আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
142 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (20 points)

আমার ভাবির খালাতো বোনের বিয়ে । উনার খালাতো ভাইয়ের সাথে আমার ভালো সম্পর্ক থাকার কারনে আমার ভাবি এবং ভাইয়ের সাথে আমাকেও বিয়ের আগেরদিন যেতে বলা হয়েছে। অন্যান্য খালোতো ভাইয়েরাও আসবে । কিন্তু সমস্যা হলো সেখানে কেউই পর্দা করে না এমনকি আমার ভাবিও । কিন্তু আলহামদুলিল্লাহ্‌ আমি ছেলে হলেও যেহেতু আমার উপর পর্দা করা ফরজ এবং মাহরাম-গায়রে মাহরাম মেনে চলতে হয় এবং যথাসাধ্য মেনে চলি। 

এখন আমার প্রশ্ন হলো যেহেতু তারা কেউ পর্দা করে না এবং আমি সেখানে গেলে তাদেরকে ভালোমন্দ জিজ্ঞাস করতে হবে এবং একসাথে খেতে হবে সুতরাং আমার কি সেখানে যাওয়া উচিৎ হবে? 

না গেলে সবাই রাগ করবে এবং আব্বা-আম্মাও রাগ করবে এখন এমতাবস্থায় আমার করনীয় কি? 

 

বিঃদ্রঃ আমি জেনারেল এর স্টুডেন্ট এবং প্রায় 6/7 মাস পূর্বেও ইসলাম ততোটা মেনে চলতাম না তাই সকলের সাথে তখন দেখা সাক্ষাত হতো। কিন্তু আলহামদুলিল্লাহ্‌ এখন পরিপূর্ন ভাবে ইসলাম মেনে চলার চেষ্টা করি ।

 

উত্তর: 

 

রাসূল সাঃ ইরশাদ করেন, চোখের জিনা হল [হারাম] দৃষ্টিপাত। কর্ণদ্বয়ের জিনা হল, [গায়রে মাহরামের যৌন উদ্দীপক] কথাবার্তা মনযোগ দিয়ে শোনা। জিহবার জিনা হল, [গায়রে মাহরামের সাথে সুড়সুড়িমূলক] কথোপকথন। হাতের জিনা হল, [গায়রে মাহরামকে] ধরা বা স্পর্শকরণ। পায়ের জিনা হল, [খারাপ উদ্দেশ্যে] চলা। অন্তর চায় এবং কামনা করে আর লজ্জাস্থান তাকে বাস্তবে রূপ দেয় [যদি জিনা করে] এবং মিথ্যা পরিণত করে [যদি অন্তরের চাওয়া অনুপাতে জিনা না করে]। {সহীহ মুসলিম, হাদীস নং-২৬৫৭, মুসনাদে আহমাদ, হাদীস নং-৮৯৩২}

,

★সুতরাং প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে উক্ত গায়রে মাহরাম মহিলাদের দিকে তাকানো,অপ্রয়োজনীয় কথা বলা জায়েজ নেই।

,

সুতরাং আপনি উক্ত বিবাহে যেতে পারবেন,তবে তাদের সাথে অপ্রয়োজনীয় কথা বলবেননা,দৃষ্টি নত রাখবেন। 

এক সাথে খাবেননা।

,

যদি এগুলো মানা সম্ভন না হয়,তাহলে সেই বিবাহে যাবেননা।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

 

প্রশ্ন: হুজুর, অইখানে না গেলে সবাই রাগারাগি করে... এখন আমি অইখানে গেলে কি তাদের সাথে অপ্রয়োজনীয় কথা না বলে শুধু ভালোমন্দ জিজ্ঞাস যেহেতু করতেই হবে এটা করলে কি আমার গুনাহ হবে? আর এই অবস্থায় আমার করনীয় কি হুজুর? অনেক ঝামেলায় আছি

