আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
32 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (25 points)
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লহ্
উস্তায, আমি ভার্সিটির হলে থাকি। আমি প্রচন্ডভাবে আমার রুমমেটের নজরে পরেছি। চোঁখ লাগা যেটাকে বলে। আমার ভাষ্যমতে সে আমার চেয়েও অধিক পরিমানে সুন্দরী এবং ভাগ্যবতী মাশাআল্লহ্। তবুও তার নজর সবসময় আমার দিকে থাকে। তার যেকোন কথা আমার উপর ২৪ ঘন্টার মধ্যে আছর করে ফেলে। কখনো মাশাআল্লহ্ বলেনা। তার তাকানো, নজরদারি, আমার ব্যাপারে অতিরিক্ত ইনভেস্টিগেশন আমাকে শারীরিক অসুস্থতার পাশাপাশি মানসিকভাবে অসুস্থ করে দিচ্ছে। তার সাথে আমাকে টেবিল, বেড সবকিছু শেয়ার করে থাকতে হয়। একসাথে ঘুমাতে হয়। সুতরাং আমার কাছে তাকে ইগনোর করার কোন উপায় নেই উস্তায।

সে সাধারণত এভাবে বলে-
১. ভার্সিটিতে নতুন যখন তখন বলতো তোমার চুল অনেক সুন্দর। আর মাশাআল্লহ্! সেদিন সে নিজেই বলতেছিলো ২ বছর আগে তোমার যা চুল ছিলো ৩ ভাগের একভাগও নাই। বুঝতেই পারছেন উস্তায আমার চুলের কি হালত!

২. সে আন্ডারওয়েট। তাই একটু মোটা কাউকে দেখলেই খুব বাজেভাবে আফসোস করতে থাকে। আমার শারীরিক অবস্থা বিবেচনা করে আরেকটু ওয়েট গেইন করতে চেয়েছিলাম। হয়েছিলোও আলহামদুলিল্লাহ্। তার কথায় উস্তায আমার শরীরের হালত এখন দেখার মতো নাই। এটা ২/১ বার হয়নি! আল্লাহর রহমতে ৩/৪ বার আমি ওয়েট গেইন করেছিলাম। প্রত্যেকবার " আরেহ! তুমি তো মোটা হইতেছো। গালটা ফুলা ফুলা লাগতেছে" এভাবে কমেন্ট করে। হাস্যকর হলেও স্রেফ উস্তায এভাবেই বলে।
৩. সে বিয়ে করেছে ১ বছর হলো। আমার বিয়ের প্রস্তাবের কথা খোলামনেই রুমের সবাইকে বলেছিলাম। সেখানেও আমার ব্যপারে তার কমেন্ট করতে হয়। এখন যেখানে বাড়ির লোকজন বিয়েতে রাজি হয়েছে, ছেলে দেখেছে। সেই বাড়ির লোকজন বিয়ের কথা শুনতেই পারেনা। আরও ৩/৪ বছর পরে তারা চিন্তা-ভাবনা করবে। শারীরিক চাহিদা না থাকলেও মানসিকভাবে আমি একাকীত্ব অনুভব করি। আর মানসিকভাবে লোনলি ফিল করা তো শারীরিক চাহিদার চেয়েও ভয়ংকর! বাসায় লজ্জায় বলতেও পারছিনা।
এরকম আরও উদাহরণ চাইলে দেয়া যাবে উস্তায। আমি ৫ ওয়াক্ত স্বলাতে রেগুলার। সকাল-সন্ধ্যার মাসনুন আমল আহমাদুল্লাহ হাফিজাহুল্লাহ'র বই থেকে করি। ঘুমানোর আগে দু'আগুলো কমপ্লিট করি। তবে হায়েজের সময় গাফেল হয়ে যাই উস্তায। আল্লাহ মাফ করুন। হতে পারে সেসময় ক্ষতিকর বিষয়গুলো আমাকে কাবু করার সুযোগ পায়। আমার প্রচন্ড খারাপ লাগছে। তার মুখের ক্ষতি থেকে আমি বাঁচতে চাই।  আমার কষ্ট এখানে যে, কই আমি তো উস্তায তার বিয়ে, শারীরিক সৌন্দর্য নিয়ে কখনোই হিংসাত্মক মনোভাব রাখিনা। সে কেন এমনটা করবে?

