আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
55 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (4 points)
edited by

আসসালামু আলাইকুম ওরাহমাতুল্লাহ। কিছু বিষয় নিয়ে জানার ছিল জরুরি।আমি জেনারেলের স্টুডেন্ট। বেশ কিছু বিষয়ে একদম জানা নেই।আশে পাশে এমন কেউ নাই যে তার কাছ থেকে জানব।আমি শুধু মাত্র জানার জন্য প্রশ্ন গুলো জিজ্ঞেসা করেছি আর কোন কারণ না।প্রশ্ন বেশি হওয়ার কারনে দুঃখিত।আমার জানাটা খুব দরকার।ঈমান ও আমল ঠিক রাখতে।
 
১। কেউ অজান্তে,না জেনে বিস্তারিত মানে কোন কোন কথা  দ্বারা  বা কি কি বিশ্বাস করলে ঈমান চলে যায় না জেনে বলে ও করে ফেলে।পরে জানার পর বার বার তওবা করে।যদি অনেক গুলো ঈমান ভন্গের কারন হয়ে থাকে তাহলে তার সবগুলোর জন্য আলাদা আলাদা তওবা না করে একেবারে সবগুলোর জন্য তওব বা মাফ চাইল কি হবে নাকি একটু পর পর একেকটা মনে পরার পর পর বার বার  করতে হবে?তার ঈমান কি থাকবে অজান্তে  বা না জেনে কুফরি বা ঈমান ভংগের মত কাজ করলে?? এসবের কারণে বার বার একটু পর পর তওবা করতে করতে হয়ত তার ওয়াসওয়াসার মত সমস্যা হতে পারে মারাত্মক।

২।কোন মানুষ ঈমান ভন্গের কারন  বা কুফরি কথা বা শিরক এর কথা জানে কিন্তু পরে ভুলে গিয়ে মানে এসব দ্বারা ঈমান চলে যেতে পারে ভুলে গিয়ে ওরকম কাজ করে ফেললে তার কি ঈমান চলে যাবে? পরে জানার পর  আবার তওবা করলে  বা এমনিতেও না জেনে সকল গুণাহর জন্য মাফ চাইলে  কি  তার আবার ঈমান ও বিয়ে নবায়ন করতে হবে??

৩।এই সাইট থেকে জেনেছি কেউ ইমান ভাংগার কারণ না জেনে  আগে ঈমান ভন্গের মত কাজ করে থাকলে।পরে জানার পর তওবা করলে আর ঈমান ও বিয়ে নবায়ন করতে হয় না।

কেউ পূর্বে ডারউইনের মতবাদ পড়ার সময় ওটা যে ঈমান ভংগের কারণ সেটা  না জেনে বিশ্বাস করে ফেললে। পরবর্তীতে জানার পর খালেস দিলে তওবা করলে তার কি বিবাহ নবায়ন করতে হবে?এটা নিয়ে অজান্তে হলেও ঈমান চলে যায় শুনেছি কিন্তু এসব নিয়ে বিয়ের পর জানলে শুধু তওবা করলে হবে?এই বিষয়টা এমনিতে জানার জন্য।

৪।মেয়েরা কলেজের টিচার না হওয়া ভাল কিন্তু যদি হয় তাদের ইনকাম কি হালাল হবে?

৫।App developer বা ডিজাইনে  মাঝে মাঝে প্রাণীর ছবি,মহিলার ছবি ইত্যাদি এমন কিছু এড করতে হবে।হালাল হারাম হয়ত মিক্স থাকতে পারে।হারাম হয়ত হালালের চাইতে কম থাকতে পারে।জেনেছি যতটুকু হারাম হবে টাকা ততটুকু গরিব মানুষকে দিয়ে দিলে এমন জব করা যায়।এমতাবস্থায় মেয়েদের জন্য কোন চাকরী করা ভাল হবে কলেজের চাকরী নাকি App developer  বা ডিজাইনের চাকরী?

৬।ঈমান ভংগের কারণ জানা ব্যাক্তির মুখ দিয়ে হঠাৎ অথবা  ভুলে গিয়ে অথবা এমনিতে কোন কুফরি জাতীয় কথা বের হলে বা ভাবলে কিন্তু সে অন্য মিনিং এ কথা গুলো বললে মানে কুফরি বা ঈমান ভংগের উদ্দেশ্যে না তাহলে কি তার ঈমান চলে যাবে?এমন কথা যেগুলো কুফরি জাতীয় ও হতে পারে আবার স্বাভাবিক কথার মত চিন্তা  করলে স্বাভাবিক কথাও হতে পারে।

৭। ১ নাম্বার প্রশ্নের অবস্হায় মানুষটি যদি এরকম বার বার হওয়ার পর মানে মনে আশার পর শুয়া বা বসা অবস্থায় শুধু ঐ কাজ আর করবে না বলে আসতাগফিরুল্লাহ পড়ে তাহলে কি তওবা হবে? নাকি বসে মোনাজাত করতে হবে?

