আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
135 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (11 points)
১। নিজের সাথে কথা বলা ( self talking ) কি জায়েজ নাকি নাজায়েজ ? যেমন আমি নিজেই নিজের সাথে বিভিন্ন বিষয়ে কথা বলি এটা কি করা যাবে নাকি এগুলার দ্বারা গুনাহ বা কুফর বা শিরক হয় ?

২। বৃষ্টির পানি গায়ে পড়লে অজু বা গোসল কি পুনরায় করতে হয় নাকি ওযু বা গোসল ফরজ হয় না ?

৩। হারাম খেলে আর হারাম উপার্জন করলে সেই বেক্তি কি ঈমান থাকে নাকি থাকে না ?
by (39 points)
এ কেমন ওয়াসওয়াসা ভাই?

1 Answer

0 votes
by (63,200 points)
edited by

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।

জবাবঃ

সাধারণ পানি (পবিত্র পানি) যা তার সৃষ্টিগত মৌলিকতার উপর বজায় থাকে এবং তা না-পাক বস্তু থেকে মুক্ত। এটা ঐ সমস্ত পানি যা আকাশ থেকে বর্ষিত হয়। যেমন, বৃষ্টি কিংবা বরফ বা শিলা। অথবা ভূমি থেকে উদ্ভূত হয় যেমন সাগরের পানি, নদীর পানি, বৃষ্টির পানি, কূপের পানি।

 

আবু সাঈদ খুদরী রাদয়িাল্লাহু আনহু থেকে র্বণতি, তিনি বলনে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে জিজ্ঞাসা করা হলো যে, আমরা বুযা‘আ কূপরে পানি দ্বারা অযু করতে পারবো কি? তা এমন কূপ যাতে অপবত্রি বস্তু নিক্ষেপ করা হয়। তখন তিনি বললেন:

الْـمَاءُ طَهُوْرٌ لاَ يُنَجِّسُهُ شَيْءٌ

পানি বলতেই তা পবত্রি ও এবং অন্যকে পবিত্রতাকারী। কোনো বস্তু একে অপবত্রি করতে পারে না” আবু দাউদ, হাদীস নং ৬৬

 

সমুদ্ররে পানি সর্ম্পকে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন,

هُوَ الطَّهُوْرُمَاؤُهُ، الْحِلُّ مَيْتَتُهُ

সমূদ্রের পানি পবিত্র ও অন্যকে পবিত্রতাকারী এবং উহার মৃত হালাল” আবু দাউদ, হাদীস নং ৮৩

 

তবে কোনো নাপাক বস্তু র্কতৃক পানির রং, ঘ্রাণ ও স্বাদের কোনো একটির পরর্বিতন ঘটলে তা নাপাক বলে পরিগণিত হবে। এ ব্যাপারে আলেমদের কোনো দ্বিমত নেই।

হাদীসের আলোকে সাধারণ পানি বলতে এমন পানি বুঝায় যার গন্ধ, স্বাদ এবং রং স্বাভাবিক। ইবনে মাজা, হাদীস নং-৫২১

হুকুম- নিজে পবিত্র এবং অন্যকে পবিত্রতাকারী; এর দ্বারা নাজাসাত ও হাদাস উভয়েই দূর হবে।

 

রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন:

وَعَنْ جَابِرٍ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «لَا يَدْخُلُ الْجَنَّةَ لَحْمٌ نبَتَ منَ السُّحْتِ وكلُّ لحمٍ نبَتَ منَ السُّحْتِ كَانَتِ النَّارُ أَوْلَى بِهِ»

যে দেহের গোশত/গোশত হারাম উপার্জনে গঠিততা জান্নাতে প্রবেশ করতে পারবে না। হারাম ধন-সম্পদে গঠিত ও লালিত পালিত দেহের জন্য জাহান্নামই উপযোগী। (মুসনাদে আহমাদ ১৪৪১শু‘আবুল ঈমান ৮৯৭২দারিমী ২৭৭৯)

 

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!

 

১. না, নিজের সাথে নিজে কথা বলা শিরক, কুফরী নয়। বরং বৈধ কথা বললে এতে কোনো গোনাহ হবে না ইনশাআল্লাহ।

২. বৃষ্টির পানি পাক। তাই বৃষ্টির পানি গায়ে পড়লে অজু বা গোসল করা লাগবে না এবং ওজু করা থাকলে ওজু ভাঙ্গবেও না।

৩. হারাম খাওয়ার কারণে তার অনেক বড় গোনাহ হবে। তবে হারাম খাওয়ার কারণে তার ঈমান চলে যাবে না। তবে জেনে বুঝে ঐ হারামকে হালাল মনে করে খেলে তখন তার ঈমান চলে যাবে। কারণ, হারামকে জেনে বুঝে হালাল মনে করে খেলে তার ঈমান চলে যায়। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী আব্দুল ওয়াহিদ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...