প্রশ্ন-
১. নজর থেকে বাঁচতে আমি কি রুকইয়াহ করতে পারি?

২. তার নজরে আমার দিনের পর দিন ক্ষতি হচ্ছে, সে কি কোন শাস্তি পাবে? তার কি গুনাহ হবে? সরাসরি তো বলা যায়না, তাকে কিভাবে বুঝাতে পারি তোমার জন্য আরেকজনের ক্ষতি হয়ে যাচ্ছে। নিজের আত্মাকে বেহুদা আফসোস থেকে সামলাও।

1 Answer

+1 vote
by (697,380 points)

ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
বদ নজর থেকে হেফাজতের জন্য আপনি আপনাকে ঘরোয়া ভাবে কিছু রুকইয়ার পরমার্শ দিচ্ছি,
(১)সকল প্রকার ফরয ওয়াজিব ইবাদত যত্নসহকারে পালন করা।এবং সকল প্রকার হারাম ও নাজায়ে কাজ হতে বেঁচে থাকে।
(২) অধিক পরিমাণ কুরআন তেলাওয়াত করা।
(৩)দু'আ, জায়েয তাবীয ও যিকিরের মাধ্যমে নিজেকে হেফাজতের চেষ্টা করা।

নিম্নোক্ত দু'আকে সকাল সন্ধ্যা তিনবার করে পড়া।
بِسْمِ اللَّهِ الَّذِي لَا يَضُرُّ مَعَ اسْمِهِ شَيْءٌ، فِي الْأَرْضِ، وَلَا فِي السَّمَاءِ، وَهُوَ السَّمِيعُ الْعَلِيمُ، 
এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/1093

প্রত্যক নামাযের পর ঘুমাইবার সময় এবং সকাল সন্ধ্যা আয়াতুল কুরসী পড়া।এবং ঘুমাইবার সময় ও সকাল সন্ধ্যা তিনবার করে সূরা নাস,সূরা ফালাক্ব ও সূরা ইখলাস তিনবার করে পড়া।এবং প্রতিদিন নিম্নোক্ত দু'আটি একশতবার করে পড়া।
لا اله الا الله وحده لا شريك له له الملك وله الحمد وهو على كل شيئ قدير،

প্রতিদিন সকাল সাতটা করে খেজুর খাওয়া।মদিনার খেজুর হলে ভালো।(এলাজে কুরআনী-০৩) এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/1816

(২) তাকে নরমভাবে হেকমতের সাথে বুঝাবেন।যদি দেখেন হিতে বিপরীত হয়ে যাবে, তাহলে তাকে আর কিছু বলবেন না।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (25 points)
উস্তায, কে বদনজর দিচ্ছে এটা ধারনা করতে পারলে তার ওজুর পানি দিয়ে গোসল কিংবা ঐ ব্যক্তির এঁটো প্লেটের খাবার থেকে কিছু খেয়ে নিলে নজর কেঁটে যায় শুনেছিলাম।
Question: সে যদি আমাকে তার নিজ হাতে খাইয়ে দেয় তাহলে কি আমার উপর থেকে নজর কেটে যাওয়ার পসিবিলিটি আছে?? 
by (697,380 points)
যার বদনজর লেগেছে, আপনি যদি তার নাম জানতে পারেন, এবং তাকে বললে সে মাইন্ড করবে না বলে আপনি নিশ্চিত থাকেন, তাহলে আপনি তাকে বলে তার অজুর পানি দ্বারা যদি গোসল করতে পারেন, তাহলে বদনজর কেটে যাবে। 

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...