাকেটকে ডাস্টবিনে ছুড়ে ফেলবে।