আমার ভাবির খালাতো বোনের বিয়ে । উনার খালাতো ভাইয়ের সাথে আমার ভালো সম্পর্ক থাকার কারনে আমার ভাবি এবং ভাইয়ের সাথে আমাকেও বিয়ের আগেরদিন যেতে বলা হয়েছে। অন্যান্য খালোতো ভাইয়েরাও আসবে । কিন্তু সমস্যা হলো সেখানে কেউই পর্দা করে না এমনকি আমার ভাবিও । কিন্তু আলহামদুলিল্লাহ্ আমি ছেলে হলেও যেহেতু আমার উপর পর্দা করা ফরজ এবং মাহরাম-গায়রে মাহরাম মেনে চলতে হয় এবং যথাসাধ্য মেনে চলি।
এখন আমার প্রশ্ন হলো যেহেতু তারা কেউ পর্দা করে না এবং আমি সেখানে গেলে তাদেরকে ভালোমন্দ জিজ্ঞাস করতে হবে এবং একসাথে খেতে হবে সুতরাং আমার কি সেখানে যাওয়া উচিৎ হবে?
না গেলে সবাই রাগ করবে এবং আব্বা-আম্মাও রাগ করবে এখন এমতাবস্থায় আমার করনীয় কি?
বিঃদ্রঃ আমি জেনারেল এর স্টুডেন্ট এবং প্রায় 6/7 মাস পূর্বেও ইসলাম ততোটা মেনে চলতাম না তাই সকলের সাথে তখন দেখা সাক্ষাত হতো। কিন্তু আলহামদুলিল্লাহ্ এখন পরিপূর্ন ভাবে ইসলাম মেনে চলার চেষ্টা করি ।
উত্তর:
রাসূল সাঃ ইরশাদ করেন, চোখের জিনা হল [হারাম] দৃষ্টিপাত। কর্ণদ্বয়ের জিনা হল, [গায়রে মাহরামের যৌন উদ্দীপক] কথাবার্তা মনযোগ দিয়ে শোনা। জিহবার জিনা হল, [গায়রে মাহরামের সাথে সুড়সুড়িমূলক] কথোপকথন। হাতের জিনা হল, [গায়রে মাহরামকে] ধরা বা স্পর্শকরণ। পায়ের জিনা হল, [খারাপ উদ্দেশ্যে] চলা। অন্তর চায় এবং কামনা করে আর লজ্জাস্থান তাকে বাস্তবে রূপ দেয় [যদি জিনা করে] এবং মিথ্যা পরিণত করে [যদি অন্তরের চাওয়া অনুপাতে জিনা না করে]। {সহীহ মুসলিম, হাদীস নং-২৬৫৭, মুসনাদে আহমাদ, হাদীস নং-৮৯৩২}
,
★সুতরাং প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে উক্ত গায়রে মাহরাম মহিলাদের দিকে তাকানো,অপ্রয়োজনীয় কথা বলা জায়েজ নেই।
,
সুতরাং আপনি উক্ত বিবাহে যেতে পারবেন,তবে তাদের সাথে অপ্রয়োজনীয় কথা বলবেননা,দৃষ্টি নত রাখবেন।
এক সাথে খাবেননা।
,
যদি এগুলো মানা সম্ভন না হয়,তাহলে সেই বিবাহে যাবেননা।
(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)
প্রশ্ন: হুজুর, অইখানে না গেলে সবাই রাগারাগি করে... এখন আমি অইখানে গেলে কি তাদের সাথে অপ্রয়োজনীয় কথা না বলে শুধু ভালোমন্দ জিজ্ঞাস যেহেতু করতেই হবে এটা করলে কি আমার গুনাহ হবে? আর এই অবস্থায় আমার করনীয় কি হুজুর? অনেক ঝামেলায় আছি
সকলে আমার উপর বিরক্ত হয়ে গেছে আমি নাকি মৌলবি হয়ে গেছি ইত্যাদি বলে