আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
232 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (50 points)
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহ

আমরা জানি, কেউ ইসলামের কোন ছোট বিধান নিয়েও হাসি-ঠাট্টা, অপমান, অসম্মান করলে মুরতাদ হয়ে যাবে। কিন্তু কেউ যদি এমন কোন কাজ করে যেই কাজের দ্বারা দ্বীনের অসম্মান হবে কিন্তু সে নিজে অসম্মান করছে না। উদাহরণস্বরূপঃঃ কোন কাফির নারী জিনা করার জন্য কোন মুসলিম পুরুষ খুজছে। আর একজন মুসলিম তার কাছে যেয়ে মুসলিম পরিচয় দিলো জিনার করার জন্য। এতে তো দ্বীনকে অসম্মান করা হলো। যদি জাহালাতের ওজর না থাকে তবে এতে কি ওই পুরুষ কাফির হয়ে যাবে?

আবার তার অবস্থা যদি এমন হয় যে, সে কোনমতেই নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করতে না পেরে এমন কাজ করেছে তবে কি সে মুরতাদ হয়ে যাবে?

1 Answer

0 votes
by (589,140 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
কুফরের প্রকার :
আল্লামা ইবনুল কাইয়ুম রহ. বলেন : কুফর দুই প্রকার : কর্মগত কুফর ও অস্বীকারমূলক কুফর
অস্বীকার মূলক কুফর : নবীজি যা কিছু নিয়ে এসেছেন, তা আল্লাহ তাআলার পক্ষ থেকে নিয়ে এসেছেন—এটা জানার পরও অস্বীকার করা। যেমন, আল্লাহ তাআলার নামসমূহ, তাঁর কোন গুন বা কর্ম বা কোন বিধান।
কর্মমূলক কুফর : এটি দুই রকমের হতে পারে : এক. যার কারণে মানুষ ইসলামের গণ্ডি থেকে বের হয়ে যায়। মুর্তিপূজা করা, কুরআনুল কারীমকে অস্বীকার করা, কোন নবীকে হত্যা করা বা গালি দেওয়া। দুই. যার কারণে ইসলাম থেকে বের হয় না, তবে গুনাহগার হয়। যেমন, আল্লাহ প্রদত্ত বিধানাবলী অনুযায়ী ফায়সালা না করা, নামাজ না পড়া। এমনিভাবে হাদীসে যে জিনাকারী, চোর ও মদ্যপের ঈমানকে নাকচ করা হয়েছে, তা এ দৃষ্টিকোণ থেকেই। অর্থাৎ, কর্মগত কুফর; আকীদাগত অস্বীকারমূলক কুফর নয় (আস্সালাতু ওয়া আহকামু তারিকিহা : ৫৬,৫৭)। তবে, এর জন্য শর্ত হলো এসবকে সে হালাল মনে না করতে হবে। পক্ষান্তরে এগুলোকে যদি সে হালাল মনে করে তাহলে সে সরাসরি কাফের হয়ে ইসলামের গণ্ডি থেকে বের হয়ে যাবে (কাজি ইয়াজকৃত ইকমালুল মু’লিম, ১:৩১৯)। বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন-https://www.ifatwa.info/5807

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
কোন কাফির নারী জিনা করার জন্য কোন মুসলিম পুরুষ খুজছে। আর একজন মুসলিম তার কাছে যেয়ে মুসলিম পরিচয় দিলো জিনার করার জন্য। যদি সে যিনাকে হালাল মনে করে নিজেকে মুসলমান হিসেবে পরিচয় দেয়, তাহলে সে কাফির হয়ে যাবে। নতুবা সে কাফির হবে না। মূলত ইসলামকে অস্বীকার করার দরুণই কেউ কাফির হয়ে থাকে। কিন্ত যদি তার নিয়তে ইসলামকে অসম্মান করা থাকে, তাহলে সে কাফির হয়ে যাবে। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...