৮।কোন ব্যাক্তি কোন গুণাহ সেটা কবিরা হক বা কুফরি বা ইমান ভংগের মত ভুলে করে ফেলে তারপর জানার পর পর  শোয়া বা বসা অবস্থায় শুধু আর করবে না বলে ইসতেগফার পড়ে তাহলে কি এটা তওবা হবে? পড়ে নামাজ পড়ার সময় ভালভাবে সব গুণার জন্য একেবারে তওবার ৩ টা নিয়ম অনুযায়ী তওবা করে তাহলে কি ঈমানে সমস্যা হবে?

৯।https://ifatwa.info/125158/

কাফফারা যদি দিতে না পারে  বা না দেয় আল্লাহর কাছে তওবা করলে হবে আর জীবনে এমন করবে না বলে তার ঈমানে চলে যাবে  নাকি কাফফারা না দেওয়ার গুণাহ হবে? কারণ এমন শপথ অনেকবার ভেঙে থাকবে। আর ভবিষ্যতে এমন আবার করলে কি তার জন্য ঠিকি কাফফারা ওয়াজিব হবে নাকি ঈমান চলে যাবে?

১০।কারো স্বামী, স্ত্রী, মা,বাবা যদি শিরকি,বড় শিরকি,কুফরি, ঈমান ভন্গের সব বিষয় না জানে বা কিছু জানে কিছু জানে না এমন মানুষ।তাদেরকে শেখাতে গেলে হয়ত আরো রেগে যেতে পারে বা বাড়াবাড়ি জাতীয় কিছু হতে পারে এমন ব্যাক্তিদের না শেখালে কি কোন সমস্যা হবে?তারা তাদের মত নামাজ পড়ার পর সব গুণার জন্য   তওবা বা  মাফ চাইলে ঈমান আর বিয়ে ঠিক থাকবে?তারা নিজেরাই জানে না কি গুণাহ সব গুনাহের জন্য একেবারে তওবা করলে?

 ১১। প্রায় সময় শিরক,কুফরি, ইমান ভন্গের মত কাজ বা আকিদা থেকে বেচে থাকতে চাওয়া মানুষ যদি ঈমান ভন্গের মত কাজ করে ফেলে ভবিষ্যতে  এবং না জানে কতবার এমন হয়েছে ।প্রায় সময় তওবা করার অভ্যাস থাকে তার।তওবা করার সময় তার গুণাহ গুলো কি মাফ হয়ে যাবে, নাকি জানার পর নতুন করে তওবা করতে হবে আর বিয়ে করতে হবে, নাকি নতুন করে শুধু তওবা করলে হবে?

১২। নজর না পড়ার উদ্দেশ্য লোহার কেউ আংটি পড়লে। শিরক বলার পরে আবার বলে এমনিতে পরেছি ঐ উদ্দেশ্যে না।ঈমান ভান্গার কারণ বিস্তারিত জানে না এসব নিয়ে বেশি বলতে গেলে বাড়াবাড়ি জাতীয় কিছু বলতে পারে।এত না পড়ার জন্য বুঝানোর পর ও পড়লে কি বড় শিরক হবে?? আংটি পড়া বড় শিরক নাকি ছোট শিরক?

১৩।হারাম কাজে আলহামদুলিল্লাহ,  মাশাল্লাহ বলা গুনাহ। ঠাট্টার নিয়তে বললে ঈমান চলে যায়।পরে মাঝে মাঝে এমনিতে ঠাট্টার নিয়ত ছাড়া এমনিতে বা দুনিয়াবি কোন কারণে  বললে কি ঈমান চলে যাবে?

১৪। এই মানুষটা বেশিদিন বাচবে না,তুমি পরিক্ষায় ফেল করবে, তুমি জীবনে কিছু করতে পারবে না,তুমি পরিক্ষায় না দেখালে ফেল করতাম, তুমাকে ছাড়া বাচব না, ও মারে,  ও বাপরে, কাউকে শয়তান বলে ডাকা  ইত্যাদি ইত্যাদি আরো এমন অনেক কথা,  এসব  কথা এমনিতে বললে বা ভবিষ্যতে জানার পর ও এমনিতে কথার কথাতে বললে কি ঈমান চলে যায়?

