আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
31 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (17 points)
১. আসসালামু আলাইকুম
আমার একটা  বিষয় জানার ছিলো

BIBM এর পূর্ণরূপ হলো বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অফ ব্যাংক ম্যানেজমেন্ট (Bangladesh Institute of Bank Management).ইলেকট্রনিক ইন্জিনিয়ার এ প্রতিষ্ঠানে সিনিয়র এসিস্ট্যান্ট ইলেকট্রশিয়ান পদে চাকরী  করেন
এটা কি জায়েজ হবে?

আমি আলিম কোর্স ২৪১২ ব্যাচ এর

২. আস-সালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহ!! আমার একজন পরিচিত কে একজন ছেলে বিয়ের প্রস্তাব দিয়েছিল। পরবর্তীতে তারা ইস্তেখারা করেন এবং ফলাফল পজেটিভ পেয়েছিল। তখন বিয়ে সম্ভব ছিল না। তবে তার বেশ কিছু দিন পরে মজার ছলে একজন আরেকজনকে হোয়াটসঅ্যাপে দুইজনেই কবুল কবুল কবুল বলেছিল। এবং এটা বলে দুষ্টুমি করেছিল এভাবে বিয়ে হয় না, অপরপক্ষ উত্তর দিয়েছিল এইজন্য ই তো কবুল বলেছেন। ঘটনা টা আরেকটু বিশ্লেষণ করে যদি বলি, ছেলেটা বলেছিল কবুল করে ফেলো।কবুল বলো। তো মেয়েটা জানে এইভাবে বিয়ে হয় না সে তিনবার কবুল লিখে, পরে ছেলেটা ও তিনবার কবুল লিখেছিল। এখানে কোনো তৃতীয় পক্ষ বা সাক্ষী ছিল না(তবে আল্লাহ যেহেতু সব দেখেন শুনেন, উনি তো অবশ্যই দেখেছেন)। শুধু কবুল বলতে বলা হয়েছিল এবং মেয়েটি বলেও ছিল। কোনো মোহরানা বা কিছু র প্রস্তাব দেয়া হয়নি। যাই হোক, আমি যতটুকু জানি হানাফি মাযহাব অনুযায়ী, বিয়ের ক্ষেত্রে ৪ টি মৌলিক শর্ত রয়েছে। ১. প্রাপ্তবয়স্ক হওয়া, ২. প্রস্তাব দেওয়া, ৩. প্রস্তাব গ্রহণ করা অর্থাৎ,কবুল করা, ৪. দুইজন প্রাপ্ত বয়স্ক সাক্ষী।
এক্ষেত্রে ঐদিনের ঘটনায় এটা কি কোনো বিয়ে হিসেবে গণ্য হবে? আমি রিসেন্ট শায়েখ আহমাদুল্লাহ হাফিযাহুল্লাহ ওনার একটা লেকচার শুনেছি, সেখানে উনি বলেছে, হাসির ছলে, মজা করেও কেউ যদি কবুল বলে এবং আরেকজন যদি সেটি গ্রহণ করেন ,তাহলে বিয়ে হয়ে যায়।
উল্লেখ্য ঘটনায় সাক্ষী ছিল না তবু মনে প্রশ্ন টি এসেছে এইটা কি বিয়ের আওতায় পড়ে? (ঘটনাটি প্রায় ৬/৭ মাস আগের)

যেই দুইজনের কথা বলেছি ওনারা দুইজনেই আলাদাই থাকেন, এবং যেহেতু ফ্যামিলি গত বিয়ে সম্ভব না এখনই তাই নিজেদের মধ্যে দূরত্ব ও রেখেছেন। তাদের মধ্যে প্রেম ঘটিত বা হারাম কোনো সম্পর্ক নেই। তবে মজার ছলে গত বেশ কয়েকমাস আগে এই কাজ টি করেছিল।
আমাকে ব্যাপারটি একটু ক্লিয়ার করলে মুনাসিব হতো।
জাযাকুমুল্লাহু খইরন!

৩. আসসালামু আলাইকুম।
১.অসুস্থতার (হায়েজ অবস্থায়)  দিন গুলিতে কি করে বরই পাতার পানি বা রুকইয়ার পানি তৈরি করবো???যদি বানিয়ে দেয়ার মতো কেউ না থাকে??শুধু ফাতিহা, নাস,ফালাক,ইখলাস পড়লে হবে???সিহরের আয়াত গুলা কি অসুস্থ মেয়ে নিজে পড়তে পারবে???
২.যেসব আয়াত যা ঘুমানোর আগে পড়ি বাকারার শেষ দুই আয়াত,আলে ইমরান এর আয়াত আরো কিছু দুয়া আছে যা নিজের সুরক্ষার জন্য পড়তে হয় এগুলা কি এই দিন গুলায় পরা যাবে?

