আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

+2 votes
17 views
ago in ঈমান ও বিশ্বাস (Faith and Belief) by (23 points)
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহ,হযরতজি।

(আমার প্রশ্ন এর মাধ্যমে কষ্ট নিবেন না)

অনুগ্রহ করে এটা খুবই খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভাবে দেখে উত্তর দিবেন।

আমি একজন সাধারণ জেনারেল শিক্ষায় শিক্ষিত।আমি বিবাহিত। কিন্তু চাকুরির জন্য দূরে থাকতে হয়। আমার বয়স ২৬+।আমার যেসকল সমস্যা :

১। নামাজ পরি ৫ ওয়াক্ত।কিন্তু খুশুখুজু, মনোযোগ কিছুই নাই।নিজের কাছে মনে হয় এটা আমি লোক দেখানোর জন্য করছি।

২।আমি কিছু গোপন গুনাহ এর সাথে সম্প্রৃক্ত।যা বার বার তওবা করি আবার সেই গুনাহ করি।কিছুতেই নজর হেফাজত রাখতে পারছি না।

৩।মাঝে মাঝে খুব ইবাদত করি, ভালো হইয়া যাই।আবার ২/৪ দিন গেলে আগের মতই।
৪। রাতে ঘুমাতে গেলে সাভাবিক ভাবে ঘুমাতে পারি না।ঘুমাই একভাবে উঠি আর এক ভাবে।গায়ে কাথা কম্বল দিলে রাতে সরিয়ে রাখি।নিজের অজান্তেই।তিন কুল পড়ে ঘুমাই।তাও ঠিক হয় না।কাথা কম্বল সরানোর জন্য আবার ঠান্ডা লেগে যায়।যেটা সকালে বুজতে পারি।

৪।যতই চাই নিজেকে পরিবর্তন করতে পারছি না।হেরে যাই বার বার। নিজের প্রতি নিজেই অনেক অনেক বিরক্ত।আমি আমার নফস এর গোলামি থেকে মুক্তি চাই।বহু বছরের গোপন পাপ থেকে মুক্তি চাই।যেদিন বেশি ইবাদত করি ওইদিন রাতে আবার পাপ এ জরিয়ে যাই।

আমাকে যতই উপদেশ দেন কাজ হবে না। আমি ভালো হব না।

আমাকে এমন কিছু বলেন যাতে আমি আমার নফস কে পরাজিত করতে পারি।আমার কাছে যাতে কোনো কুচিন্তা মাথায় না আসে।কোনো শয়তান না আসে।খুবই শক্তিশালী,সবচাইতে পাওয়ার ফুল কিছু শিখান।আমি কি কোনোদিন ও পরিবর্তন হতে পারবো না?দয়া করে খুবই চিন্তা ভাবনা করে আমার উত্তর টা দিয়েন।হযরত জি।আমি পাপ করতে করতে অবভ্যস্ত হয়ে গেছি।কত কিছু আমল করেছি,আবার ছেড়ে দিয়েছি।আল্লাহ বিপদ দিলে  হইতো আমি ঈমান ও ধরে রাখতে পারবো না।

বললে অনেক বলা যায় , প্রিয় শায়েখ।আমাকে সহজে কিছু পাওয়ারফুল কিছু শিখান।যাতে আমার ঈমান মজবুত আর শয়তান থেকে নফস থেকে চিরতরে মুক্তি পাই।আর যে গোপন পাপ আছে সারাটাজীবন ধরে করে আসছি সেটা থেকে বের হতে পারি।

আল্লাহ আপনাকে উত্তম প্রতিদান দান করুন।

1 Answer

0 votes
ago by (686,640 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
রাসূলুল্লাহ সাঃ কে আল্লাহ তা'আলা ৪ টি বিশেষ দায়িত্ব দিয়ে প্রেরণ করেছেন।এ সম্পর্কে আল্লাহ বলেন,
هُوَ الَّذِي بَعَثَ فِي الْأُمِّيِّينَ رَسُولًا مِّنْهُمْ يَتْلُو عَلَيْهِمْ آيَاتِهِ وَيُزَكِّيهِمْ وَيُعَلِّمُهُمُ الْكِتَابَ وَالْحِكْمَةَ وَإِن كَانُوا مِن قَبْلُ لَفِي ضَلَالٍ مُّبِينٍ
তিনিই নিরক্ষরদের মধ্য থেকে একজন রসূল প্রেরণ করেছেন, যিনি তাদের কাছে পাঠ করেন তার আয়াতসমূহ, তাদেরকে পবিত্র করেন এবং শিক্ষা দেন কিতাব ও হিকমত। ইতিপূর্বে তারা ছিল ঘোর পথভ্রষ্টতায় লিপ্ত।(সূরা-জুমুআহ-২)

রাসূলুল্লাহ সাঃ এর ৪ টি দায়িত্বের একটি দায়িত্ব হল,আত্মসুদ্ধি। এই আত্মসুদ্ধির অপর নাম তাসাউফ।তাসাউফ সম্পর্কে জানতে ভিজিট করুন- https://www.ifatwa.info/1037

সুপ্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
আপনার অতীব জরুরী যে, আপনি নেককার কোনো বান্দার সংস্পর্শ গ্রহণ করবেন। এবং তাবলীগের মাস্তুরাতের জাসাতে স্বামীকে নিয়ে সময় যাবেন। বেশী বেশী নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর উপর দুরুদ পাঠ করবেন।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...