আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
64 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (30 points)
আসসালামু আলাইকুম উস্তাদ।
১) অনেক সময়ে আমরা দেখি আপন বোনেরা একে অন্যকে জড়িয়ে ধরে ঘুমায়, মা-মেয়ে, দাদী-নাতনী একে অন্যকে জড়িয়ে ধরে ঘুমায়। এটা তো স্বাভাবিক স্নেহের একটা বিষয়।  এটা কি নাজায়েজ কিছু?
২) আমি একজন মেয়ে, বয়স ২৫। অবিবাহিত।  আমার খুব কাছের একজন বোন আছে, যার বয়স ২২।  সেও অবিবাহিত। কিছুদিনের মধ্যে তার বিয়ে হবে ইন শা আল্লাহ। সে বিয়ে নিয়ে স্বাভাবিকভাবেই উৎসুক,আল্লহুম্মা বারিক লাহা। যাই হোক, তার কোনো বোন নেই। সে আমাকে তার বড়বোনের মতোই মান্য করে, আমিও তাকে ছোটোবোনের মতোই স্নেহ করি। তার আচরণ কিছুটা বাচ্চাসুলভ। দেখা হলে সে আমার হাতে খেতে চায়, তার চুল আঁচড়ে দিতে বলে, আমাকে ছাড়তে চায় না। ঘুমের সময় হলে দেখা যায়, সে আমার হাতের উপরে এসে ঘুমাতে চায়, তার মাথায় হাত বুলিয়ে দিতে বলে। যেভাবে একজন বাচ্চা তার মা এর হাতের উপরে শোয়। আমরা দুজনেই দ্বীন মেনে চলার চেষ্টা করি। যেকোনো বিষয়ে কেউ ভুল করতে গেলে একে অন্যকে রিমাইন্ডার দেই।  এবং স্নেহ, বোন সুলভ স্বাভাবিক ভালোবাসা ব্যতীত অন্যকিছু এখানে নেই ইন শা আল্লাহ। আমি আমার ছোট্ট ২ বছরের ভাগ্নীকে ঘুম পাড়ানোর সময়ে যেমন স্নেহ অনুভব করি, এই বোন যখন বাচ্চাসুলভ কাজ করে, তার প্রতিও অনেকটাই এরকম অনুভব করি।
যত্ন, স্নেহ- ভালোবাসা এগুলোতো নারীদের স্বাভাবিক ফিতরাতই, তাই না উস্তাদ?
এই বিষয়টায় কি শরীয়তের দৃষ্টিতে কোনো নেগেটিভ কিছু আছে?  দয়া করে বিষয়টা একটু চিন্তা করে উত্তর দিবেন উস্তাদ ইন শা আল্লাহ

1 Answer

+1 vote
by (705,600 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
সমাধানঃ-
হযরত সামুরাহ ইবনে মা'বাদ রাযি থেকে বর্ণিত,
ﻋﻦ ﺳﺒﺮﺓ ﺑﻦ ﻣﻌﺒﺪ ﺃﻥ ﺍﻟﻨﺒﻲ ﺻﻠﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭﺳﻠﻢ ﻗﺎﻝ : ( ﺇﺫﺍ ﺑﻠﻎ ﺃﻭﻻﺩﻛﻢ ﺳﺒﻊ ﺳﻨﻴﻦ ﻓﻔﺮﻗﻮﺍ ﺑﻴﻦ ﻓﺮﺷﻬﻢ ﻭ ﺇﺫﺍ ﺑﻠﻐﻮﺍ ﻋﺸﺮ ﺳﻨﻴﻦ ﻓﺎﺿﺮﺑﻮﻫﻢ ﻋﻠﻰ ﺍﻟﺼﻼﺓ )
রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেন,যখন তোমাদের সন্তানাদি সপ্তম বৎসরে উপনীত হবে তখন তোমরা তাদের বিছানাকে পৃথক করে দাও।এবং যখন তারা দশম বৎসরে উপনীত হবে তখন নামাযের জন্য তোমরা তাদেরকে প্রহার করো।(সহীহ জামে-৪১৮)
 এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-https://www.ifatwa.info/757

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
(১) একই তোষকের নিচে সমলিঙ্গের একাধিক জন শয়ন করা নিষিদ্ধের আওতাধীন। 

আপন বোনেরা একে অন্যকে জড়িয়ে ধরে ঘুমানো জায়েয হবে না। মা ও সাবালক মেয়ে এবং দাদী ও সাবালক নাতনী একে অন্যকে জড়িয়ে ধরে ঘুমানো জায়েয হবে না। যদিও এখানে স্বাভাবিক স্নেহের একটা বিষয় রয়েছে, তবে শয়তানও বসে নেই, সেও তার কাজ করতে বদ্ধপরিকর বলে আল্লাহকে বলে এসেছে। সুতরাং সতর্কতামূলক পদক্ষেপ গ্রহণ একজন মু'মিনের দায়িত্ব ও কর্তব্য। 

(২) আপনান ঐ কাছের বোনের সাথে এভাবে শয়ন করা মাকরুহে তাহরিমী হবে। কাছের বোন হিসেবে তাকে মহব্বত করবেন, তার প্রকল প্রয়োজনকে পূর্ণ করবেন, তার সাথে গল্পগুজব করবেন, তবে শুয়নকালে নিরাপদ দূরত্বে থাকবেন।জাযাকুমুল্লাহ। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...