সকলে আমার উপর বিরক্ত হয়ে গেছে আমি নাকি মৌলবি হয়ে গেছি ইত্যাদি বলে

1 Answer

0 votes
by (589,140 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
হযরত আবু সাঈদ খুদরী রাঃ থেকে বর্ণিত,
ﻋﻦ ﺃﺑﻲ ﺳﻌﻴﺪٍ ﺍﻟﺨُﺪْﺭِﻱِّ - ﺭَﺿِﻲَ ﺍﻟﻠﻪُ ﺗَﻌَﺎﻟَﻰ ﻋﻨﻪُ - ﻗﺎﻝَ : ﺳَﻤِﻌْﺖُ ﺭﺳﻮﻝَ ﺍﻟﻠﻪِ ﺻَﻠَّﻰ ﺍﻟﻠﻪُ ﻋَﻠَﻴْﻪِ ﻭَﺳَﻠَّﻢَ ﻳﻘُﻮﻝ" : ﻣَﻦْ ﺭَﺃَﻯ ﻣِﻨْﻜُﻢْ ﻣُﻨْﻜَﺮًﺍ ﻓَﻠْﻴُﻐَﻴِّﺮْﻩُ ﺑِﻴَﺪِﻩِ ، ﻓَﺈِﻥْ ﻟَﻢْ  ﻓَﺒِﻠِﺴَﺎﻧِﻪِ ، ﻓَﺈِﻥْ ﻟَﻢْ ﻳَﺴْﺘَﻄِﻊْ ﻓَﺒِﻘَﻠْﺒِﻪِ ، ﻭَﺫَﻟِﻚَ ﺃَﺿْﻌَﻒُ ﺍﻹِﻳﻤَﺎﻥِ "
নবীজী সাঃ বলেনঃ তোমাদের মধ্য থেকে কেউ যদি কোনো অন্যায় কাজ দেখে,তাহলে সে যেন তা হাত দিয়ে ,না পারলে মুখ দিয়ে এবং না পারলে সে যেন তা অন্তর দিয়ে গৃণা করে।এবং এটাই তার ঈমানের সর্বনিম্ন স্থর।(সহীহ মুসলিম-৭৩)

অন্তর দিয়ে গৃনা করার অর্থ হচ্ছে,হালালকে হালাল জানা এবং তাকে মহব্বত করা।এবং হারামকে হারাম জানা ও গৃনা করা এবং তার থেকে দূরে থাকা। বিস্তারিত জানুন-https://www.ifatwa.info/1982

মোটকথাঃ
যে সব অনুষ্টানে শরীয়ত বিরোধী কর্মকান্ড হবে বা হচ্ছে,সে সকল অনুষ্টান বা মজলিস থেকে নিজেকে দূরে সরিয়ে রাখাই শ্রেয়।  বিস্তারিত জানুন-https://www.ifatwa.info/2867

প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
একটা প্রবাদ রয়েছে,না গেলে একদোষ আর গেলে বহুদোষ। আপনি যদি কোনো প্রকার অজুহাত দেখিয়ে বিবাহে না যান, তাহলে অনেক প্রকার গোনাহ ও বিদআত এবং কুসংস্কার থেকে রক্ষা পেয়ে যাবেন। হয়তো আব্বু আম্মু একটু আধটু রাগ করবে, কিন্তু পরক্ষণেই তারা বুঝে নিতে সক্ষম হবে। কিন্তু তাদের ওখানে গেলে আপনি সবার থেকে দূরে থাকলে, উপস্থিত সময় আপনি নিজে নিজেকে অসামাজিক ভাববেন। বা হয়তো তারা ভাববে কিংবা তাদের কেউ আপনাকে নিয়ে ঠাট্টা করবে। সুতরাং আপনার জন্য সবচেয়ে উত্তম হবে, উক্ত অনুষ্টানে না যাওয়া কিংবা বিয়ের একেবারে শেষ মুহুর্তে শরীক হয়ে তাদের সাথে তথা উক্ত ফ্যমিলির পুরুষ বা বৃদ্ধ মহিলাদের সাথে দেখা করে চলে আসা। আল্লাহ আপনাকে তাওফিক দান করুক। আমীন।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 174 views
...