১৫।আকিদা ঠিক রেখে কিছু গাইলে বা বললে ঈমান যাই না এমন জেনেছিল এমন ব্যাক্তি।শিরকি গান আকিদা ঠিক রেখে গাইলে কোন সমস্যা হবে না ভেবে মানে এরকম গাওয়ার কারণে যে ঈমান চলে যেতে পারে সেটা না জেনে শিরকী গান গাইলে তারপর জানার পর তওবা তার কি ঈমান চলে যাবে?

১৬।আমি মনে হয় এই সাইট থেকে জেনেছিলাম আকিদা ঠিক রেখে কোন শিরকী গান বা কবিতা এমনিতে গাইলে বা অন্য  কিছু নিজের মত মিনিং করে গাইলে ঈমান চলে যাবে না।আমি জানি না এটা কি আমি সঠিক জেনেছি আর পরে ভুলে গিয়ে বা বেখেয়ালে আবার গেয়ে ফেললে কি ঈমান চলে যাবে?পরে এমনিতে আকিদা ঠিক রেখে স্ত্রীকে শুনানোর উদ্দেশ্য গাইলে কি ঈমান চলে যাবে?

1 Answer

0 votes
by (698,910 points)


বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
ওয়াসওয়াসা হল এমন এক মানসিক রোগ যা একজন মুসলমানকে বিভ্রান্ত করার জন্য শয়তানের পক্ষ থেকে মনের মধ্যে আসা কুমন্ত্রনার ফাঁদ। এই রোগে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা এখন কম নয়।  কিন্তু এই রোগ সম্পর্কে ধারনা বা ইলম-জ্ঞান না থাকার ফলে একজন সাধারন ব্যক্তি ধীরে ধীরে মানসিক রোগীতে পরিণত করতে পারে। কারণ শুরুতেই যদি এর চিকিৎসা করা না হয়, তাহলে এটি বাড়তে থাকে।

আমরা আমাদের বিগত সহস্রাধিক প্রশ্ন রিসার্চ করে দেখেছি যে, ওয়াসওয়াসা আক্রান্ত ব্যক্তি বিভিন্ন মাস'আলা মাসায়েল বা ফাতাওয়া অধ্যায়ের প্রশ্ন-উত্তর ঘাটাঘাটি করে আরও বেশি ওয়াসওয়াসাতে আক্রান্ত হয়ে যায়। এবং প্রশ্নের উত্তর হল একজন ওয়াসওয়াসা আক্রান্ত রোগীদের রোগ বৃদ্ধির খোরাক। এবং একটা প্রশ্ন উত্তর পাওয়ার পর একজন ওয়াসওয়াসা আক্রান্ত ব্যক্তি ক্রমাগত একই প্রশ্ন বারবার ঘুরিয়ে পেচিয়ে শতাধিকবার করতে থাকেন।  যেটা উনাকে বরং ক্রমাগত অধিকতরও খারাপের দিকে নিয়ে যেতে থাকে।
বিষয়গুলো পর্যালোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে যে, ওয়াসওয়াসা আক্রান্ত রোগীদের ক্ষেত্রে নিচের দেওয়া বাধ্যতামূলক সুস্থ হওয়ার কোর্সটি কমপ্লিট না হওয়া পর্যন্ত কোনো প্রশ্নের উত্তর দেয়া হবে না ।
এবং আমরা আশা করছি এবং আল্লাহর উপর ভরসা রেখে বলছি, যারা নিচের এই কোর্সটি করবেন ইনশাআল্লাহ সুস্থ হয়ে যাবেন।
আর কোর্সের ভিতরে একটা অংশে আমাদের মুফতি সাহেবদের সাথে সরাসরি জুম মিটিংয়ের মাধ্যমে প্রশ্ন-উত্তরের ব্যবস্থা থাকবে। আল্লাহ তা'আলা  আমাদেরকে সমস্ত শারীরিক ও মানসিক রোগ থেকে হেফাজত করুক।আমীন।চুম্মা আমীন।
https://idaars.com/courses/waswasa/

বিঃদ্র
ওয়াসওয়াসা কোর্স সম্পন্ন করার পর অফিস থেকে একটি কোড দেয়া হবে, সেই কোড উল্লেখ পূর্বক পোষ্ট করতে হবে।নতুবা ওয়াসওয়াসা রোগীদের কোনো প্রশ্নের জবাব দেয়া হবে না।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...