৪.

1 Answer

0 votes
by (660,180 points)
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم 

(০১)
শরীয়তের বিধান মতে সূদ দেওয়া,গ্রহন করা,তাতে সহযোগিতা করা সবই হারাম।

কুরআনে কারীমে ইরশাদ হচ্ছে-

يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا اتَّقُوا اللَّهَ وَذَرُوا مَا بَقِيَ مِنَ الرِّبَا إِن كُنتُم مُّؤْمِنِينَ [٢:٢٧٨] 

হে ঈমানদারগণ,তোমরা আল্লাহকে ভয় কর এবং সুদের যে সমস্ত বকেয়া আছে,তা পরিত্যাগ কর,যদি তোমরা ঈমানদার হয়ে থাক। [সূরা বাকারা-২৭৮] 

يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا لَا تَأْكُلُوا الرِّبَا أَضْعَافًا مُّضَاعَفَةً ۖ وَاتَّقُوا اللَّهَ لَعَلَّكُمْ تُفْلِحُونَ [٣:١٣٠] 

হে ঈমানদারগণ! তোমরা চক্রবৃদ্ধি হারে সুদ খেয়ো না। আর আল্লাহকে ভয় করতে থাক, যাতে তোমরা কল্যাণ অর্জন করতে পারো। [সুরা আলে ইমরান-১৩০] 

হাদিস শরিফে  এসেছে-

لَعَنَ رَسُولُ اللهِ ﷺ آكل الربا وموكله وكاتبه وشاهديه، وقال : هم سواء.

আল্লাহর রাসূল ﷺ সুদখোর, সুদদাতা, সুদের লেখক এবং তার উপর সাক্ষীদ্বয়কে অভিশাপ করেছেন, আর বলেছেন, ওরা সকলেই সমান। (মুসনাদে আহমাদ ৩৮০৯)

ব্যাংকের অবস্থা এই যে, তার পূর্ণ সম্পদ কয়েকটি বিষয়ের সমষ্টি। যথা-

১-মূলধন।
২-সঞ্চয়কারীদের জমাকৃত টাকা।
৩-জায়েজ ব্যবসার আমদানী।
৪-সুদ এবং হারাম ব্যাবসার আমদানী।

এ চারটি বিষয়ের মাঝে কেবল ৪র্থ সুরতটি হারাম। বাকিগুলো যদি কোন হারাম কাজ না হয় তাহলে মূলত জায়েজ।
,
যেসব ব্যাংকে প্রথম ৩টি বিষয়ের লেনদেন অধিক। আর ৪র্থ বিষয়টি তথা হারাম লেনদেনের লভ্যাংশ কম সেসব ব্যাংকে সেসব ডিপার্টমেন্টে চাকরী করা যাতে হারাম কাজ করতে না হয় তাহলে তা জায়েজ হবে। এবং বেতন নেওয়াও জায়েজ হবে। তবে উত্তম হল এ চাকরীও ছেড়ে দেয়া।
,
কিন্তু যদি হারাম আমদানী বেশি হয় হালালের তুলনায়, বা হারাম কাজে জড়িত হতে হয় তাহলে উক্ত ব্যাংকে চাকরী করা জায়েজ নয়। এ থেকে বেতন নেওয়াও জায়েজ নয়। বেতন নিলে তা হারাম হিসেবে গণ্য হবে। {ফাতওয়ায়ে উসমানী-৩/৩৯৪-৩৯৬}
,
ব্যাংকে চাকুরী সংক্রান্ত বিস্তারিত জানুনঃ

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন, 
BIBM বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অফ ব্যাংক ম্যানেজমেন্ট (Bangladesh Institute of Bank Management)

জানামতে এখানে ব্যাংকিং সেবা দেওয়া হয় না বরং এটা প্রশিক্ষণ ও গবেষণামূলক প্রতিষ্ঠান।

সুতরাং প্রশ্নে উল্লেখিত চাকরি জায়েজ আছে।

(০২)
এক্ষেত্রে সেই বিবাহ শুদ্ধ হয়নি।

বিস্তারিত জানুনঃ- 

(০৩)
এক, হায়েজের দিন গুলিতে কুরআনের দোয়া মূলক আয়াত পড়ে বরই পাতার পানি বা রুকইয়ার পানি তৈরি করতে পারবেন।

শুধু ফাতিহা, নাস,ফালাক,ইখলাস পড়লেও হবে।

সিহরের আয়াত গুলা যেহেতু দোয়া মূলক আয়াত সুতরাং হায়েজগ্রস্থ মেয়ে নিজে সেই আয়াত গুলি পড়তে পারবেন।

দুই, 
দোয়া মূলক আয়াত গুলি পড়া যাবে।

এ সংক্রান্ত বিস্তারিত জানুনঃ- 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...