আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
12 views
ago in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (4 points)
আমি একবার নিজেকে আটকানোর জন্য বলছিলাম, "আমি যদি উমুককে সিম পরিবর্তন করতে বলি তাহলে আমি যাকে বিয়ে করবো সে ৩ তালাক।" এরপর আমি জানতে পারলাম এই কসম ভেঙে ফেললে সত্যি সত্যি ৩ তালাক হবে। এরপর প্রচুর ভয় পেয়ে যায়। পরবর্তীতে ১ মাস পর হঠাৎ সেই ব্যক্তি আমাকে বললো, "আমি সিম পরিবর্তন করে ফেলবো।" তখন তো আমি মারাত্মক ভয় পেয়ে যাই। আমি তখন তাকে বললাম তাহলে পরিবর্তন করে ফেল। নতুন সিম কিন।

পরবর্তীতে একজন মুফতি বললো এতে তালাক হবে না। কারন আমি তো নিজের পক্ষ থেকে বলিনি এবং ২ জন মুফতি বলেছেন তালাক হয়ে যাবে।
পরবর্তীতে আমি বিভিন্নভাবে কসম করেছি। কসমগুলোর ভাষ্য নিম্নরুপ:-

১. উমুক কাজ করলে তালাকের সর্বোচ্চ শর্ত যুক্ত হবে

২. উমুক কাজ করলে তালাকের এমন শর্ত যুক্ত হবে যে জীবনেও বিয়ে করতে পারবো না

৩. উমুক কাজ করলে তালাকের সর্বোচ্চ শর্ত হবে এবং বিয়ের কোন আর পদ্ধতি থাকবে না।
উপরোক্ত বাক্যগুলো বলার  সময় যদি মনে মনে ৩ তালাকের নিয়ত এবং এমনকি মুয়াল্লাক তালাক থেকে বাচার যে পদ্ধতি সেটাও থাকবে না নিয়ত ছিল। তবে আমি মুখে ৩ তালাক হয়ে যাবে এসব উচ্চারণ করিনি।
পরবর্তীতে আমি কিছু সংখ্যক কসম ভেঙে ফেলেছি।
এখন আমার বিয়ের পরিকল্পনা চলছে। কিন্তু আমি আদৌ বিয়ে করতে পারবো কি না আমি স্পষ্ট জানি না। আমার বাড়িতে বিয়ের কথা বললে এসব ভেবে মন খারাপ হয়ে যায়।

আমাকে দয়া করে নিম্নলিখিত প্রশ্নগুলোর উত্তর দিয়ে বিয়ে করতে সাহায্য করবেন:-

১. এখন আমি যদি কাউকে বিয়ে করি তাহলে কি সে ৩ তালাক হয়ে যাবে?
২. প্রথমবার ৩ তালাক হয়ে থাকলে আমি কি আবার তাকে বিয়ে করতে পারবো যেহেতু সহবাস হয়নি।

৩. প্রথমবার ৩ তালাক হয়ে থাকলে আমি কি তাদেরকে বিয়ে করতে পারবো যাদের হয়তো ভুল বসত তালাক হয়ে গেছে। এখন সেই মহিলার অন্য জায়গায় বিয়ে দরকার। এক্ষেত্রে আমার কাছে বিয়ে দিয়ে দিলে আমার ও তালাকের শর্ত শেষ হল এবং সেই মহিলাও পূর্বের সামীর কাছে যেতে পারলো।

৪. সর্বপরি কোন পদ্ধতিতে বিয়ে করলে আমার জন্য সহজ হয়?

1 Answer

0 votes
ago by (653,400 points)
জবাবঃ-
بسم الله الرحمن الرحيم 

https://www.ifatwa.info/28210/ নং ফতোয়াতে উল্লেখ রয়েছেঃ- 
বিবাহের পূর্বে সাধারণত তালাক পতিত হয়না। 
হ্যাঁ বিবাহের দিকে ঈঙ্গিত করে শর্তযুক্ত তালাক দিলে তালাক হবে। 
,
হাদীস শরীফে এসেছেঃ 

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ يَحْيَى حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ أَنْبَأَنَا مَعْمَرٌ عَنْ جُوَيْبِرٍ عَنْ الضَّحَّاكِ عَنْ النَّزَّالِ بْنِ سَبْرَةَ عَنْ عَلِيِّ بْنِ أَبِي طَالِبٍ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ عَنْ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ لَا طَلَاقَ قَبْلَ النِّكَاحِ

‘আলী ইবনু আবূ ত্বলিব (রাঃ) থেকে বর্ণিত। নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ বিবাহের পূর্বে তালাক নাই।
(সুনানে ইবনে মাজাহ ২০৪৯)

حَدَّثَنَا أَبُو كُرَيْبٍ حَدَّثَنَا هُشَيْمٌ أَنْبَأَنَا عَامِرٌ الْأَحْوَلُ ح و حَدَّثَنَا أَبُو كُرَيْبٍ حَدَّثَنَا حَاتِمُ بْنُ إِسْمَعِيلَ عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ الْحَارِثِ جَمِيعًا عَنْ عَمْرِو بْنِ شُعَيْبٍ عَنْ أَبِيهِ عَنْ جَدِّهِ أَنَّ رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ لَا طَلَاقَ فِيمَا لَا تَمْلِكُ

‘আমর ইবনু শু‘আইব (রহ.) থেকে পর্যায়ক্রমে তার পিতা ও দাদার সূত্রে বর্ণিত। রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ তালাক দেয়ার অধিকার জন্মানোর আগে প্রদত্ত তালাক কার্যকর হয় না।

তিরমিযী ১১৮১, আবূ দাউদ ২১৯০, সহীহ, ইরওয়াহ ১৭৫১, ২০৬৯, সহীহ আবী দাউদ ১৯০০, ইবনে মাজাহ ২০৪৭ রাওদুন নাদীর ৫৭১, আত-তা'লীকু আলাত তানকীল ২/৬২।

★শরীয়তের বিধান অনুযায়ী শর্তাধীন তালাক সহীহ হওয়ার ক্ষেত্রে জরুরী হলো ঐ মহিলা সেই ছেলের বিবাহে থাকতে হবে অথবা শর্তযুক্ত বাক্যটি উক্ত মহিলার দিকে বিবাহের নিসবত করা হবে।
কেহ যদি বলে যে অমুক কাজ করলে আমার ভবিষ্যত স্ত্রী তালাক,তাহলে এখানে বিবাহের নিসবত স্পষ্ট আকারে না পাওয়া গেলেও অস্পষ্ট ভাবে তালাকের নিসবত পাওয়ার কারনে বিবাহ করা মাত্র এক তালাকে বায়েন পতিত হবে।
পরবর্তীতে আবারো তাকে বিবাহ করা যাবে,এক্ষেত্রে নতুনভাবে বিবাহ পড়িয়ে নিতে হবে।

তবে ইমাম শাফেয়ী রহঃ সহ আরো কিছু ইসলামী স্কলারদের মতে বিবাহ পূর্ব শর্তাধীন তালাক পতিত হবেনা।
সুতরাং তাদের মতানুসারী গন সেই মত অনুযায়ী আমল করতে পারবেন । 
,
আরো জানুনঃ 

★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই,
প্রশ্নের বিবরন মতে আপনার বিয়েতে কোন বাধা নেই, আপনি বিবাহ করতে পারেন।
বিবাহের পূর্বে প্রশ্নে উল্লেখিত বাক্য গুলি বলার দরুন বিবাহের পর কোন তালাক পতিত হবে না।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...